বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: অধিনায়ক যা ইঙ্গিত দিলেন, তাতে আপনারা দুই বন্ধু তো একসঙ্গে খেলছেন? মেহেদী হাসান মিরাজ প্যাড, গ্লাভস ও ব্যাট একসঙ্গে কীভাবে সামলাবেন ভেবেই পাচ্ছিলেন না। সদা হাস্যমুখর, হাসলে মিরাজকে দারুণ দেখায়। খানিক অবাক হওয়ার ভান করলেন বাংলাদেশের তরুণ অফ স্পিনার (অলরাউন্ডার না বললে মিরাজ অবশ্য আপত্তি করতে পারেন), ‘তাই নাকি? মুশফিক ভাই নিশ্চিত করে বলেছেন এ কথা?’ যখন বলা হলো অধিনায়ক যেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে নিশ্চিতই বলা যায়।
‘আলহামদুলিল্লাহ! জানেন, কত দিন ধরে এটা আমি ভাবছি, কবে মোস্তাফিজের সঙ্গে টেস্ট দলে খেলতে পারব। সেই স্বপ্নটা তাহলে পূরণ হতে চলেছে।’
এই দুই বন্ধু বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুজন সেই অনূর্ধ্ব-১৬ দল থেকে সঙ্গী। ২০১৫ সাল পর্যন্ত মিরাজই ছিলেন এগিয়ে। মোস্তাফিজের অধিনায়কও ছিলেন মিরাজ। কিন্তু ২০১৫ সালটাই এগিয়ে দেয় মোস্তাফিজকে। সেই যে পাকিস্তানের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে অভিষেক, তারপর ওয়ানডে ক্রিকেট ও টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে ক্রিকেট পৃথিবীকে সাড়ম্বরে তাঁর আগমনবার্তা জানিয়ে দেওয়া। মিরাজ বন্ধু মোস্তাফিজকে অনুসরণ করেই এগোতে চেয়েছেন। অবশেষে তাঁর অভিষেক হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটে এবং সেটিও আলোয় ভুবন ভরিয়ে দিয়ে। আজ গল টেস্টে দুই বন্ধু যখন একসঙ্গে খেলতে নামবেন, তখন মিরাজ আবার এগিয়ে থাকবেন। তাঁর এটি হবে পঞ্চম টেস্ট, মোস্তাফিজ খেলতে নামবেন তৃতীয় টেস্ট। মিরাজ অবশ্য কে এগিয়ে কে পিছিয়ে, ওসব নিয়ে ভাবেন না। তাঁর আনন্দ হচ্ছে বন্ধুর সঙ্গে টেস্ট খেলতে পারবেন ভেবে, ‘কী যে আনন্দ হচ্ছে আমার! ওর সঙ্গে খেলা মানে দারুণ ব্যাপার। একই সঙ্গে দুই প্রান্তে যদি বল হাতে নিতে পারি আমরা, তাহলে আরও ভালো হবে।’
শুধু মনের মধ্যে আনন্দ পুষে রেখেই বসে থাকছেন না মিরাজ, তাঁর আশাটা আরও বড়, ‘দুই প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত বোলিং করে দলকে আমরা এগিয়ে দেব।’ অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম সংবাদ সম্মেলনে তাঁর তরুণ দুই বোলিং অস্ত্র সম্পর্কে কিন্তু এমন আশাবাদই করে গেছেন।
দেখা যাক, দুই বন্ধু জোড় বেঁধে শ্রীলঙ্কার চরমতম শত্রু হয়ে উঠতে পারেন কি না!
(আরজেডআর/ ৭ মার্চ ২০১৭)