Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Monday, 12 May 2025 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

ডেস্ক রিপোর্ট: দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় নিতে পারবে।

শুক্রবার (৯ মে) গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এ এমন বিধান রাখা হয়েছে।

নতুন এ অধ্যাদেশে দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কোনো দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রে মার্জ (একীভূতকরণ) কিংবা প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজন পড়লে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেউলিয়ার উপক্রম হওয়া ব্যাংকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা বিভাগ গঠন করা হবে বলেও অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।

কোনো ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ হলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

ব্যাংকের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এক বা একাধিক ‘ব্রিজ ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেও অধ্যাদেশের বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো দুর্বল ব্যাংকের সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধও করতে পারবে।

দুর্বল বা দেউলিয়া হওয়া ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ব্যাংক হলো ব্রিজ ব্যাংক।

অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের সুবিধাভোগী মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকের সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে ও প্রতারণামূলকভাবে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (রেজল্যুশন) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাই হল রেজল্যুশন।

এসব ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে বিদ্যমান শেয়ারধারী অথবা নতুন শেয়ারধারী দিয়ে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে সাময়িকভাবে ইসলামি ধারাসহ যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও নিতে পারবে।

এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তর আদেশ জারি করতে পারবে। শেয়ার হস্তান্তর গ্রহীতাকে অবশ্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হতে হবে।

কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটির অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবে। আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত কাউকে অবসায়ক নিয়োগ দেবে। অবসায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যাংকের দায়ের ওপর সুদ বা অন্য কোনো মাশুল কার্যকর হবে না।

এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক নিজে থেকেও অবসায়নের প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। লাইসেন্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমানত ও দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য দায় পরিশোধ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কারো কর্ম, নিষ্ক্রিয়তা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে, ব্যাংকের ক্ষতি হলে সেই দায় তাকে নিতে হবে।

অধ্যাদেশের আওতায় জারি হওয়া বিধিবিধান অমান্যকারীদের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//