বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ “অ্যারাইজ” কার্যক্রমের অধীনে ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কাছে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব হস্তান্তর করেছে।
সম্প্রতি আগারগাঁও ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ভবনে হস্তান্তর কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
“অ্যারাইজ” (অ্যাডভান্সড রিপেয়ার এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কিল এনহ্যান্সমেন্ট) হলো চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য কারিগরি দক্ষতা এবং ব্যক্তিত্ব উন্নয়নে সহায়ক একটি ছয় মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। স্যামসাং এই প্রশিক্ষণটি বিনা খরচে প্রদান করেছে এবং ল্যাবরেটরিটি প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ দিয়ে নতুন করে সাজিয়ে দিয়েছে।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিরেক্টর জেনারেল অশোক কুমার বিশ্বাস, স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর স্যাংওয়ান ইউন বলেন, “২০১৫ সালের অসাধারণ সাফল্যের পর আমরা এ বছর আবারও “অ্যারাইজ” প্রকল্পটি নিয়ে এসেছি ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের তৃতীয় ও চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য। আমরা বিশ্বাস করি, দেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা পুরুষের সমান অবদান রাখে। কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তারা এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি কাজ করার সুযোগ পাবে। প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে স্যামসাং সবসময় এগিয়ে এবং এই প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে, আমরা এ দেশের দক্ষ কর্মশক্তিকে সমৃদ্ধ করতে আমাদের কারিগরি অভিজ্ঞতার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে সক্ষম হব।”
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে “অ্যারাইজ” কর্মসূচির সফলতার পর ক্রিয়েটিং শের্য়াড ভ্যাল্যু (সিএসভি) উদ্যোগের অংশ হিসেবে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি ল্যাব ও শ্রেণিকক্ষ স্থাপন করে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ আধুনিক ও উন্নত রিপেয়ার ইকুইপমেন্ট এবং অরগানাইজড স্কিল বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ পায়। ছয় মাসের প্রশিক্ষণ কোর্সের পর স্যামসাং সার্ভিস সেন্টারে শিক্ষার্থীদের এক মাসের জন্য ইনটার্নশিপ সুবিধা প্রদান করা হবে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ প্রতিভাবান জনশক্তি তৈরি করা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে স্যামসাং ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা ও এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রমের মধ্যে গ্যাপ পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ৭৫ জন শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় এবং এদের মধ্যে ৭২ জন কৃতকার্য হয়ে সনদপত্র গ্রহণ করে। পাশ করা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ এখন কর্মরত আছেন যাদের মধ্যে কয়েকজন স্যামসাং এ কাজ করছে।
(এসএএম/ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭)