শামীম-আল-মাসুদ, হেড অব নিউজ, বিনিয়োগবার্তা: ‘ক্যাপিটাল মার্কেটের মূল জিনিস হলো শিল্পায়ণ ও প্রাইমারি মার্কেট। এই মার্কেটে অধিক হারে ইস্যু আনার সুযোগ করে দিতে হবে। তা নাহলে দেশের পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে না, বাজার বড় হবে না। তাই বলে দূর্বল বা ঝুঁকিতে থাকা কোম্পানি বাজারে আনা যাবে না। আর সবকাজেই ভালোর মধ্যেই কিছু খারাপ লুকিয়ে থাকে। মাঝেমাঝে দু/একটা কোম্পানি একটু মন্দ এসে যেতেই পারে। এজন্য আইপিও বন্ধ করে দেওয়া যৌক্তিক নয়। এমন একটা সময় ছিল, যখন বছরে ১৮/২০টির মতো আইপিও অনুমোদন দেওয়া হতো। এখন সেই সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। তাহলে বাজার বড় হবে কেমন করে? তাছাড়া আইপিও বন্ধ করার কারণে বাজারে অনৈতিক প্রবণতা দেখা দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। তাই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে অনুরোধ করবো, সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকলে আইপিও অনুমোদন দিয়ে দেওয়া মার্কেটের জন্য মঙ্গলজনক হবে। ডিসক্লোজার পদ্ধতির আইপিওতে বিনিয়োগকারীদের যাচাই-বাছাই করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা অবশ্যই বুঝে-শুনে কোম্পাগিুলোতে বিনিয়োগ করবেন।’
বিনিয়োগবার্তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় এ কথাগুলো বলছিলেন দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসা স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী মাহবুব এইচ মজুমদার (এফসিএমএ)। পাঠকদের উদ্দেশে এ সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন শামীম-আল-মাসুদ।
বিনিয়োগবার্তা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
মাহবুব এইচ মজুমদার: পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশেই সরকার ব্যবসা করে এমন নজির নাই। কিন্তু আমাদের এখানে এর নজির আছে। দেশের অনেক বড় বড় সেক্টর-করপোরেশন রয়েছে যেগুলো থেকে স্বয়ং সরকারই ব্যবসা করে যাচ্ছে। যেমন- ডিআইটি, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বিক্রি করছে সরকার। এটা কেন করবে? তাহলে সাধারণ আবাসন ব্যবসায়িরা কি করবে? সাধারণ বীমা করপোরেশন, জীবন বীমা করপোরেশনের মতো বড় বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসছে না। এসব প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসলে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশের অনেক বড় বড় প্রকল্পের অর্থের যোগানদাতা হিসাবেও ভূমিকা রাখতে পারে পুঁজিবাজার।
এসব প্রকল্পগুলো তালিকাভূক্ত হলেও এখানে সাধারণ জনগনের অংশগ্রহন বাড়বে, অর্থের যোগান পাওয়া যাবে, সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে, কর্পোরেট গভর্নেন্স বাড়বে, সচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বাড়বে, প্রকল্পগুলোও লাভজনক হবে। কিন্তু সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল এ বিষয়ে মনোযোগ না দিয়ে বিদেশী সাহায্যের দিকে হাত বাড়াচ্ছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ বিমান, দেশের সারকারখানাগুলোর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও দেশের জনগণের সম্পদ। এগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত। এসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসলে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান বাজারে আনতে কাজ করার ক্ষমতা শুধু ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আইসিবির কি এতো এক্সপার্ট লোকবল আছে? তারা কিভাবে একা এসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করবে? আমার কাছে মনে হয়, এসব বিষয়ে সরকারের দৃষ্ঠিভঙ্গির পরিবর্তন হওয়া উচিত। সরকারি সব প্রতিষ্ঠানই লাভে রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাজারে আনতে ‘ব্যুরোক্র্যাসি’ থেকে বের হতে হবে। এ বিষয়ে নীতিনির্ধারণী মহলকে আরও সহনশীল ও জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিনিয়োগবার্তা: বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়?
মাহবুব এইচ মজুমদার: দেশে প্রায় ৫শ বহুজাতিক কোম্পানি দাপটের সঙ্গে কাজ করছে। অথচ, দেশের পুঁজিবাজারে এ পর্যন্ত তালিকাভূক্ত হয়েছে মাত্র ১৩টি। পুঁজিবাজারে আসতে তাদের যত সমস্যা। কেন, কাদের স্বার্থে, কাদের ইন্ধনে তারা বাজারে আসছে না-এটা খুঁজে বের করা উচিত। এসব বিষয়ে সরকারের উপর মহল থেকে অনেক বছর ধরেই বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিক ও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কোম্পানিগুলো বলছে, বাজারে আসতে আইনকানুন বা সচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। তাহলে সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করা উচিত। তাও তো হচ্ছে না। আসলে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোতে দায়িত্বশীল মহলের নিজেদের কিছু লোকজনকে চাকরী-বাকরী দিয়ে রাখছে। আর এ কারণে তারা কোম্পানীগুলোকে চাপ দিতে পারছে না, উল্টো আরো সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে। যেমন- নামমাত্র শেয়ার অফলোড করলেই ট্যাক্স মওকুফ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন ৫০ কোটি টাকার অধিক হলে পুঁজিবাজারে তালিকাভূক্তির একটি আইন রয়েছে, কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে এ আইনকে শিথিল করে দেওয়া হয়েছে। এসবের ফলে এসব কোম্পানিগুলো আরো সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তারা এ দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করে নিয়ে গেলেও আমাদেরকে শুধু কাস্টমার ছাড়া আর কিছুই ভাবছে না। দেশ বা দেশের জনগন তাদের কাছ থেকে অংশিদারিত্বের কিছুই পাচ্ছে না।
আর আসল বিষয়টি হলো- তারা পুঁজিবাজারে আসলে আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে চুলচেড়া বিশ্লেষণ হবে, বিনিয়োগকারীরা প্রতিষ্ঠানগুলোর লাভ লোকসান নিয়ে প্রশ্ন করবে, করপোরেট গভর্নেন্স বাড়বে, অধিক হারে কর দিতে হবে, নানা ধরনের অডিট হবে। এসবের কারণেই মূলত তারা পুঁজিবাজারে আসছে না।
বিনিয়োগবার্তা: অনেকেই অভিযোগ করছেন, আইপিও বা মার্জারের মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা বের হয়ে যাচ্ছে। আপনার কি ধারণা?
মাহবুব এইচ মজুমদার: আসলে এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছেও আছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা কয়েকটি হাউজের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছি। আমরা যেটা পেলাম সেটা হলো- আইপিও বা মার্জারের মাধ্যমে মাত্র অল্প পরিমান টাকা বাজার থেকে বের হয়ে যায়, শতকরা হিসাবে যার পরিমান মাত্র মাইনাস টু পারসেন্ট। কিন্তু আইপিও বা মার্জারের মাধ্যমে তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা বাজারে ঢুকে। আমাদের জরিপকৃত পরিসংখ্যানে যার পরিমান ১৫ শতাংশের বেশি।
তবে বাজার থেকে টাকা যেন বের না হতে পারে, সেজন্য একটি নির্ধারিত সময় বেধে দিয়ে শেয়ার বিক্রির ওপর ‘লকইন’ দেওয়া উচিত বলে আমিমনে করি।
বিনিয়োগবার্তা: অনেক ইস্যু ম্যানেজার বছরের পর বছর ধরে কোনো ইস্যুই আনতে পারছে না। কেন তারা পারছে না? এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
মাহবুব এইচ মজুমদার: ইস্যু ম্যানেজমেন্ট একটা অত্যন্ত নিবির ও পেশাদারি কাজ। এ কাজটি বাস্তবায়ণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক অভিজ্ঞ ও পেশাদার লোকবল থাকতে হয়। বাজারে কার্যরত অনেকেরই তা নাই। একারণে তারা ইস্যু আনতে পারছে না। আর ইস্যুই যদি না আসে তাহলে বিনিয়োগকারীরা কি পাবেন? দেশে ৫৬টি মার্চেন্ট ব্যাংক রয়েছে। আইনে আছে, প্রতিটি ইস্যু ম্যানেজারকে প্রতি দুই বছরে কমপক্ষে একটি ইস্যু আনতে হবে। এ হিসাবে বছরে অন্তত ২৮টি কোম্পানি বাজারে আসার কথা। তাওতো অনেকে পারছে না। আসলে শেয়ারবাজারের পরিধি বাড়াতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত প্রতি বছর বাজারে অন্তত ৫০টি কোম্পানি বাজারে আনার উদ্যোগ নেওয়া। আর প্রতিটি ইস্যু ম্যানেজারকে অন্তত ২টি কোম্পানি আনার বাধ্যবাধকতা দেওয়া।
বিনিয়োগবার্তা: আইপিও পূর্ববর্তী সময়ে কোম্পানিগুলোর মোটাতাজা আর্থিক প্রতিবেদন আর তালিকাভূক্তির পরে মুনাফা কমে আসা এবং শেয়ার দর ইস্যু মূল্যের নিচে নেমে আসাকে কিভাবে দেখছেন?
মাহবুব এইচ মজুমদার: আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে টাকা উঠানোর পরই কোম্পানিগুলোর মুনাফা বাড়ে না। এই টাকাটা কাজে লাগাতে কোম্পানিগুলোর বেশকিছু সময় লেগে যায়। এ কারণে মুনাফার গ্রোথ পেতে বিনিয়োগকারীদের অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি কোম্পানি লিস্টিং এর পর থেকেই লোকসান দেখায়, কিংবা মুনাফা কমে-তাহলে বুঝতে হবে কিছু সমস্যা আছে। এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরও নিবিড় পর্যবেক্ষন করতে হবে। কোনো ধরনের অনিয়ম পেলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। দু/একটি কোম্পানির শাস্তি দেখে যেন বাকিরা সতর্ক হয়ে যায়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। কোম্পানিগুলো যেন বিনিয়োগকারীদের ঠকাতে না পারে সেদিকে সর্বদাই লক্ষ্য রাখতে হবে।
বিনিয়োগবার্তা: বুক বিল্ডিং পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলুন। অনেকে বলছেন, এই পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সিন্ডেকেটের কাছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হচ্ছে। আপনি কি ভাবছেন?
মাহবুব এইচ মজুমদার: বুক বিল্ডিং পদ্ধতি একটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড স্বীকৃত পদ্ধতি। আমাদের এখানে আগে এটি নিয়ে কিছু ভুল-ত্রুটি হয়েছিল। এখন যেটা চলছে, আমি বলবো সেটা ঠিক পদ্ধতিতেই আছে। আর এ পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হচ্ছে না, এখানে সকলেরই বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বর্তমান আইনে এই পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সিন্ডিকেট হওয়ার কোনো সুযোগ নাই বলে আমি মনে করি।
বিনিয়োগবার্তা: পুঁজিবাজারে ’বাংলা’ শব্দের প্রচলন নিয়ে কিছু বলুন।
মাহবুব এইচ মজুমদার: আসলে শেয়ারবাজার, স্টক এক্সচেঞ্জ, স্টেক হোল্ডার, ট্রেক হোল্ডার, লিস্টিং রেগুলেশন, পাবলিক ইস্যু রুলস, কমপ্লায়েন্স, ডিভিডেন্ড এসবের প্রায় সবই ইংরেজী শব্দ। বাংলা ভাষাভাষীর এ দেশে অনেক শিক্ষিত মানুষেরও ইংরেজী বুঝতে বা বলতে কষ্ট হয়। আমিও মনে করি, যেখানে আদালতের রায় বাংলায় দেওয়াসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহারের বাধ্যবাধবাধকতা প্রণয়নের কাজ চলছে, সেখানে পুঁজিবাজারেও বাংলার ব্যবহার বাড়ানো উচিত।
কিন্তু এও ঠিক যে, অনেক ইংরেজী শব্দের সঠিক বাংলা প্রতিশব্দ বা শব্দার্থ পাওয়া মুশকিল। তারপরও আমি বলবো-এ বিষয়ে একটি রিসার্স সেল তৈরী করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন বাড়াতে উদ্যোগী হওয়া যায়। সকলে চাইলে এটা কোনো কঠিন কাজ না।
বিনিয়োগবার্তা: বাজারের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বলুন। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের জন্য আপনার পরামর্শ কি?
মাহবুব এইচ মজুমদার: দেশের পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বর্তমানে ভালো বলে আমি মনে করি। বাজার এখন অনেক স্থিতিশীল রয়েছে। এই অবস্থায় এখানে বিনিয়োগ করা যায়।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি পুঁজিবাজার বান্ধব হলেও আমাদের এখানে তার ব্যতিক্রম দেখা যায়। তাই এ বাজারকে আরও প্রানবন্ত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও পুঁজিবান্ধব হতে হবে।
আর বিনিয়োগকারীদের জন্য আমার পরামর্শ হলো-আপনারা স্বল্প সময়ের জন্য বিনিয়োগ করতে পুঁজিবাজারে আসবেন না। আগের দিন শেয়ার কিনবেন, আর পরের দিন বিক্রি করবেন-এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসুন। ভাল কোম্পানি দেখে দীর্ঘ সময়ের জন্য বিনিয়োগ করুন। আর বিনিয়োগের আগে কোম্পানির শেয়ার দরের দিকে না তাকিয়ে এর অভ্যন্তরে কারা রয়েছে, উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের বেক গ্রাউন্ড কি, কোম্পানির ডিভিডেন্ড হিসট্রি কি, সম্পদ কি রকম এগুলো দেখে, বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করুন। তাহলেই এ বাজার থেকে লাভবান হবেন।
(শামীম/ ২৭ আগস্ট ২০১৬, পূন:প্রকাশ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭)