নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কোনো পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি সরকার চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
আগামী রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত সরকার কোনো পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পাশাপাশি সরকার চালের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘এরই মধ্যে ছোলা, ডাল, খেজুর আমদানি করা হয়েছে। সয়াবিন তেলও কিছুটা সহনীয় হয়ে এসেছে। যদি দরকার হয় আমরা আবার সয়াবিন তেলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সবচেয়ে বড় কথা হলো এখন থেকে বাজার নজরদারিটা আরো জোরদার করতে হবে। শুধু ভোক্তা সংরক্ষণ আইন দিয়ে হবে না। এখন ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায় আবার নেমে যায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয় দাম কিন্তু মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।’
নতুন করে আবার পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হবে কিনা—জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রমজান শেষ হওয়ার আগে আর কোনো শুল্ক কাঠামো পরিবর্তন করব না। বার্তা দেয়া হয়েছে, রমজান শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা শুল্কে কোনো পরিবর্তন আনব না।’
চালের দাম নিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি স্পেসিফিক আইটেম চালের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যগুলোর ওভারঅল খুব বেশি বেড়েছে, তা নয়। সাপ্লাই চেইনের কারণে এটা (চালের মূল্যবৃদ্ধি) হয়েছে। আমরা দেখছি, যাতে মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে চালের দাম না বাড়ে। এটা মেজর কনসার্ন। চালের দাম একটু যখন বাড়ছিল তখন আমি সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বলেছি। আজ (গতকাল) ক্রয় কমিটির সভায় খাদ্য মন্ত্রণালয়কে নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে। তাদের বলেছি আপনারা যেখান থেকে পারেন চাল আমদানি শুরু করেন। প্রয়োজনে বাফার স্টক করে রাখেন। বাফার স্টক থাকা মানে সরকারের যদি একটা স্টক থাকে তাহলে বাইরে যারা আছে তারা একটু সংযত হয়। দরকার হলে আমরা বলেছি স্পেশাল ওএমএস করে দেব।’
ভ্যাটের পর আয়করের আওতা নাকি বাড়ানো হচ্ছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রেওয়াতি সুবিধাও তুলে নেয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আয়করটা আমরা রেশনালাইজ করব। যার সামর্থ্য আছে তাকে একই হারে কর দিতে হবে। একজনের সামর্থ্য আছে, কিন্তু অন্যভাবে ম্যানেজ করবে, সেটা যাতে না করা হয়। আমাদের করের সংগ্রহটা বাড়াতে হবে।’
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//