undefined

বিমা এজেন্ট নিয়োগ ও নিবন্ধন প্রবিধানমালার গেজেট প্রকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে বিমা এজেন্ট নিয়োগ, নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রবিধানমালা-২০২১ এর গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

 

রোববার (১৪ নভেম্বর ) এটি গেজেট আকারে প্রকাশের পর বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিমা কোম্পানিগুলোর ই-মেইলে গেজেটের কপি পাঠানো হয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

বিমা এজেন্ট নিয়োগ, নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রবিধানমালায় আবেদনকারীর যোগ্যতায় বলা হয়েছে, বয়স নূন্যতম ১৮ বছর হতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে, কোনো স্বীকৃত বোর্ডের অধীন মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। একইসঙ্গে তাকে নিয়োগ পূর্ব-পরীক্ষাতেও পাস করতে হবে।

 

অব্যাহতিপ্রাপ্ত এজেন্টের ক্ষেত্রে বিমাকারী বা ব্রোকারের নিকট থেকে প্রাপ্ত ছাড়পত্র এবং লেনদেন নিষ্পত্তির প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত কপি। এ ছাড়াও কর্তৃপক্ষ থেকে ইস্যুকৃত লাইসেন্সের কপি দাখিল করতে হবে। তবে আবেদনকারীকে প্রবিধান ১১ এর অধীন অযোগ্য হওয়া যাবে না।

 

নিয়োগপ্রাপ্ত এজেন্টের জন্য একটি বিমা এজেন্ট ‘কোড নং’ ইস্যু করবে মনোনীতক কর্মকর্তা। যাতে আগে থেকেই বিমাকারী বা ব্রোকারের নামের সংযোজন সংযুক্ত করবে এবং অন্য বিমাকারী বা ব্রোকার কর্তৃক অব্যাহতি প্রাপ্ত এজেন্টের ক্ষেত্রে পূর্বের কোড নম্বর বহাল রেখে তার সাথে বিমাকারী বা ব্রোকারের কোডের সমন্বয়ে নতুন কোড ইস্যু করবে। এরফলে এজেন্টদের কর্মদক্ষতার হিসাব ধারাবাহিকভাবে সংরক্ষণ হবে।

 

মনোনীত কর্মকর্তা নিয়োগ প্রাপ্ত এজেন্টের সনাক্তকরণের জন্য একটি ‘আইডেনটিটি কার্ড (পরিচয়পত্র)’ ইস্যু করবে যেখানে বিমাকারী বা ব্রোকারের নামের মনোগ্রাম বা লোগো সংযুক্ত থাকবে। উক্ত কার্ডে এজেন্টের কোড নং থাকতে হবে। কোড নম্বরটি এজেন্টের সর্বত্র পরিচয় বহন করবে।

 

কর্তৃপক্ষ বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিমা এজেন্ট সংক্রান্ত তথ্য হার্ডকপির পাশাপাশি অনলাইনে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সংরক্ষণ ও হালনাগাদ করবে এবং স্ব-স্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে।

 

লাইফ বিমার স্থায়ী এজেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে বিমাকারীর মাধ্যমে ১ বছর সময় শেষ হওয়ার ৩০ দিন পূর্বে কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে বাধ্যতামূলক ৭২ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণের সনদ ও বিমাকারী কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।

 

লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে ১ বছরে কমপক্ষে ১১টি নতুন পলিসি সংগ্রহ করতে হবে। নতুন প্রিমিয়াম সংগ্রহের বিপরীতে ২০ হাজার টাকা কমিশন আয় করতে হবে। এক্ষেত্রে বিমাকারীকে কমিশনের ওপর উৎস স্থলে কর কর্তনের সনদ দাখিল করতে হবে। একইসঙ্গে আবেদনকারীকে অস্থায়ী ভিত্তিতে কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে বিমাকারীর কোন অভিযোগ নেই মর্মে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করতে হবে।

 

এ ছাড়াও এজেন্ট লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০ দিন পূর্বে নবায়ন ফিসহ বিমাকারীর মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ১ম বর্ষ প্রিমিয়ামের দ্বিতীয় বর্ষের নবায়ন প্রিমিয়ামের সংরক্ষণের হার নূন্যতম ৬০ শতাংশ থাকতে হবে এবং প্রতি ২ বছর অন্তর ৩৬ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণের সনদ জমা দিতে হবে।

 

নন-লাইফ বিমার এজেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে ৭২ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। বিমাকারী বা ব্রোকার কর্তৃক ১ বছরের জন্য নিয়োগ ও নিবন্ধিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের নিকট লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।

 

 ◌ স্থায়ী এজেন্ট হতে হলে অস্থায়ী এজেন্ট হিসেবে কাজ করা অবস্থায় কমপক্ষে এক লাখ টাকার প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে হতে। এক্ষেত্রে বিমাকারী কর্তৃক উক্ত সংগৃহীত প্রিমিয়ামের ওপর প্রদত্ত কমিশনের ওপর উৎস স্থলে কর কর্তনের সনদপত্র দাখিল করতে হবে।

 

মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন আগেই নবায়নের আবেদন করতে হবে এবং প্রতি ২ বছর অন্তর ৩৬ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ গ্রহণের সনদ জমা দিতে হবে।

 

তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রকৃতিস্থ, আদালতে দোষী সাব্যস্ত, বিমা পলিসি সংক্রান্ত কোন বিচারিক প্রক্রিয়ায় বা বিমা কোম্পানির অবসায়নে বা কোন কার্যের তদন্তকালে দোষী হলে,বিমাকারী বা বিমা গ্রহীতার স্বার্থের পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত এবং এই প্রবিধানে বর্ণিত আচরণবিধির লঙ্ঘনকারী বিমা এজেন্ট হতে পারবেন না।

 

এছাড়াও কোন লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বা অফিস কর্মকর্তা বা কর্মচারী, একই বিমা শ্রেণীর এজেন্ট না হলে এবং নন-লাইফ এজেন্টের ক্ষেত্রে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা তাদের পরিবারের কোন সদস্যও বিমা এজেন্ট হতে পারবেন না।

 

বিমা এজেন্ট নিয়োগ, নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রবিধানমালায় প্রবিধি- ৯ এ বিমা এজেন্ট হিসেবে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নে পরিশোধযোগ্য ফি উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বিমা এজেন্টের লাইসেন্সের জন্য ১ হাজার ৫শ’ টাকা, লাইসেন্স নবায়নে ১ হাজার টাকা, প্রত্যেক ৩ মাসের মধ্যে বিলম্বের জন্য ১শ’ টাকা ও তদুর্ধ্ব মাসের জন্য ৬শ’ টাকা এবং প্রতিলিপি লাইসেন্সের জন্য ১শ’ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এসব ফি কর্তৃপক্ষ ফান্ড এর অনুকূলে ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

 

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)