Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়
Thursday, 01 Jan 1970 06:00
Biniyougbarta | বিনিয়োগবার্তা: ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-বিনিয়োগের খবর প্রতিদিন সবসময়

শামীম-আল-মাসুদ, হেড অব নিউজ, বিনিয়োগবার্তা: ‘পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতির জন্যই পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। উন্নত দেশগুলোতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হিসাবে উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারকে বেছে নেয়। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে এখনো সেই রকম কিছু হচ্ছে না। আসলে এই বাজারে এখনো সচ্ছতা ও বিধি বিধানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আর এই অভাবের কারনে তালিকাভূক্ত হওয়ার আগে ও পরে নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। এ কারণে অনেকেই পুঁজিবাজারে যেতে চায় না। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও বিষয়টি এরকমই। তারা পৃথিবীর অনান্য শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হলেও বিভিন্ন অযুহাতে আমাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হচ্ছে না। তাই আমি বলবো সহায়ক আইন কানুন তৈরী ও যথাযত তদারকির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশের বেসরকারি খাতের বড় বড় কোম্পানি এবং দেশে কার্যরত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহিত করুন।’

বিনিয়োগবার্তা’র সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দেশের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শেয়ারবাজার নিয়ে এসব কথা বলেন নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।   সাক্ষাৎকারটির চুম্বক অংশ পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো:

বিনিয়োগবার্তা: দেশের বর্তমান ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলুন।
আবদুল মাতলুব আহমাদ: বাংলাদেশ বর্তমানে একটি চমৎকার সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ, সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতিসহ নানা কারণে বিশ্বের বড় বড় বিনিয়োগকারীদের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে। ইতোমধ্যে এদেশের অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগ, ব্যাংকিং, টেক্সটাইল-গার্মেন্টস শিল্প, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পেট্রোলিয়াম, কৃষিসহ বিভিন্ন খাতে সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করতে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশ, প্রতিবেশি ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বহুদূর এগিয়ে যেতে পারি। অভ্যন্তরিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে আত্নপ্রকাশ করতে পারবে বলে আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি।

বিনিয়োগবার্তা: সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলায় দেশের শিল্প-বিনিয়োগ বা ব্যবসা-বাণিজ্য বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: দেখুন, জঙ্গিবাদ শুধু আমাদের একার সমস্যা নয়। বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপিই শুরু হয়েছে। পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও একই ধরনের হামলা হচ্ছে। এজন্য কি উন্নয়ন থেমে আছে? বিশ্বের অনান্য দেশ যদি এতোসব সমস্যা নিয়েও এগিয়ে যেতে পারে তাহলে আমরা কেন পারবো না। এসব জঙ্গিবাদের কারণে বিনিয়োগ বা ব্যবসা-বাণিজ্য সাময়িকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হলেও তা কাটিয়ে উঠা সম্ভব। এসব কাটিয়েই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আর আমাদের এখানে সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলা হয়েছে। এসব হামলায় জড়িতরা শাস্তির আওতায় চলে এসেছে। এসব ন্যাক্কারজনক কাজে আরও যারা জড়িত তারাও আইনের আওতায় আসবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদিদের দমনে সরকার নিরন্তর চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরাও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বলছি আসুন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। এখানে বিনিয়োগ করলে আমরাও লাভবান হবো আর আপনারাও লাভবান হবেন।
তিনি বলেন, এই দেশটা আমার, আপনার, আমাদের সকলের। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এই মানচিত্র পেয়েছি। এর অভ্যন্তরিন শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। শুধু সরকারের একার পক্ষে এ দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এজন্য সরকার ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ, সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সকলে মিলে এ দেশের উন্নয়নে কাজ করবো এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা হওয়া উচিত।

বিনিয়োগবার্তা: ব্যাংক ঋনের সুদ হার সিঙ্গেল নামিয়ে আনতে আপনাদের দাবি ছিল। এ বিষয়ে অগ্রগতি কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: দেশের ব্যাংকগুলোতে অনেক টাকা অলস পড়েছিল । উচ্চ সুদের কারণে ব্যাংক থেকে কোনো উদ্যোক্তারা টাকা নিতে আগ্রহী নয়। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন মহল ও কেন্দ্রিয় ব্যাংকের সঙ্গে অনেক বৈঠক হয়েছে। ইতোমধ্যে সুদের হার কিছুটা নামিয়ে আনতেও আমরা সক্ষম হয়েছি। এছাড়া সকলপক্ষই সুদ হার আরও কমিয়ে আনতে ঐকমত্যে পৌছেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে সায় দিয়েছেন। তবে এ বিষয়টির সঙ্গে অনেকগুলো প্রক্রিয়া জড়িত বিধায় ধীরে ধীরে কাজটি গুছিয়ে আনতে হচ্ছে। তবে আমরা আশা করি খুব শিগগীরই এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এরপরই দেশের ব্যবসায়িসহ সকল উদ্যোক্তারা সিঙ্গেল ডিজিটে ব্যাংক লোন নিতে পারবেন।

বিনিয়োগবার্তা: নতুন ভ্যাট আইনে আপনাদের যেসব দাবি-দাওয়া ছিল তার প্রতিফলন কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: নতুন ভ্যাট আইনের সংশোধনী নিয়ে আমাদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা বলেছি, এ আইন বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এবিআর) পূর্ণ প্রস্তুত নয়। আর আমরাও (ব্যবসায়িরা) প্রস্তুত নই। তাই এটি এখনই বাস্তবায়ন করা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আমাদের দাবি বিবেচনায় নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমাদের দাবি যৌক্তিক। তাই নতুন আইন বাস্তবায়নের জন্য আমাদেরকে আরও এক বছর সময় দিয়েছেন। এই এক বছর আমরা পুরোনো আইনেই ভ্যাট দিবো। আর ভ্যাট অনলাইন নিয়ে ইতোমধ্যে এনবিআরের সঙ্গে মিটিং হয়েছে। খুব শিগগীরই সারদেশে ৫৪টি ভ্যাট অনলাইন সেমিনার করবো। এসব সেমিনারে এনবিআর ও সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের ব্যবসায়িরা উপস্থিত থাকবেন। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিনিময় হবে। নতুন আইনের সুবিধা-অসুবিধা সবই এসব আলাচনায় স্থান পাবে। নতুন ভ্যাট আইনে আমাদের জন্য অনেক সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এসব বিষয়ে ব্যবসায়িদের ধারণা দিতেই আমাদের এসব সেমিনার হবে।

বিনিয়োগবার্তা: দেশের পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে এবং বৃহৎ ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনতে আপনার পরামর্শ কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: পৃথিবীর সব দেশের অর্থনীতির জন্যই পুঁজিবাজার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। উন্নত দেশগুলোতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হিসাবে উদ্যোক্তারা পুঁজিবাজারকে বেছে নেয়। কিন্তু আমাদের পুঁজিবাজারে এখনো সেই রকম কিছু হচ্ছে না। আসলে এই বাজারে এখনো সচ্ছতা ও বিধি বিধানের যথেষ্ট অভাব রয়েছে। আর এই অভাবের কারনে তালিকাভূক্ত হওয়ার আগে ও পরে নানা হয়রানীর শিকার হতে হয়। এ কারণে অনেকেই পুঁজিবাজারে যেতে চায় না। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও বিষয়টি এরকমই। তারা পৃথিবীর অনান্য শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হলেও বিভিন্ন অযুহাতে আমাদের শেয়ারবাজারে তালিকাভূক্ত হচ্ছে না। তাই আমি বলবো সহায়ক আইন কানুন তৈরী ও যথাযত তদারকির মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও দেশের বেসরকারি খাতের বড় বড় কোম্পানি এবং দেশে কার্যরত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে আসতে উৎসাহিত করুন। এ বিষয়ে পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদেরকে নিয়ে একসঙ্গে বসুন। আমি মনে করি, সকলের সমস্যা এক টেবিলে নিয়ে আসতে হবে এবং সেখান থেকে এ বিষয়ে কাজ শুরু করতে হবে। ব্যবসায়ি সমাজের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে এফবিসিসিআই এ বিষয়ে সহায়তা করবে।

বিনিয়োগবার্তা: সদ্য সমাপ্ত বিবিআইএন ফেয়ারের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি নিয়ে বলুন।
আবদুল মাতলুব আহমাদ:  আমাদের প্রতিবেশি চার দেশের সমন্বয়ে (ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটান) বিবিআইএন ফেয়ার করা হয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, বিশ্বাসীকে এই চার দেশের ব্যবসায়িদের মধ্যে বিশ্বাসের জায়গাটি সম্পর্কে জানান দেওয়া। আমরা সফল হয়েছি। আমাদের সবার মধ্যে বিশ্বাসের জায়গাটি তুঙ্গে রয়েছে। আমারা চাই একজন আরেক জনের সঙ্গে ব্যবসা করতে। আমাদের প্রচেষ্ঠা সফল হবে। এরই ফলশ্রুতিতে আমাদের মেলা শেষ হওয়ার কিছুদিন পরই বিশ্বব্যাংক এ বিষয়ে বড় অঙ্কের অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগামীতে সিলেটে এ বিষয়ে আরও একটি অনুষ্ঠান হবে। এরপর বিষয়টি আরও গতি পাবে। আমরা চাই এই চার দেশের মধ্যে যেকোন বর্ডার দিয়ে আমাদের গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে পারবো কিংবা আমাদের পণ্যের গাড়ি সরাসরি ওইসব দেশে যেতে পারবে।

বিনিয়োগবার্তা: পঞ্চগড়কে বিবআইএন এর হেড কোয়াটার করার প্রস্তাব করছেন কেন?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: ভৌগলিক দিক থেকে পঞ্চগড় বিবিআইএনভূক্ত দেশগুলোর মাঝামাঝি স্থানে রয়েছে। আর বাংলাদেশের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো বিভিন্ন ক্ষেত্রেই অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে। সকল পক্ষের যোগাযোগের সুবিধার জন্যই ওই অঞ্চলকে বিবআইএন এর হেড কোয়াটার করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিলেটে একটি বৈঠক হবে। এরপরই এ বিষয়ে চূড়ান্তভাবে বলা যাবে।

বিনিয়োগবার্তা: বিআইএনভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিসা ফ্রি করার কোন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: আসলে ভিসা ফ্রি করার কথা আমরা বলছি না। আমরা বলছি, ‘ভিসা অন এরাইভ্যাল’ এর কথা। এ প্রক্রিয়ায় ভিসার জন্য হাইকমিশনে দৌড়ঝাঁপের দরকার হবে না। আমরা যখন যেই বর্ডার দিয়ে যেতে চাই, সেই বর্ডারে গিয়ে পাসপোর্ট দেবো। ওখান থেকে নির্ধারিত একটি ফরম দেবে, আমরা তা ফিলআপ করবো। আর সেখান থেকেই ততক্ষনাৎ ভিসা লাগিয়ে দেওয়া হবে। আর ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় ফি সংশ্লিষ্ট বর্ডারেই পরিশোধ করতে হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে আমরা ফ্রি মুভমেন্ট করতে পারবো, আমাদের পণ্যও সহজে অন্য দেশে যেতে পারবে। হয়রানী হতে হবে না। আর এই প্রক্রিয়াটি ভারতের সঙ্গেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভূটান, ইন্দোনেশিয়ায় অলরেডি এই প্রক্রিয়ায়ই আমরা চলছি।

বিনিয়োগবার্তা: প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: আসলে বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে আমরা কাজ করছি না। আমরা কাজ করছি রফতানি বাড়াতে। বর্তমানে বিশ্বের কোনো দেশই বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ভাবছে না। সবাই রফতানি বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছে। রফতানি ডাইভারসিফিকেশনের দিকে নজর দিচ্ছে। বিশেষ করে অনেকে বলে প্রতিবেশি দেশ ভারতের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু তারচেযেও অনেক বেশি রয়েছে চীনের সঙ্গে। কিন্তু তা নিয়ে কারও কোনো কথা নাই। ভারতের কাছ থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা কাচাঁমাল এনে থাকি। আমরা সেসব দিয়ে পণ্য উৎপাদন করে আবার ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রফতানি করি। আমার নতুন নতুন রফতানির বাজার সৃষ্টি করতে কাজ করতে চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। কারণ নতুন বাজার সৃষ্টি করতে না পারলে বাণিজ্য বাড়ানো যাবে না। আর বাণিজ্য না বাড়লে দেশ এগুবে না।

বিনিয়োগবার্তা: দেশের প্রতি জেলায় তিনজন করে নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর যে পরিকল্পনা ছিল তার অগ্রগতি কি?
আবদুল মাতলুব আহমাদ: এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি। প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারতের সুরাক থেকে ৮ জনের একটি ডেলিগেশন এসেছিল। তারা শাড়ি লুঙ্গির ওপর এক্সপার্ট। তারা আমাদের ৬৪ জেলায় যৌথভাবে শাড়ি লুঙ্গির কারখানা করবে। প্রতি জেলায় তিনটি কারখানা করবে বলে তারা আমাদের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর আওতায় প্রতি জেলায় তিনজন করে নতুন উদ্যোক্তা খুঁজে বের করা হবে। এরমধ্যে ২জন নারী আর একজন পুরুষ থাকবে। আগামী মাসে এ বিষয়ে সুরাকে একটি বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে এ বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। চুক্তির পরই নতুন উদ্যোক্তা তৈরীর কাজে আনুষ্ঠানিকভাবে হাত দেবো। আর সকল ক্ষেত্রেই জেলা চেম্বারগুলোর মতামত ও সুপারিশকে প্রধান্য দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আবদুল মাতলুব আহমাদের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫২ সালে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। ১৯৮২ সালে ছোট একটি গ্যারেজ ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। এখন মটর, ইলেক্ট্রনিক্স, চিনি, সিমেন্ট, কাগজশিল্পসহ ডজন খানেক শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাঁর। ইতোপূর্বে তিনি ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ অটোমোবাইলস অ্যাসেম্বলস অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) পরিচালক ছিলেন তিনি। বিগত ২৩ মে ২০১৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এফবিসিসিআইয়ের দ্বিবার্ষিক (২০১৫-১৭) নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।

(এসএএম/ ১২ নভেম্বর ২০১৬)