Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Thursday, 01 Jan 1970 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: উপমহাদেশের প্রখ্যাত মরমী সাধক শাহ আবদুল করিমের মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১২ সেপ্টেম্বর)। ২০০৯ সালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। কিন্তু রেখে গেছেন এক সৃষ্টিশীল কর্মজীবন। সুনামগঞ্জের উজানধল গ্রাম আর কালনী নদীর ঢেউয়ের সঙ্গে বেড়ে ওঠেন করিম। দারিদ্র্যতা ও জীবন সংগ্রামের মাঝে বড় হওয়া শাহ আবদুল করিমের সঙ্গীত সাধনার শুরু শৈশবে।

ভাটি অঞ্চলের মানুষের সুখ-দুঃখ, প্রেম-ভালোবাসার পাশাপাশি তার গান কথা বলে অন্যায়, অবিচার, কুসংস্কার আর সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি গানের অনুপ্রেরণা হিসেবে পেয়েছেন প্রখ্যাত বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ, পুঞ্জু শাহ এবং দুদ্দু শাহ এর দর্শন থেকে। তার গানে প্রেরণা যুগিয়েছেন স্ত্রী আফতাবুন্নেসা। যাকে তিনি ভালোবেসে সরলা নামে ডাকতেন।

আবদুল করিম আধ্যাত্মিক ও বাউল গানের দীক্ষা লাভ করেছেন কামাল উদ্দীন, সাধক রশীদ উদ্দীন, শাহ ইব্রাহীম মাস্তান বকশ এর কাছ থেকে। শরীয়তী, মারফতি, নবুয়্যত, বেলায়াসহ সব ধরনের বাউল গান এবং গানের অন্যান্য শাখার চর্চাও করেছেন। তার গান গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত মানুষের কাছে সমান তালে জনপ্রিয়।

এই মরমী সাধক প্রায় দেড় সহস্রাধিক গান লিখেছেন এবং সুরারোপ করেছেন। শাহ আবদুল করিমের ৬টি গানের সংকলন প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো হলো আফতাব সঙ্গীত, গণ সঙ্গীত, কালনীর ঢেউ, ভাটির চিঠি, কালনীর কূলে এবং দোলমেলা।

শাহ আব্দুল করিম ২০০১ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এছাড়া দ্বিতীয় সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে এই শিল্পীকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। ২০০০ সালে কথা সাহিত্যিক আবদুর রউফ চৌধুরী পদক পান তিনি।

শাহ আবদুল করিমের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে বন্দে মায়া লাগাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, গাড়ি চলে না, আমি কূলহারা কলঙ্কিনী, কোন মেস্তরি নাও বানাইছে, কেন পিরিতি বাড়াইলারে বন্ধু, বসন্ত বাতাসে সইগো, আইলায় না আইলায় নারে বন্ধু, সখী কুঞ্জ সাজাও গো, রঙ এর দুনিয়া তরে চায় না।

শাহ আবদুল করিম ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই থানার উজানধল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম ইব্রাহীম আলী ও মা’র নাম নাইওরজান। ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে সিলেটের এক ক্লিনিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে উজনাধল গ্রামে প্রিয়তমা স্ত্রীর পাশে সমাহিত করা হয়।

(এমআইআর/ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭)