ফ্রি ফ্লোট শেয়ার

আইসিবি, ওয়ালটন ও বার্জার

তিন বড় কোম্পানির ১০ শতাংশ শেয়ার ফ্রি ফ্লোট নিশ্চিত করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা: তালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ন্যূনতম ১০ শতাংশ ফ্রি ফ্লোট শেয়ার নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এজন্য তালিকাভুক্ত তিন বড় কোম্পানি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ লিমিটেড (আইসিবি), ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডকে এক বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ ফ্রি ফ্লোট শেয়ার নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে উল্লেখিত তিন কোম্পানির কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রি ফ্লোট শেয়ার রয়েছে মাত্র দশমিক ৯৭ শতাংশ। ১০ শতাংশের বাধ্যবাধকতা পূরণ করতে হলে কোম্পানিটিকে আরো দশমিক শূন্য শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে। বাজারে আইসিবির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ দশমিক ১৯ শতাংশ। ফলে আরো দশমিক ৮১ শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে কোম্পানিটির। বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টসের ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ শতাংশ।

নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, কোম্পানিটিকে আরো শতাংশ শেয়ার ছাড়তে হবে।

কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা পরিচালকদের ধারণ করা শেয়ার থেকেই শেয়ার ছাড়তে হবে। এক্ষেত্রে নতুন করে কোনো শেয়ার ইস্যু করা হবে না। শেয়ার ইস্যুর জন্য কোম্পানিগুলো সর্বোচ্চ এক বছর সময় পাবে। এক্ষেত্রে প্রতি মাসে সর্বোচ্চ শতাংশ করে শেয়ার ছাড়া যাবে। বিদ্যমান বাজারদরে শেয়ার ছাড়তে হবে। প্রতি মাসে শেয়ার ছাড়ার বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে কমিশনকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে সবারই আইন পরিপালন করতে হবে। পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। আইন মেনে সবকিছু পরিচালনা করা হলে বাজারে কোনো সমস্যা থাকবে না। বাজারে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই কাজ করছি।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর পরিশোধিত মূলধন ৮০৫ কোটি ৮১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৮০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৫২৭। এর ৬৯ দশমিক ৮১ শতাংশ কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালক, ২৭ শতাংশ সরকার, দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাকি দশমিক ৩৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে দশমিক ৮১ শতাংশ হারে প্রতিষ্ঠানটির কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭টি শেয়ার ছাড়তে হবে।

এদিকে ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিশোধিত মূলধন ৩০২ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩। এর মধ্যে ৯৯ দশমিক শূন্য শতাংশ শেয়ারই রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৩৯, বিদেশী দশমিক ১০ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক ৪৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে দশমিক শূন্য শতাংশ হারে ওয়ালটনের উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি শেয়ার ছাড়তে হবে।

আর ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বার্জার পেইন্টসের পরিশোধিত মূলধন ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। এছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ৭১, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ১৪ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে দশমিক ১৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে শতাংশ হারে কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৪টি শেয়ার ইস্যু করতে হবে।

(এসএএম/১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১)


Comment As:

Comment (0)