প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: মোবাইল ফোন অপারেটরের নিজেদের গ্রাহকদের (অন-নেট) সঙ্গে কথা বলার সর্বনিম্ন খরচ ২৫ পয়সা, সেটি এখন বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ পয়সা হতে পারে। আবার অন্য অপারেটরে (অফ-নেট) ফোন করার খরচ ৬০ পয়সা থেকে কমিয়ে ৪৫ পয়সা নির্ধারণ হতে পারে। সেই সাথে মোবাইল ফোনে কল করার সর্বোচ্চ মূল্য ২ টাকা থেকে কমিয়ে দেড় টাকা করার প্রস্তাব করেছে বিটিআরসি।
সম্প্রতি কমিশনের এক বৈঠকে মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ পুনর্নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অনুমোদনের পর এটি যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। কারণ, এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব জড়িত আছে।
কলরেট পুনর্নির্ধারণের ফলে টেলিযোগাযোগ খাতের সামগ্রিক আয় বাড়বে বলে বিটিআরসি মনে করে। তবে খাতসংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে নেতিবাচক মনোভাব পেলে এসব সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে বলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে।
বর্তমানে মোবাইল ফোনে কল করার সর্বনিম্ন সীমা ২৫ পয়সা, আর সর্বোচ্চ সীমা ২ টাকা। অর্থাৎ এ সীমার মধ্যে থেকে অপারেটররা বিভিন্ন প্যাকেজে কল করার মূল্য নির্ধারণ করে।
বিটিআরসির নতুন প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কলরেটের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সীমা হবে যথাক্রমে ‘৩৫ পয়সা’ ও ‘১ টাকা ৫০ পয়সা’।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে টেলিটকের গ্রাহকসংখ্যা ৩৭ লাখ, যা কার্যক্রম থাকা অপারেটরের মধ্যে সর্বনিম্ন। সবচেয়ে বেশি ৫ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহক আছে গ্রামীণফোনের। এ ছাড়া এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়া রবির ৩ কোটি ৫০ লাখ আর বাংলালিংকের ৩ কোটি ১৩ লাখ গ্রাহক আছে।
বিটিআরসি ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) সহায়তায় প্রথম ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা বেঁধে দেয়। কলরেট নির্ধারণে সে সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি ‘কস্ট মডেলিং’ করেছিল।
(এম আর / ৭ আগষ্ট, ২০১৭)