বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: কোনো একক গ্রাহকের কাছে ১৫টির বেশি মোবাইল সিম বা রিম থাকলে অতিরিক্ত সিমগুলো চলতি মাসেই (ডিসেম্বর) নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশনা এসেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছ থেকে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ নির্দেশনা মানতে হবে।
আজ মঙ্গলবার দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটরকে পাঠানো এক নির্দেশনায় বিটিআরসি বলেছে, গ্রাহক ওই সময়ের মধ্যে স্বেচ্ছায় অতিরিক্তি সিম নিষ্ক্রিয় না করলে কমিশন পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরের মাধ্যমে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল ও বন্ধ করে দেবে।
সেক্ষেত্রে গ্রাহকের প্রয়োজনীয় সিমও বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে ওই নোটিসে।
২০১৬ সালের ২০ জুন গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ২০টি সিম রাখা যাবে বলে বিটিআরসি সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তা আরও কমিয়ে গতবছরের অগাস্টে সর্বোচ্চ পাঁচটি সিম রাখার অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে গত ২৪ অক্টোবর গ্রাহক প্রতি সর্বোচ্চ ১৫টি সিম বা রিম রাখার সুযোগ দেয় বিটিআরসি।
মঙ্গলবার পাঠানো নির্দেশনায় বিটিআরসি বলেছে, গ্রাহকদের কাছে ১৫টির বেশি সিম থাকলে তা অবৈধ। সুতরাং তাকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের নিজস্ব কাস্টমার কেয়ারে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত সিম নিষ্ক্রিয় করে ফেলতে হবে।
গ্রাহক নিজে থেকে বন্ধ না করলে বিটিআরসি কোন সিমগুলো অতিরিক্ত হিসেবে বিবেচনা করে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেবে, তা ওই নির্দেশনায় জানানো হয়নি।
কোনো গ্রাহকের পাসপোর্ট, এনআইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা জন্ম নিবন্ধন সনদের বিপরীতে কতটি সিম রয়েছে তা দুটি পদ্ধতিতে জানা যাবে।
>> গ্রাহক *১৬০০১# নম্বরে ডায়াল করলে ইউএসএসডি কোডে তার কাছে এনআইডির শেষ ৪ ডিজিট জানতে চাওয়া হবে। তা লিখে সেন্ড করলে ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেওয়া হবে তার নামে থাকা সিমের সংখ্যা।
>> এনআইডি নম্বরের শেষ ৪ ডিজিট লিখে ১৬০০১ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ওই এনআইডির বিপরীতে সিম সংখ্যা জানতে পারবেন গ্রাহক।
বিটিআরসি বলেছে, কর্পোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে সিম সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়া বাস্তব সম্মত নয়। তাই কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সিম বা রিম কেনার জন্য অনুমোদিত ব্যক্তি এ সীমার আওতামুক্ত থাকবেন।
(এমআইআর/ ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭)