ডেস্ক রিপোর্ট: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
সোমবার (২ জুন) রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদনের পর প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। অবসান হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা প্রায় ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনের। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর নোবেল জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের এটি প্রথম বাজেট।
বদলে যাওয়া বাংলাদেশের ভিন্ন বাস্তবতায় এবার সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। সংসদ না থাকায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট এবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম বিটিভিসহ অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে প্রচার করা হবে।
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জাতির উদ্দেশ্যে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। বিকেল ৪টায় ধারণকৃত বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচারিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ‘ফিড’ নিয়ে অন্যান্য সব বেসরকারি টেলিভিশন ও বেতারে একই সময়ে জাতীয় বাজেট বক্তব্য প্রচারের অনুরোধ করা হয়েছে এক তথ্য বিবরণীতে।
এর আগে সংসদের বাইরে বাজেট দেওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন দেশের দায়িত্বে ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়েছিল তখনকার অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের বাজেট বক্তব্য (২০০৮-২০০৯ অর্থবছর)।
আসন্ন অর্থবছরের বাজেট হবে দেশের ৫৪তম বাজেট। তাজউদ্দীন আহমদ ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের প্রথম বাজেট পেশ করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তী ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন ওই বাজেট পেশ হয়। তাজউদ্দীন আহমদ ওই দিন একই সঙ্গে ১৯৭১-৭২ ও ১৯৭২-৭৩ অর্থবছর, অর্থাৎ দুই অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছিলেন। এরপর আরও দুবার বাজেট দেন তাজউদ্দীন আহমদ, সেটি সবশেষ দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৪ কোটি টাকায়। ১৩ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট দিয়েছেন সদ্য প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও এম সাইফুর রহমান। দুজনেই ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন। তবে আবুল মাল আবদুল মুহিতই আওয়ামী লীগের হয়ে টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেছেন। তিনি প্রথম বাজেট দেন ১৯৮২-৮৩ সালে, এরশাদের শাসনামলে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//