প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজার এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। নিজের মেধা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিনিয়োগ করলে এখানে ভালো মুনাফার সম্ভাবনা আছে। তবে অন্যের প্ররোচনা বা গুজবে কান না দিয়ে ভেবেচিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে।
বুধবার রাতে চট্টগ্রামের হল ২৪ কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট রেজিস্টার্ড ট্রেডার্স এসোসিয়েশন (বিসিএমআরটিএ) আয়োজিত ‘বার্ষিক প্রীতি সম্মেলন’ অনুষ্ঠানে বক্তারা বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে এই পরামর্শ দেন।
‘এগিয়ে চল একসাথে’ স্লোগানকে সমানে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চট্টগ্রামের ব্রোকারহাউজগুলোর অনুমোদিত প্রতিনিধিদের সংগঠন বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের জিএম ও সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আমীর হোসাইন বলেন, অর্থনীতির সকল সূচক এখন ভালোর দিকে। বিশেষ করে পুঁজিবাজার এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এই স্থিতিশীল অবস্থাকে ধরে রাখতে হলে সকল বিনিয়োগকারীকে একসাথে কাজ করতে হবে। অতীতের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কৌশলে বিনিয়োগ করতে হবে।
চিটাগাং ক্যাপিটাল লিমিটেডের এজিএম ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার পালিত বলেন, চট্টগ্রাম বাণিজ্যিক রাজধানী হওয়ার সত্ত্বেও এখানে খুবই কম ট্রেড হয়। ঢাকাতে যে পরিমাণ ট্রেড হয় তার তুলনায় চট্টগ্রামে ট্রেড বেশ হতাশাজনক। তাই বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি ট্রেড করতে আগ্রহী করে তুলতে হবে।
দীপক কুমার চট্টগ্রাম স্টক এক্সেঞ্জের (সিএসই) প্রতি অনুরোধ জানান,তারা যেন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে চট্টগ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করেন।
সিএসই’র পরিচালক মেজর এমদাদুল ইসলাম (অব) বলেন, এখন সময় অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের সবাইকে পুঁজিবাজারে আরও বেশি সক্রিয় বিনিয়োগকারী বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে। বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডার্স একই সুতায় গাঁথা। বিনিয়োগকারী বেঁচে থাকলে ট্রেডার্স বেঁচে থাকবে। বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে পুঁজিবাজারে সত্যিই আশা জাগছে বলে উল্লেখ করেন।
চিটাগাং স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম সাইফুর রহমান মজুমদার এফসিএমএ বলেন, ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে যে ধস নেমেছিল তা থেকে উত্তোরণে চট্টগ্রাম ক্যাপিটাল মার্কেটের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এ শেয়ারবাজারকে স্থিতিশীল মার্কেটে পরিণত করতে তরুণদের একসাথে হয়ে কাজ করতে হবে। তরুণরা যদি প্রতিটি দিনকে নতুন একটি দিন মনে করে কাজ করে তাহলে শুধু ক্যাপিটাল মার্কেট হয় পুরো বাংলাদেশের চেহারাই বদলে যাবে।
সিএসই খুব শীঘ্রই বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চট্টগ্রাম অফিসের ইনচার্জ ফরিদুল আলম, বিসিএমআরটিএর সহ-সভাপতি ও ফিনিক্স সিকিউরিটিজ এর আলমগীর চৌধুরী, বি রিচ এর আনোয়ার সাদাত মিঠু, ব্রাক ইপিএল ব্রোকারেজ সার্ভিসের মঞ্জুরুল আলম, লোটাস স্টক এন্ড সিকিউরিটি এর আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, লংকাবাংলার শেখ মুনির আহম্মদ, আইডিএলসি সিকিউরিটিজের মিজানুর রহমান, এবি সিকিউরিটিজের নিলুফার ইয়াছমিন, স্মার্ট শেয়ার এন্ড সিকিউরিটিজের নুর মোহাম্মদ বাবু।
অনান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক স্কাই সিকিউরিটিজের অরজিত ভট্টাচার্য, অর্থ সম্পাদক ও ফিনিক্স সিকিউরিটিজের ফজলে এলাহী চৌধুরী রাসেল, দপ্তর সম্পাদক ও আইডিএলসি সিকিউরিটিজের মাসুদ জলিল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ও লংকা বাংলার জিয়া উদ্দীন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক ও স্কয়ার সিকিউরিটিজের এমলাক উদ্দীন, ক্রীড়া সম্পাদক ও সালতা ক্যাপিটালের তাপস দাশ, আইন বিষয়ক ও ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজের আমিরুল ইসলাম রনি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও কবির সিকিউরিটিজের মিসফাকুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং সিকিউরিটিজের শেখ মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংগঠনের সদস্যরা।
(এসএএম/ ০৯ মার্চ ২০১৭)