নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির সাথে অংশীদারিত্বে দেশের সর্বপ্রথম মেডিকেল ডেবিট কার্ড নিয়ে এল ডিজিটাল পেমেন্টে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা খরচে প্রয়োজনীয় অর্থের ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য ও সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে এই কার্ড।
গত ২৩ ডিসেম্বরে তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কার্ডটি উন্মোচন করা হয়। দুই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম; ও ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ।
আন্তর্জাতিক খরচের ক্ষেত্রে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জনপ্রতি বাৎসরিক খরচের পরিমাণ বরাদ্দ রয়েছে। তা হল, সাধারণ আন্তর্জাতিক খরচের জন্য ১২,০০০ মার্কিন ডলার ও চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত ১০,০০০ মার্কিন ডলার। তবে, চিকিৎসার জন্য এ ফান্ড ব্যবহার করা ও ব্যবস্থাপনা অনেক জটিল মনে হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে নাগরিকদের চিকিৎসা কোটার সহজ ব্যবহার নিশ্চিতে যৌথভাবে এ মেডিকেল ডেবিট কার্ড চালু করেছে ভিসা ও ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি।
এ নিয়ে ভিসার বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভ্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির সাথে অংশীদারিত্বে দেশে প্রথমবারের মত এমন উদ্ভাবনী পণ্য চালু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ দেশের নাগরিকদের চিকিৎসা ব্যয় সংক্রান্ত সকল চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে এই কার্ড। যারা চিকিৎসা অথবা অন্য কোন কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তারা খুব সহজেই এই কার্ডের মাধ্যমে সহজে তাদের কার্ডের ফান্ড ব্যবহার করতে পারবেন। ডেবিট কার্ডের সুবিধা ও দুটি বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের আস্থার মাধ্যমে এই সমাধান আমাদের গ্রাহকদের চিকিৎসা ভ্রমণকে সহজ করবে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো. মাহীয়ুল ইসলাম বলেন, “ভিসা’র সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে দেশের প্রথম মেডিকেল কোটা ডেবিট কার্ড চালু করতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনকারী গ্রাহকদের মেডিকেল বিল প্রদানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। এই বিশেষ ধরনের কার্ডটি গ্রাহকদের উন্নত ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা প্রদানে বিশেষ করে জরুরি স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রমাণ দেয়। এই কার্ডটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে গ্রাহকরা তাদের বার্ষিক ট্রাভেল কোটা অক্ষত রেখে বিদেশে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারেন। এই উদ্যোগটি গ্রাহকদের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে বিশেষায়িত সলিউশন চালুর মাধ্যমে তাদের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার একটি উদাহরণ।”
প্রিপেইড কার্ডের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা প্রদান করবে এই মেডিকেল কার্ড। সম্প্রতি, ডুয়াল কারেন্সি ডেবিট কার্ড দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উদ্ভাবনী এই মেডিকেল ডেবিট কার্ড ভ্রমণকারীদের চিকিৎসা খরচের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই কার্ডধারীরা সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকেই চিকিৎসা, থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে পারবেন। এছাড়াও বিদেশে চিকিৎসা খরচের ওপর ছাড়সহ বিশেষ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
দেশের নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা ভ্রমণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড চিকিৎসা ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। চিকিৎসা পর্যটনের গন্তব্য হিসেবে ভারত প্রথমে থাকলেও, সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে। মেডিকেল ডেবিট কার্ডের এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক লেনদেনকে সহজ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রমকে আরও উৎসাহিত করবে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//