সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি

সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির ১৩তম বৈঠক অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাদশ জাতীয় সংসদের ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি’র (Public Undertaking) ১৩তম বৈঠক কমিটির সভাপতি আ, স, ম, ফিরোজ এমপি এর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাহবুব উল আলম হানিফ এবং মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

 

বৈঠকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দেশপ্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও পারস্পরিক সমন্বয়ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার উপর গুরুত্বারোপ করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন(বিটিআরসি) এর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বিটিআরসি কর্তৃক ফ্রিকোয়েন্সী(তরঙ্গ) বরাদ্দের নীতিমালা, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার মানোন্নয়ন এবং অপারেটরদের অনিয়মের ব্যাপারে আলোচনার পাশাপাশি অনিয়মের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে কমিটিকে অবহিত করা হয়। ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী (আইএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্বচ্ছ কার্যক্রম এবং অবৈধ কল টার্মিনেশন ও ভিওআইপি’র অপব্যবহার রোধে বিটিআরসি’র গৃহীত ব্যবস্থার বিষয়েও কমিটিকে অবহিত করা হয়।

 

স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনা, কলড্রপ সমস্যা, মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিভিন্ন প্যাকেজ/অফারের ধোঁকা থেকে গ্রাহকদেরকে রক্ষার জন্য মার্চ ২০২২ থেকে বিটিআরসি’র নির্দেশনা কার্যকর হওয়া, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমধারীদের অপকর্ম থেকে সাধারণ মানুষের হয়রানী বন্ধ করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উস্কানী প্রদান, সাম্প্রদায়িকতা ও বিদ্বেষমূলক কার্যক্রম প্রচার, বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং অরুচিকর পোস্ট শেয়ার বা প্রচার বন্ধে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কেও কমিটিকে অবহিত করা হয়। বর্তমানে সরকারের সচেতন মনিটরিং এর কারণে সামাজিক মাধ্যমগুলোর রেজিস্ট্রেশনের ফলে সরকারের লোকসান কমানো এবং এই মাধ্যমগুলোর পরিশ্রুতকরণের মাধ্যমে সম্ভাব্য শুদ্ধিকরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে মর্মে জানানো হয়। যথাযথ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিটি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

    

করোনাকালীন সময়ে দেশব্যাপি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হওয়ায় মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিনিয়ত প্রত্যয় ও সফলতার সাথে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়।

 

এছাড়া স্থানীয়ভাবে তৈরীকৃত স্মার্ট ফোন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক ইত্যাদি হ্রাসের ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়ায় ব্যাপক জনগোষ্ঠী ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উন্নত ও আধুনিক সুবিধার আওতায় আসবে বলে বৈঠকে আশা প্রকাশ করা হয়।

 

সরকারের সার্বিক স্বচ্ছতা ও পাওনা আদায়ের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তিগুলো ত্রি-পক্ষীয় সভার মাধ্যমে নিস্পত্তির ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। এ প্রসঙ্গে দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি’র উম্মেষ লগ্ন থেকে অনিস্পন্ন অডিট আপত্তির তালিকা তৈরী এবং সেগুলো দ্রুততম সময়ে নিস্পত্তির নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

বৈঠকের শুরুতে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের মাসে জাতির পিতার আজীবন অবদানকে স্মরণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সফল বাস্তবায়নের জন্য তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।  

 

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)