বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে না থাকা বিষয়ক ব্রেক্সিট বিলে সই করেছেন যুক্তরাজ্যের রানী এলিজাবেথ। এরফলে ইউনিয়ন ত্যাগ করার বিষয়ে এখন থেকেই আলোচনা শুরু করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (নোটিফিকেশন অব উইথড্রয়াল) বিল রাজকীয় অনুমোদন পাওয়ার বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন হাউস অব কমন্সের স্পিকার।
এখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের বিষয়ে ব্রাসেলসকে অবহিত করতে পারবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এ প্রসঙ্গে আগামী দুই বছর মেয়াদি আলাপ-আলোচনা ও দর কষা-কষির প্রক্রিয়া চলবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে গত সোমবার যুক্তরাজ্য সংসদের উচ্চ কক্ষে ব্রেক্সিট বিলটি পাশ হয়। ব্রিটেনের সংসদের উচ্চ কক্ষ, হাউস অফ লর্ডস, আর্টিকেল-৫০ সংসদে পাশের পর রানীর অনুমোদন পাওয়ায় যুক্তরাজ্যের ইইউ ছাড়তে এখন আর কোনো বাধা নেই।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়কে সরকারের উপর চাপ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ফরাসী নাগরিক এন-লর ডন্সকি বলেন, আমরা যারা এখন যুক্তরাজ্যে বাস করছি, রাজনৈতিক আলোচনার টেবিলে দর কষা-কষির জন্য তাদেরকেই আসলে ব্যবহার করা হবে। এক্ষেত্রে আমাদের আর কিছুই বলারও থাকবে না।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ইইউ এর যে সব নাগরিক যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন- তাদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
এদিকে স্কটিশদের স্বাধীনতার লক্ষ্যে আরেকটি গণভোটের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেন বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই গণভোট প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কারণ স্কটল্যান্ডের অনেক মানুষ ইইউ-তে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছিল। স্টার্জন বলেন, স্কটিশরা যদি সত্যিই এমনটি চায় তাহলে যুক্তরাজ্য থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের আগেই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হতে হবে।
অন্যদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে বলেন, স্বাধীনতার জন্য স্কটল্যান্ডে আবারও গণভোট হলে বিভেদ সৃষ্টি হবে। অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরিরও আশঙ্কা আছে।
(এসএএম/ ১৮ মার্চ ২০১৭)