বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: ছেলে আব্রাহাম খান জয়ের দায়িত্ব নিলেও অপু বিশ্বাসের দায়িত্ব নেবেন না চিত্রনায়ক শাকিব খান।সোমবর বিকেলে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস তাদের সম্পর্কের কথা জানানোর পর শাকিব খান তার প্রতিক্রিয়া জানান।
এক সংবাদ মাধ্যম তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে শাকিব খান বলেন, ছেলের দায়িত্ব নেব। কিন্তু অপুর দায়িত্ব নেব না।
তিনি সংবাদ মাধ্যমটির কাছে এর আগে তাদের বিয়ে ও সন্তানের কথা স্বীকার করেন।
অপু বিশ্বাস যখন সরাসরি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কের কথা জানাচ্ছিলেন, তখন রাজধানীর একটি হোটেলে শরীর চর্চায় ব্যস্ত ছিলেন শাকিব খান। সেখান থেকে তিনি বলেন, অপুর আচরণে ক্ষুব্ধ তিনি।
শাকিবের দাবি, এটি তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করার জন্য এটা চক্রান্ত। বিয়ের কথা এত দিন গোপন রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন সামনে আনতে চাইনি। এখন সে (অপু বিশ্বাস) এনেছে। তাঁর সব চাহিদা পূরণ করেছি। যখন বলেছে টাকা দিয়েছি।’
শাকিব খান বলেন, ‘আব্রাহামের দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব। সে আমার সন্তান। সারাজীবন তার দায়িত্ব আমি নিয়ে যাব।’
অপু বিশ্বাস টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, ২০০৮ সালে ১৮ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়। শাকিবের ঢাকার বাসায় এই বিয়ে হয়। পরিবারের কাছের লোকজন সেই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের সময় তার নাম হয় অপু ইসলাম খান। শাকিবের ইচ্ছাতেই এতো দিন বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে।
হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার ১০ মাস পর ফেরেন অপু বিশ্বাস। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ সময়টায় তিনি ভারত, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে ছিলেন। কলকাতার একটি হাসপাতালে তার ছেলের জন্ম হয়, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। ছেলের নাম আব্রাহাম খান জয়।
অপু বিশ্বাস এসব কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, শাকিবের ভালো চিন্তা করে তিনি সব করেছেন। অনেক ছাড় দিয়েছেন। ধৈর্য ধরতে ধরতে শেষ সীমানায় পৌঁছে গেছেন তিনি। তাই এবার সব বলছেন।
শাকিব সম্মান করেননি, বরং বারবার ছোট করেছেন বলে অপু বিশ্বাস বলেন। তাঁর ভাষায়, ‘সম্মান চেয়েছি। পাইনি। বারবার ছোট হয়েছি।’
এক পর্যায়ে অপু বিশ্বাস বলেন, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর শাকিব তাকে বলেছেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে। তাই তিনি তেমনটা করেছেন। সন্তান হওয়ার সময় শাকিব তার পাশে ছিলেন না। তবে ঢাকায় আসার পর সন্তানকে দেখতে যান। সন্তানের সব খরচও দেন।
তিনি বলেন, তার ছেলেকে তিনি মানুষের মতো মানুষ করতে চান। সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, আমি চাই, আমার ছেলে যেন কখনো কোনো মেয়েকে প্রতারণা না করে।
(ইউএম/ ১০ এপ্রিল ২০১৭)