ডেস্ক রিপোর্ট: বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত সরাসরি পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায়। বিশেষ করে গত পাঁচ বছর ধরে গ্রীষ্ম মৌসুমে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় প্রতিদিনই ৩৬ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছেছে বা তা অতিক্রম করেছে। অতিরিক্ত এই গরমে জেলার কৃষি, পরিবেশ, প্রাণিসম্পদ, মৎস্য ও সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকায় মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এমনকি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও গত ৫ বছর সবখাতেই প্রভাব ফেলছে।
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত ৫ বছরের মধ্যে জেলার কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৫০ টাকা।
তবে সম্প্রতি বেসরকারি এনজিও ওয়েব ফাউন্ডেশন ও রিসোর সমীক্ষায় উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য। তাদের সমীক্ষা অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ জেলায় প্রতি বছরই ক্ষতির পরিমাণ দুই থেকে তিনশো কোটি টাকার বেশি।
সমীক্ষা বলছে, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব সরাসরি অনুভূত হচ্ছে এই জেলাটিতে। এতে জেলায় খরা, ঝড় ও অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি খাত ক্রমাগত ক্ষতির মুখে পড়ছে। এছাড়া জলবায়ুর এই প্রভাবে নির্মাণশ্রমিক, কৃষক, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ খোলা আকাশের নিচে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। গত পাঁচ বছরে জেলায় বোরো ধান, গম, ভুট্টা, শীতকালীন সবজি, তামাক, পেঁয়াজ, কলা, পেঁপে, পানবরজ ও ফলবাগানে আঘাত হানে প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে খরা, অতিবৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে প্রতিবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজারো কৃষক। এসব দুর্যোগে বারবার বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জেলার প্রধান ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) মাসুদুর রহমান সরকার জানান, ২০২২ সাল সবচেয়ে বেশি ক্ষতির বছর ছিল। শুধু ওই বছরেই কৃষিতে ক্ষতি হয় ৪ কোটি ২২ লাখ টাকার বেশি। ২০২৩ ও ২০২৪ সালেও প্রায় অর্ধ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুনরুদ্ধারে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।
বছরভিত্তিক কৃষিতে ক্ষতির পরিমাণ:
২০২০ সালে ক্ষতি ১ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ৭৫০ টাকা, ২০২১ সালে ক্ষতি ২ কোটি ৩৬ লাখ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা, ২০২২ সালে ক্ষতি ৪ কোটি ২২ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ টাকা, ২০২৩ সালে ক্ষতি ৪২ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২০২৪ সালে ক্ষতি ২৩ লাখ ৫০ হাজার ৭০০ টাকা।
সরকারি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের সহায়তা:
২০২০ সালে ২ কোটি ৫৫ লাখ ১৮ হাজার ৬০ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, ২০২১ সালে ৭ কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৫০ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, ২০২২ সালে ৫ কোটি ৩০ লাখ ১২ হাজার ৯৯০ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, ২০২৩ সালে ৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৮৮ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে, ২০২৪ সালে ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ৩৩২ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় কৃষকদের বোরো, আউশ, আমন ধানের বীজ, গম, ভুট্টা, মুগ, মসুর, মাসকলাই, সরিষা, সবজি ও পেঁয়াজসহ নানা মৌসুমী ফসলের বীজ ও সার দেওয়া হয়।
মাসুদুর রহমান সরকার আরও বলেন, আমরা চলতি মৌসুমেও অর্থাৎ এই ২০২৫ সালেও আউশ প্রণোদনা, আমন প্রণোদনা, মুগ, তুলা, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজসহ ১০টির বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। বিশেষ করে খরার সময় কৃষকদের সহনশীল জাত চাষে উৎসাহ দিচ্ছি।
তবে মাঠপর্যায়ের কৃষকদের অভিযোগ, অনেক সময় ক্ষতিপূরণ দীর্ঘসূত্রতায় পেতে হয়। এছাড়া তালিকা তৈরিতে অনেকেই বাদ পড়ে যান। সময়মতো পর্যাপ্ত প্রণোদনা পান না তারা।
সদর উপজেলার সরিষাডাংগা গ্রামের এক কৃষক বলেন, ঝড়ে আমার কলাবাগান শেষ হয়ে যায়। সেসময় ইউপি চেয়ারম্যান তালিকা করলেও এখনো কোনো প্রণোদনা পাইনি। অনেক সময় এই তালিকা রাজনৈতিক হয়।
উপজেলার মাছচাষি হাসান বলেন, পুকুর শুকিয়ে গেলে মাছের খাবার খরচও উঠে না। কৃষিতে তো কিছু প্রণোদনা আসে, কিন্তু মৎস্য খাতে সে রকম কিছু পাই না।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় গত পাঁচ বছরে (২০২০ থেকে ২০২৪) তাপমাত্রা বেড়েছে বিপজ্জনক হারে। একইসঙ্গে কমেছে গড় বৃষ্টিপাত। এ প্রবণতা জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব বলে মনে করছেন পরিবেশবিদ ও আবহাওয়াবিদরা। দীর্ঘমেয়াদে এই ধারা অব্যাহত থাকলে কৃষি, মাছ, প্রাণিসম্পদ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস ও কৃষি বিভাগ সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে জেলার গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১ হাজার ৭২৯ মিলিমিটার। ২০২১ সালে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত ছিল ১ হাজার ৬৭৭ মিলিমিটার এবং ২০২২ সালে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিপাত ছিল ১ হাজার ২১৫ মিলিমিটার। কিন্তু ২০২৩ সালে একই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যায় ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর বৃষ্টিপাত কমে দাঁড়ায় মাত্র ১ হাজার ৮৭ মিলিমিটারে, যা বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এছাড়া ২০২৪ সালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠে যায় ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বৃষ্টিপাত ছিল ১ হাজার ৫০৪ মিলিমিটার। অর্থাৎ গত পাঁচ বছরের হিসেবে প্রতি বছরই গড় বৃষ্টিপাত কমছে এবং গড় তাপমাত্রাও বাড়ছে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক তহমিনা নাছরিন জানান, জেলায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমেছে এবং খরার মাত্রা বেড়েছে। ২০২৪ সালে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবার শীতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে এসেছিল। এই দুই অবস্থায় ফসল ও মৎস্য খাতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা মোকাবিলায় সরকারি নানা পদক্ষেপ আছে। এরমধ্যে বিএডিসি গভীর নলকূপ স্থাপন ও পুরাতনগুলো সংস্কার, কৃষকদের জন্য সেচ সহায়তা কর্মসূচি (সেচ ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে), খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় খাল খনন ও পুনঃখনন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রতিবার শীতে হাজার কম্বল বিতরণ, স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে মোবাইল মেডিকেল টিম গঠন করে সেবা প্রদান, অসহায়দের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলে রাখা (বিশেষত শীতের রাতে), শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ সেবা কেন্দ্র চালু আছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে চুয়াডাঙ্গা বাদ যাচ্ছে না। খরা ও শীতের সময়ে শীতবস্ত্র, শুকনা খাবার এবং কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় আমরা কৃষকদের পাশে আছি। দীর্ঘমেয়াদী চাষ উপযোগী জাত ও টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রকল্প গ্রহণের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একাধিক সুপারিশ পাঠিয়েছি।
এদিকে সমীক্ষা বলছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ ও সাধারণ জীবনযাত্রা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মাঠ পর্যায়ে দেখা গেছে, প্রতি বছরে শুধু মে মাসেই এ জেলার আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় কোটি কোটি টাকা।
‘জলবায়ু উদ্যোগ বাংলাদেশ’ পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, এপ্রিল-মে মাসে ২০ দিনেরও বেশি সময় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে থাকে। আর এর পেছনে রয়েছে ভারতের পশ্চিম দিক থেকে আসা শুষ্ক গরম বাতাস, বন উজাড়, জলাশয়ের সংকোচন এবং বালিমাটির উচ্চ তাপধারণ ক্ষমতা। চুয়াডাঙ্গার ৮৬টি ইটভাটা প্রতি বছর প্রায় এক লাখ টন কাঠ পোড়ায়, যা তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।
সমীক্ষা ও গবেষণা অনুযায়ী কৃষিতে ক্ষতি:
গত ৫ বছরে চুয়াডাঙ্গা জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন কমেছে ২১ হাজার টনের বেশি, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫৩ কোটি টাকা। ভুট্টার উৎপাদন ৮৯ হাজার টন কমে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ ২২২ কোটি টাকার বেশি। ফলে কৃষকেরা অতিরিক্ত সেচ, সারের খরচ এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপে পড়েছেন।
এদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট জলায়তন ৬ হাজার ৩৯৬ হেক্টর, পুকুরের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৮টি, বাওরের সংখ্যা ১০টি, নদীর সংখ্যা ৫টি, বিলের সংখ্যা ৬১টি, মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৫ হাজার ২৭৬ জন, মৎস্যচাষির সংখ্যা ৮ হাজার ২০০ জন। মৎস্যজীবী সমিতির সংখ্যা ৪৪টি। বার্ষিক মাছ উৎপাদন ২৩ হাজার ৭৩০ টন, বার্ষিক মাছের চাহিদা ২৫ হাজার ২৪৫ টন এবং বার্ষিক মাছের ঘাটতি ১ হাজার ৫১৫ টন। এছাড়া তাপদাহে ৫০ শতাংশের বেশি পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে গেছে। এতে রেনু পোনার মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মৎস্য খাতে ক্ষতি প্রায় ৯৮ কোটি টাকার কাছাকাছি।
পরিবেশ বিপন্ন, পানির স্তর নিচে:
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আশঙ্কাজনক হারে নিচে নেমে গেছে। ৫০ শতাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে। ২০১০ সালে চুয়াডাঙ্গায় যেখানে ১২৫ হেক্টর বনভূমি ছিল, এখন তা কমে মাত্র মাত্র কয়েক হেক্টরে দাঁড়িয়েছে। তবে সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
তবে জেলা বন বিভাগ বলছে, গাছ কাটা ও খাল ভরাট বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।
জীবিকা ব্যাহত, আয় কমেছে:
খরা ও শীতে জেলায় গড়ে কর্মঘণ্টা কমেছে ৩ ঘণ্টা। ভ্যানচালক, দিনমজুর, দোকানদার, কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এদিকে এসব ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষায় গবেষণা শেষে কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলো-
খাল-বিল ও পুকুর পুনঃখনন, জলবায়ু সহিষ্ণু ফসল ও জাতের বিস্তার, ড্রিপ ও সৌরচালিত সেচ প্রযুক্তির ব্যবহার, দুধ ও ফল সংরক্ষণের জন্য হিমাগার স্থাপন, গবাদি পশুর জন্য শীতল আবাসন, বনভূমি রক্ষা ও গাছ কাটা বন্ধে কঠোর আইন, দুর্যোগকালীন তহবিল গঠন ও বিকল্প পেশা প্রশিক্ষণ।
গবেষণার নেতৃত্ব:
ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সমীক্ষাটি পরিচালনা করেন ‘জলবায়ু উদ্যোগ বাংলাদেশ’-এর প্রধান গবেষক ড. মো. হাসান আলী। সহ-গবেষক হিসেবে ছিলেন আব্দুস শুকুর, আব্দুস সালাম, জহির রায়হান ও কিতাব আলী।
এছাড়া কৃষিতে খরাসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে প্রাথমিক এই গবেষণা প্রতিবেদনটি বেসরকারি এনজিও রিসো পরিচালিত কৃষকদের সংগঠন ‘কৃষক জোট’ পরিচালনা করে। যার নেতৃত্ব দেন রিসোর নির্বাহী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলামসহ তার গবেষণা দল।
পরিশেষে বলা যায়, এই অঞ্চল এখন জলবায়ু হটস্পটে পরিণত হয়েছে। পরিবেশবিদ ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া আগামীতে জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অসম্ভব হবে।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//