স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের পথ ধরেই ‘স্ট্যাবল’ হউক পুঁজিবাজার

সম্পাদকীয়

বিনিয়োগ শিক্ষাকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন

বিনিয়োগ শিক্ষা হচ্ছে ব্যক্তিগত আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে জ্ঞান। জ্ঞান আহরণের ফলে আর্থিক জালিয়াতি থেকে রক্ষা পাওয়া এবং সুরক্ষিত আর্থিক ভবিষ্যত গড়ে তোলা যায়। এছাড়া বিভিন্ন বিনিয়োগ পন্যের উপযুক্ততা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে এ সংক্রান্ত শিক্ষা।

বাংলাদেশের আর্থিক খাতে বিনিয়োগ শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।  বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে সংক্রান্ত শিক্ষা পৌঁছে দেওয়া।  এছাড়া মানুষকে তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা। তাদের জীবনে অর্থের ভূমিকা, সঞ্চয়ের প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবহার প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের সুবিধাদি, সঞ্চয়কে বিনিয়োগে রূপান্তর করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তাদের বিনিয়োগ সুরক্ষার উপায় অবলম্বনের জ্ঞান প্রদানসহ ব্যাপারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।

তবে এ সংক্রান্ত শিক্ষা শুধু শহরাঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এখনো অসংখ্য শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠী রয়েছে। যথাযত সুযোগের অভাবে তারা বেকারত্বের গ্লানি নিয়ে দিনযাপন করছে। আর বেকার সময়ে তাদের অন্যতম সঙ্গী হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা সামাজিক মাধ্যম। অলস সময় পার করতে যেয়ে এসব সামাজিক মাধ্যম ছাড়াও নানা রকম বিতর্ক সৃষ্টি করছে তারা। এসব শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীকে বিনিয়োগ শিক্ষার আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

দেশের পুঁজিবাজারেও এখন অনেক নতুন নতুন পণ্য যুক্ত হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তিতে এখন অনেক সমৃদ্ধ হয়েছে পুঁজিবাজার। ঘরে বসে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে এখন লেনদেন করা যাচ্ছে। এখন অল্প পুঁজি নিয়েও এ বাজারে ব্যবসার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আইপিও, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সুকুক বন্ড, এটিবিসহ নানারকম টুলস এখন পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়েছে। পুঁজিবাজারে আরও নতুন নতুন পণ্য ও সেবা নিয়ে আসতে কাজ করছে বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলো।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষিত বেকাররা যদি এ বাজারে আসতে পারে-তাহলে বাজারের পরিধি যেমন বাড়বে, তেমনি দেশে বেকারের সংখ্যাও কমে আসবে। আর এ কাজটি শুরু করার এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তবে এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সরকার, মন্ত্রণালয় এবং আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাসমূহকে এগিয়ে আসতে হবে।  আর কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দেশে শিক্ষিত সচেতন বিনিয়োগকারী সৃষ্টির পথ প্রশস্ত হবে এবং আর্থিক খাত স্থিতিশীল সমৃদ্ধ হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)