বিনিয়োগবার্তা ডেস্কঃ ঢাকাঃ জ্বালানি তেল খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সম্মত হয়েছে চীন ও সৌদি আরব। এর ফলে চীনে সৌদি আরবের তেল রফতানির পরিমাণ বাড়বে। সৌদি বাদশাহ’র বেইজিং সফর শেষে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (১৮ মার্চ) যৌথ বিবৃতি দেয় বেইজিং-রিয়াদ। এতে বলা হয়, বিশ্বের বৃহত্তম তেল রফতানিকারক দেশ, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির সঙ্গে জ্বালানী খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। এর আওতায় চীনের বাজারে সৌদি তেল রফতানির পরিমাণও ক্রমাগত বাড়বে।
আরো বলা হয়, দুদেশই বৈশ্বিক জ্বালানী তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আগ্রহী। উভয়ই এ খাতের স্থিতিশীলতার গুরুত্ব সম্পর্কে অবগত। চীন এ বাজারে সৌদি আরবকে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য সরবরাহকারী বিবেচনা করে। একইসঙ্গে বাজারের স্থিতিশীলতা রক্ষায় দেশটির ভূমিকাকে সম্মান করে।
বেইজিং সফরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ চীনা প্রশাসনের সঙ্গে ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অঙ্গন নিয়ে চীনের কৌশলগত নীরবতার কারণে এ সফরে মূলত বাণিজ্য সম্পর্ক প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনের বৈধ সরকারকে সমর্থনে সম্মত হয়েছে দুদেশে।
সৌদি বাদশাহ সালমান মাসব্যাপী এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে চীন সফর করলেন। এর আগে তিনি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও জাপান সফর করেন। ২০১৫ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার বাইরে এটিই তার প্রথম সফর। বেইজিং হয়ে তার মালদ্বীপ যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেশটিতে ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় তিনি সফর বাতিল করে রিয়াদ ফিরে গেছেন।
মালয়েশিয়া সফরকালে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে জঙ্গিরা। মালয়েশিয়া সরকারের উদ্যোগে আগাম এ পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দেয়া সম্ভব হয়। হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় ৭ জনকে।
সূত্র: রয়টার্স
(আরআর/১৮ই মার্চ ২০১৭)