প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেছেন, সপ্তাহব্যাপি প্রথমবারের ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৭’ এর আয়োজন শুধু পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেই নয়, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তথা সাধারণ মানুষ এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। পাশাপাশি সরকারের নীতিনির্ধারনী মহলেও এ আয়োজন ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে। এক কথায় বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ দেশব্যাপী উৎসবের মধ্যেই উযযাপিত হয়েছে।
রবিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নতুন ভবনে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ-২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, আর ৬-৭ মাস পর কমিশন থেকে আমি বিদায় নেবো। কিন্তু দায়িত্বকালীন সমেয় যে সহযোগিতা বাজার সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের কাছ থেকে পেয়েছি তাতে আমি ধন্য হলুম। আমরা ছয় বছর ধরে কাজ করেছি। এর মধ্যে বাজারকে গতিশীল করার জন্য অনেক আইনের বাস্তবায়ন করেছি। যার ফলাফল হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজারের ওপরে উঠেছে। এই ছয় বছরে প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে সহযোগিতা করেছেন, এটাই আমাদের সফলতা। মার্কেটে যারা কাজ করছেন তাদের যে বাজারের প্রতি আন্তরিকতা দেখছি এতে বলতে পারি যে, আমি সরে গেলেও এই বাজার অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগামী বছর বিএসইসির ২৫ বছর পূর্তি হবে। এই পূর্তি উপলক্ষ্যে আন্তর্জাতিকভাবে একটি সেমিনারের আয়োজন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেমিনারে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সর্বশেষে পুঁজিবাজার উন্নয়নে আমাদের সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে যারা কাজ করেছেন প্রত্যেককেই আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমি না থাকলেও আপনারা সবাই বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে বিএসইসির কাছে আসবেন। সৃষ্ট সমস্যা সমাধান করে বাজারকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে প্রত্যেককেই ভূমিকা পালন করবেন বলে আমি আশা করি।
অনুষ্ঠানে বিএসইসির কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী বলেন, আমাদের লোকবল সীমিত। এই সীমিত সক্ষমতা্র মধ্যে এ ধরনের একটি বড় আয়োজন আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু কমিশনের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বাজার সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা অত্যন্ত সফলভাবে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উদযাপন করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে িএ ধরনের সহযোগিতা ও সমন্বিত পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় বিএসইসির সকল কমিশনার, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান,ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান,ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিআইসিএম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ), সিএফএ সোসাইটি এর সভাপতিসহ অন্যান্যা প্রতিনিধি এবং বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজ,মার্চেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
(শামীম/ ০৮ অক্টোবর ২০১৭)