প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রামের আওতায় দ্বিতীয় দফায় বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করেছে আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
২৩ আগষ্ট বুধবার হাউজটির প্রধান কার্যালয় রাজধানীর ইউনুস ট্রেড সেন্টার, দিলকুশা, ঢাকায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে এই ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হোসনে আরা পারভীন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো: সালেহ আহমেদ, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এ.টি.এম. নাসির উদ্দিন এবং চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আশরাফুন্নেসা। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আলমগীর হোসেন, সিনিয়র অ্যাসিট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়া মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ম্যানেজার মারুফ হোসেন, অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার সাব্বির হাসানুল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা লিটারেসি প্রোগামে উপস্থিত ছিলেন।
লিটারেসি প্রোগ্রামে ডিএসই’র ডিজিএম হোসনে আরা পারভীন বলেন, এই মার্কেটে যেমন দু:খ আছে তেমনি সুখও আছে। যখন একটি বীজ রোপন করা হয় তখন এর ফল পেতে সময় লাগবে। বিনিয়োগ ঠিক বীজের মতো। প্রতিদিন মাটি পরিবর্তন করবেন না। যখন প্রফিট হয় তখন প্রফিট নেয়ার অভ্যাস করুন। সম্পদ বাড়ান। পরে আবার বিনিয়োগ করুন। দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করুন।
আইআইডিএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) মো: সালেহ আহমেদ বলেন, আপনার পোর্টফলিওকে বিন্যাস্ত করুন। সব ডিম একই ঝুড়িতে রাখবেন না। এক লাখ টাকা থাকলে তিন ভাগে বিভক্ত করে স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করুন। অবশিষ্ট টাকা মন্দাবস্থায় বিনিয়োগ করুন। বড় বিনিয়োগকারী এবং ছোটো বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের ধরণ এক নয়। ঝুঁকিকে যত মিনিমাইজ করা যায় সেভাবে কাজ করতে হবে।
আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) এ.টি.এম. নাসির উদ্দিন বলেন, অনেকে আজকে কিনেই কালকে লাভ নিয়ে চলে যেতে যায়। এটা খুব রিস্ক সবাই পারে না। যার যতটুকু লস সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে তাকে ততটুকু রিস্ক নিতে হবে।
প্রতিষ্ঠানটির সিওও আশরাফুন্নেসা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, শেয়ারে বিনিয়োগ করা মানে কোম্পানির ভবিষ্যত কেনা। যখন কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন তখন ঐ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে কারা রয়েছেন সেগুলো দেখতে হবে। আপনি যে শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন সেটা কি পরিমাণ রিটার্ন দেবে সে বিষয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে। বিনিয়োগকারীরা ক্যাপিটাল গেইন ও ডিভিডেন্ড ইয়েল্ড এর মাধ্যমে শেয়ার ব্যবসায় লাভবান হতে পারেন। ওমুক শেয়ারের দর বাড়বে এটা শুনেই ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে না। এর পেছনে যৌক্তিকতা খুঁজে বের করতে হবে। শেয়ারটি মূল শক্তি কোথায় সে বিষয়ে পড়াশুনা করতে হবে।
সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো: আলমগীর হোসেন বলেন, কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের পূর্বে কোম্পানির বার্ষিক প্রতিবেদনে ডিরেক্টর্স রিপোর্ট প্রদান করে যা বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোম্পানির ম্যানেজমেন্টে কারা আছে তাদের চাল-চলন কেমন সেটা দেখুন। মাছের বাজারে গেলে যেমন মাছ টিপে তাজা বা ভালোটা কিনেন তেমনি শেয়ারবাজারেও শেয়ারের সব খোঁজ খবর নিয়ে কিনেন যাতে পরে হতাশ হতে না হয়। লোন নেয়ার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন। যে পরিমাণ লোন নিবেন সেটা কাভার করতে পারবেন কিনা সেটা আগে ভাবুন। আপনার সব বিনিয়োগ মাত্র একটি কোম্পানির শেয়ারেই বিনিয়োগ করবেন সে ধারণা থেকে সরে আসুন।
(এসএএম/ ২৩ আগস্ট ২০১৭)