২৯ জানুয়ারী ২০১৮ তারিখে চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক৷ ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারকে কর্পোরেট গ্রাহক ও প্রবাসী বাংলাদেশীর কাছে আরো গ্রহণযোগ্য ও বিনিয়োগে আকৃষ্ট করবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আর এই প্রয়াসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে অভিনন্দন জানিয়েছে।

ঘোষিত মুদ্রনীতি মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রা, কর্মসংস্থান তথা দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত সময়োপোগী ও দিক-নির্দেশনা মূলক মুদ্রানীতি। মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা৷

ঘোষিত মুদ্রানীতিতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে কর্পোরেট গ্রাহকদের মেয়াদী প্রকল্প বিনিয়োগ অর্থায়নে ব্যাংকগুলোর ওপর অতি নির্ভরতার প্রবণতা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে এনে এঁদেরকে মূলধন বাজারে বন্ড ইস্যু করে অর্থায়ন সংগ্রহে উৎসাহ ও সহায়তা প্রদানে ব্যাংকগুলোকে সক্রিয় করার কথা বলা হয়েছে৷ এতে পুঁজিবাজারে পণ্যের বৈচিত্রতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি এর গভীরতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷

নতুন মুদ্রানীতিতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বৈদেশিক সঞ্চয় ও আর্থিক বিনিয়োগ বাংলাদেশের অর্থ ও মূলধন বাজারমূখী করার জন্য অনিবাসী বিনিয়োগ টাকা হিসাব (NITA) খুলে বাংলাদেশের মূলধন বাজারে এদের পোর্টফোলিও বিনিয়োগ পরিচালনায় ব্যাংকগুলোকে আরও বেশি উদ্যোগী করার বিষয়ে বিশেষভাবে জোর দেয়া হয়েছে। এতে বিদেশী পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আরো বৃদ্ধি পাবে৷

পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে সারা বিশ্বে নীতি-সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকে, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সে ধরনের ভূমিকাই রয়েছে বলে ধারণা করছেন অনেকে৷ এই মুদ্রানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ এটিকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

(বিনিয়োগবার্তা/ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮)