প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার উপর জোড় দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এর চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরাই প্রধান চালক। আর সেজন্য তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করারই আমাদের প্রধান কাজ। বিনিয়োগ করতে পুঁজির প্রয়োজন; আর যদি তাদের সুরক্ষা না দেওয়া যায় তবে সেই পুঁজি মুক্তির বদলে বিলীন হয়ে যাবে। যদি তাদেরকে বোঝানো না যায়- কখন বিনিয়োগ করতে হবে, কোথায় এবং কোন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করতে হবে।
শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) এ ‘প্রমোটিং ইনভেস্টর প্রোটেকশন ইন বাংলদেশ থ্রো গুড গভনের্ন্স অ্যান্ড রেগুলেটরি মেজারস’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ ২০১৭’ উপলক্ষ্যে এ সেমিনারের আয়োজন করে বিআইসিএম।
উল্লেখ্য, বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষ্যে ২ থেকে ৮ অক্টোবর পযন্ত দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
ড. এম খায়রুল হোসেন, বিনিয়োকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই আমরা কর্পোরেট গাইড লাইন করেছি। লিষ্টেট কোম্পানির জবাবদিহিতার জন্য গাইড লাইন করেছি। এনফোর্সমেন্ট অ্যাকশন বাড়ানো হয়েছে। অনেক ইস্যু ম্যানেজারদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাজারের প্রতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ডিএসই স্ট্যাটেজিক পার্টনার নিচ্ছে। আমাদের সকলের সমন্বিত অগ্রগতি, সরকারের আগ্রহে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ দেখাচ্ছে। অনেকেই বাংলাদেশকে বলে-এশিয়ান টাইগার। সরকারও ২০৪১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যে অর্থ দরকার, তার উৎস হতে পারে পুঁজিবাজার। সরকার দীর্ঘমেয়াদী অর্থের যোগান হতে পারে পুজিবাজার।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইসিএমর সহযোগী অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, এফসিএমএ। প্যানেলিস্ট হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন-বিএসইসির কমিশনার ড. স্বপন কুমার বালা এফসিএমএ, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান সিএফএ। সেমিনারটির মডারেটর ছিলেন-বিআইসিএমের নিবার্হী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান জোয়ারদার। সঞ্চালনায় ছিলেন-বিআইসিএমের প্রভাষক মো. হাবিবুল্লাহ।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র দেবনাথ, এফসিএমএ বলেন, পূঁজিবাজারের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর কিছু অধিকার ও ঝুঁকি রয়েছে। বিদ্যমান আইনের বিনিয়োগকারীদের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীরা তাদের অধিকার ও ঝুঁকি সর্ম্পকে সচেতন নয়। তাদের সচেতন করতে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরিফ খান বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে পূঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে হবে। স্থিতিশীল বাজার যাবে নিশ্চিত করতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রেগুলেটরি, স্টক একচেঞ্জ, ইস্যু ম্যানেজারদের সমন্বনিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোথায়, কীভাবে বিনিয়োগ করতে হবে- তা অনেকেই জানেন না। তাদেরকে সচেতন করতে আজকের সেমিনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
(এসএএম/ ০৭ অক্টোবর ২০১৭)