Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Friday, 27 Dec 2024 19:15
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

ড: মিহির কুমার রায়: ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে শুরু হওয়া প্রথম বাংলাদেশ উচ্চ শিক্ষা সম্মেলন ২০২৪ যার শিরোনাম 'উচ্চশিক্ষায় বৈশ্বিক মান: বাংলাদেশের করণীয়’ শিরোনামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতি, ছাত্র রাজনীতির নামে ক্ষমতার প্রদর্শন ইত্যাদি চলে। শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে অনিয়ম যা আমি ছাত্রাবস্থায় থাকার সময় ছিল না। এই অনিয়মগুলো নিয়ে কথা বলার মাঝে আমি একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি হয়েছে যার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পঙ্গু হওয়ার পথে। শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা আন্তর্জাতিক মানের উচ্চপর্যায়ের গবেষক। আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটগুলোতে খুঁজলেই জানা যাবে তাদের গবেষণার সংখ্যা। পাশাপাশি তাদের গবেষণার সাইটেশনের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য যা নিয়ে আলোচনা আমাদের উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনায় হতে দেখিনা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শুধু রাজনৈতিক আলাপ হয়, মেধাবী শিক্ষকরা আড়ালে পড়ে থাকেন। কেন তাদের আড়ালে থাকা বা কোনঠাসা হয়ে থাকা তা জানতে হবে।

মাননীয় উপদেষ্টা তার বক্তব্যের শুরুতেই সদ্যপ্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফ ও জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা নিয়ে ঢালাওভাবে কিছু বলা মুশকিল। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন মানের বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজগুলোতেও উচ্চশিক্ষা দেয়া হয়। সব মিলিয়েই একটা বড় সমস্যা হলো, এইচএসসি পাস করার পর বেশিরভাগ মেধাবী ও সামর্থ্যবান পরিবারের ছাত্ররা বিদেশ চলে যেতে চায়, যা আগে দেখা যেতনা। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের লেজুড়বৃত্তিক দলীয় রাজনীতি, ছাত্র রাজনীতির নামে ক্ষমতার প্রদর্শন ইত্যাদি চলে। শিক্ষক নিয়োগেও রয়েছে অনিয়ম যা আমি ছাত্রাবস্থায় থাকার সময় ছিল না। এই অনিয়মগুলো নিয়ে কথা বলার মাঝে আমি একটা বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক দুর্নীতি হয়েছে যার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পঙ্গু হওয়ার পথে। এত অসুবিধা ও সমস্যার মাঝেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখনও অনেক শিক্ষক আছেন যারা আন্তর্জাতিক মানের উচ্চ পর্যায়ের গবেষক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শুধু রাজনৈতিক আলাপ হয়, মেধাবী শিক্ষকরা আড়ালে পড়ে থাকেন। বিষয়গুলো আমাদের নজরে এসেছে।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি আন্দোলনের পর প্রায় সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই অভিভাবকহীন হয়ে গিয়েছিল। উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ — কাউকেই পাওয়া যাচ্ছিল না। এ থেকেই বোঝা যায়, নিয়োগের ক্ষেত্রে কেমন রাজনৈতিক দলীয়করণ হয়েছে যে সরকার পরিবর্তনের ফলে সবাইকে চলে যেতে হয়েছে। এমনকি অনেক প্রতিবেদক পত্রিকা ও মিডিয়ায় রিপোর্টও করেছে নিয়োগের অনিয়ম নিয়ে। তবে কেউই  লক্ষ্য করেনি। যারা এসব উচ্চপদে যান তাদের গবেষণায় যদি ৫ থেকে দশ হাজার সাইটেশন থাকে সেক্ষেত্রে এই মানুষগুলো রাজনীতি করার আদৌ সময় পেতেন না। শিক্ষকদের দলীয় রাজনীতি মুদ্রার এক পিঠ। মেধার অবমূল্যায়ন মুদ্রার অন্য পিঠ। শিক্ষকদের প্রশাসনিক দক্ষতারও প্রয়োজন আছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা একাডেমিক নেতৃত্বের পাশাপাশি প্রশাসনিক নেতৃত্বও দেন। 

র‌্যাংকিং নিয়ে বারবার কথা হচ্ছে। কিছু সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং এ স্থান পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিং যেভাবে উন্নত করা যেতে পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিংয়ের ২০২৫ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় ৮০১-১০০০ এর মধ্যে স্থান পেয়েছে যার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে: যার সংখ্যা এখন সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে ১৬৬টি যার মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৫। 

এই হিসাবে এক থেকে আটশত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোন স্থান নেই। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, জাপান, মালয়েশিয়া, ভারতসহ আমাদের অদূরবর্তী দেশগুলোর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় উপর্যুপরিভাবে ভালো করছে। উল্লিখিত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী ধরনের পাঠক্রম অনুসরণ করছে এবং মান নিয়ন্ত্রণে কী ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলেছে, তা বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। কিংবা সেখানকার আইকিউএসিগুলো কীভাবে কাজ করছে, তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে র‌্যাংকিংয়ে গবেষণার প্রধান ভূমিকা রাখছে এবং বিভিন্ন সংস্থার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিক র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মক্ষমতা সূচকগুলোর মূল্যায়নের মানদণ্ড থেকে এটি খুব স্পষ্ট যে সব সংস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গবেষণা। গবেষণায় রয়েছে প্রকাশনা, প্রতি শিক্ষকের সাইটেশন, প্রকাশনার প্রভাব, গবেষণা তহবিল বা আয়, নোবেল বিজয়ী এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা। অতএব বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মক্ষমতা উন্নত করতে প্রধান অগ্রাধিকার গবেষণা উন্নয়ন ও প্রচার। সর্বোত্তম মানের গবেষণা ফলাফল তৈরির শক্ত ট্র্যাক রেকর্ডধারী দক্ষ গবেষকরাই উচ্চমানের গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন এবং নতুন গবেষক তৈরি করে গবেষণার খ্যাতি, সাইটেশন, সহযোগিতা, প্রভাব এবং প্রশিক্ষণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষককে অবশ্যই সফল, কর্মক্ষম ও প্রভাবশালী গবেষক হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সত্য যে বিগত দুই দশকে দেশে উচ্চশিক্ষায় সংখ্যা ও অবকাঠামোগত উল্লম্ফন ঘটেছে বিস্তর। তবে মান ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়মিত বিরতিতে তারই প্রকাশ ঘটছে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হতাশাজনক অবস্থানে।

শিক্ষার সমস্যাটা বুঝতে দুটো পরিসংখ্যান রয়েছে, একটা হলো গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স অনুসারে বিশ্বের ১৪১টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান হচ্ছে ১১৩, ঠিক একইভাবে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সের দিকে চোখ ফেরালে দেখা যাচ্ছে আমাদের অবস্থান ১২৯। তার মানে, আমরা যদি ওভাবে চিন্তা করি তাহলে আমরা হলাম পিছিয়ে থাকা একটি রাষ্ট্র। কারণটা হচ্ছে, আমাদের উন্নয়নের যে দর্শন সেটার সঙ্গে আমার শিক্ষার দর্শনের সঙ্গে কখনো সমন্বয় করতে পারি না। এবং আমরা যে উপায়ে আগের সময়ে উন্নয়নকে দেখে এসেছি, সেটা হলো দৃশ্যমান উন্নয়ন বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন—সেটা খুবই ত্রুটিপূর্ণ ছিল, সেই ত্রুটিপূর্ণতার একটা প্রকাশ আমরা দেখেছি শিক্ষা খাতে বছরের পর বছর ক্রমান্বয়ে বাজেট কমেছে। ২০১৫-১৬ সালের মোট জিডিপির ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ ছিল শিক্ষা খাতে, যেটা গত বছরগুলোয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল এ খাতে এবং ২০২৪ সালে সেই বরাদ্দ নেমেছে ১ দশমিক ৭৬ শতাংশে। অন্যদিকে আপনি যদি অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাজেট দেখেন তাহলে দেখা যায়, সেটা প্রতিবছরই ভয়ানকভাবে বেড়েছে। তার মানে দেখাই যাচ্ছে, উন্নয়ন দর্শনের সঙ্গে শিক্ষার দর্শনের সমন্বয়টা আমরা ঘটাতে পারিনি। যারা সমন্বয় ঘটিয়েছে তারাই হচ্ছে গ্লোবাল নলেজ ইনডেক্স এবং হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সের একদম ওপরের সারিতে। বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল হয়েছে, ইউজিসি রয়েছ, ইউজিসিকে সংস্কারের কথাও উঠছে কিংবা সংস্কার হতেও পারে। কিন্তু দিনের শেষে আমার জনসম্পদ যদি দক্ষ না হয়ে ওঠে, অন্তত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা পর্যন্ত, সেই দক্ষতা যদি তৈরি না হয় তাহলে শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কিছু পরিবর্তন এনে সেটা পাল্টানো সম্ভব নয়। দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন আনাও সম্ভব নয়। ফলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে আলাপ হলেই এর থেকে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে আলাদা না করাই ভালো। কেননা দিন শেষে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দর্শনগত অবস্থান। ফলে উচ্চশিক্ষার মান কী হবে সেটা নির্ধারণের আগে রাষ্ট্রের তরফ থেকে শিক্ষার দর্শন পরিষ্কার করা খুব জরুরি।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন দেশের জন্য বিষফোরা এবং সংকটের একটা মূল কারণ হচ্ছে, এগুলো মূলত প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মুনাফা লাভের জন্য। মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে তৈরি হওয়ার কারণে এগুলোর সঙ্গে অপরাজনীতির একটা নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এ পরিবর্তনের মাধ্যমে খুব ভালোই বুঝতে পারছি। বিশেষ করে বর্তমান পরিবর্তিত সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে ঘিরে যে লড়াই চলছে, এক দল আরেক দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, বোর্ডের সদস্যদের সরিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজে আসার চেষ্টা সেই প্রবণতাগুলো দেখে খুব ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে, এ চেষ্টা বা অপচেষ্টা চলছে মূলত মুনাফায় ভাগ বসানোর জন্য। ঠিক একইভাবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে আমি যে কথাটা বলি সেটা হলো, এখানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সমান্তরাল চিত্র হিসেবে বোর্ড অব পলিটিক্যাল লয়ালিটির ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ সবটাই হচ্ছে এই বোর্ড অব পলিটিক্যাল লয়ালিটির প্রকাশ। এবং এ দুই ধরনের সংকট যদি দূর করা না যায়, সমাধান করা না যায়, তাহলে উচ্চশিক্ষার মান বা বিরাজমান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছানো সম্ভব নয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে তাদের পরিস্থিতি নিয়ে একটা সার্বিক গবেষণা হওয়া দরকার এবং এ মুনাফা অর্জনের নিমিত্তে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একেবারে সরকারের তরফ থেকে ‘নট ফর প্রফিট’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন।

সবশেষে বলা যায় গত ৭ই অক্টোবর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখন শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পরিবর্তে উপাচার্য বা উপ-উপাচার্য হতে বেশি আগ্রহী। তিনি বলেছেন, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো ৩০০, ৪০০ বা ৫০০ শিক্ষক আছেন; কিন্তু তারা সবাই কেন উপাচার্য হতে চান, আমি বুঝি না। তিনি আরও বলেছেন, আমি সব সময় একজন ভালো শিক্ষক হতে চেয়েছি, উপাচার্য হতে চাইনি। প্রফেসর ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ উপর্যুক্ত মন্তব্যের পাশাপাশি আরও দু-একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। সেই কথাগুলো নিঃসন্দেহে জনগুরুত্বপূর্ণ। তবে উল্লিখিত মন্তব্যের তুলনায় আপেক্ষিকভাবে কিছুটা কম গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ধসে পড়েছে এবং তাকে কিভাবে উন্নত করা যায় এ ব্যাপারে ভাবনার অবকাশ রয়েছে।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//