বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: আজ ২৫ এপ্রিল বন্দর দিবস। ১৩০ বছর আগে ১৮৮৮ সালের এই দিনে কর্ণফুলী নদীর মোহনায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল চট্টগ্রাম বন্দর।
ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এ বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশের সব নৌ ও স্থলবন্দর বিশেষ অবদান রাখছে।
বন্দর দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণিতে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ১৮৮৮ সালের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। তার আগে থেকেই জাতীয় উন্নয়নে এ বন্দরটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় এ বন্দরের গুরুত্ব আজ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
১৩০তম বন্দর দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রাচীনকাল থেকে চট্টগ্রাম বন্দর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর। প্রাচীনকাল থেকে শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বন্দর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নয়, এ অঞ্চলের সভ্যতার ক্রমবিকাশেও এ বন্দরের বিশেষ প্রভাব রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষসহ (সিপিএ) বিভিন্ন বন্দর নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এবার চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনব্যাপী ‘পোর্ট এক্সপো’ আয়োজন করা হয়েছে। এতে বন্দরের সব স্টেকহোল্ডারসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বন্দরে যন্ত্রপাতি সরবরাহকারীরা এক্সপোতে অংশগ্রহণ করবে। এক্সপো শুরু হবে আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে। ঢাকা থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই এক্সপোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
উল্লেখ, বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের প্রায় ৯২ শতাংশ চট্টগ্রামের বন্দরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। ২০১৬ সালে এ বন্দর ২৩ লাখ টিইইউস কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং করেছে। বিগত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ১৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে এবং লয়েড’স লিস্টের জরিপে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ১০০টি কন্টেইনার পোর্টের মধ্যে ১১ ধাপ এগিয়ে ৭৬তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে।
(এমএ/এসএএম/ ২৫ এপ্রিল ২০১৭)