মিহির

এসডিজি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য

ড: মিহির কুমার রায়: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পূর্বে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত স্মারক গ্রন্থ  ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বঙ্গবন্ধু’ - এর মোড়ক উন্মোচনকালে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের উদ্যোগের ফলেই বাংলাদেশ আজ এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ তিনটি দেশের একটিতে পরিণত হতে পেরেছে যা অতি সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এসব উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ২০১৫ সালে এসডিজি গৃহীত হওয়ার পর এই প্রথম এর সূচকের স্কোর আগের বছরের চেয়ে কমে গেছে। জাতিসংঘ ২০১৫ সালে এসডিজি গ্রহণ করে যার মেয়াদকাল ১৫ বছর যার উদ্দেশ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে ১৭টি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় আর ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জাতিসংঘ এর আগে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) গ্রহণ করেছিল। এরপরই এসডিজি আসে। এসডিজির লক্ষ্যগুলোর মধ্যে দারিদ্র্যতা দূর করা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,  সুস্বাস্থ্য, উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত ও লিঙ্গ বৈষম্য প্রতিরোধ অন্যতম। এসডিজির এবারের সূচকে বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ৬৩.৫ শতাংশ যা গত বছর এ স্কোর ছিল ৬৩.২৬ শতাংশ। ২০১৫ সালে যখন এসডিজি গৃহীত হয়,  তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫৯.০১ শতাংশ। বিশ্বের ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে। এবারের তালিকায় সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৫.৯ শতাংশ। এর পরের চার দেশ হলো সুইডেন (৮৫.৬%), ডেনমার্ক (৮৪.৯%), জার্মানি (৮২.৫%) ও বেলজিয়াম (৮২.২%)।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)  বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহন এবং পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই অর্জনকে ত্বরান্বিত করেছে। তিনি বলেছিলেন,  করোনা ভাইরাসের কারণে যখন সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির সেই সময় বাংলাদেশ একদিকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলা ও মানুষকে সুরক্ষিত করা-অপরদিকে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে গতিশীল রাখতে পেরেছে। জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) বাস্তবায়নেও বাংলাদেশ অনেক অগ্রগামী ছিল এবং এমডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে 

২০১৬ সালে এসডিজি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সূচনাকালে ২৪৪টি উপাত্তের মধ্যে কেবল ১১২টি প্রাথমিকভাবে ব্যবহারযোগ্য ছিল। বিগত ৪ বছরে ১৬১টি প্রাথমিক উপাত্ত ব্যবহৃত হচ্ছে এবং হালনাগাদ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০১৬ থেকে ২০৩০ পর্যন্ত এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত আনুমানিক ৯২৮.৪৮ বিলিয়ন ডলার অর্থের প্রয়োজন,  গড়ে বার্ষিক ৬৬.৩২ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন, যা একই সময়ের জিডিপির ১৯.৭৫%। এই ৬৬ বিলিয়নের মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন ৮৫%  এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ১৫%। দেশীয় অর্থায়নের মধ্যে সরকারি, বেসরকারি ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে হবে যথাক্রমে ৩৩.৫%,  ৪২% এবং ৫.৫%। পরিকল্পনা করা হয়েছে যে বেসরকারি সংস্থা ৪% বিনিয়োগ করবে। বৈদেশিক সহায়তা এবং অনুদান হিসেবে ৫%  এবং সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ ১০% হবে।
এসডিজিকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উপজেলা পর্যায় পর্যাপ্ত ব্যাপক সচেতনতা কর্মসূচি এবং জেলা ও বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত কর্মশালা বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সকল জেলা এবং উপজেলা ৩৯+১  এসডিজি সূচকে কাজ করে যাচ্ছে। এসডিজির ১৩২টি সূচকের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৩৯ সূচককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই ৩৯টি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হলো দারিদ্র্য,  স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা এবং অন্যান্য। অবশিষ্ট +১ 'কাউকে পেছনে না ফেলা'  সূচকটি সংশ্নিষ্ট অঞ্চলের চাহিদার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট জেলা বা উপজেলার চাহিদার আলোকে নিরূপিত হচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা ও প্রতিকূলতা, সফলতার গল্প,  ভালো কাজের অনুসরণ এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখানোর জন্য ২০১৭ এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে স্বেচ্ছায় জাতীয় প্রতিবেদন (ভলানটারি ন্যাশনাল রিপোর্টিং) প্রকাশ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। 

বাংলাদেশে করোনা মহামারির সঙ্গে জলবায়ু ঝুঁকির বিষয়টি ও বিবেচনা করা প্রয়োজন। এই দুইয়ে মিলে সামগ্রিক অর্থনৈতিক,  বিনিয়োগ ও নিরাপত্তা কর্মসূচি অধিকতর হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও বিপদগ্রস্থ হয়েছে। ২০১৯-২০ - এ আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮.২%, বিশ্বব্যাপী মহামারির জন্য তা ৫.২৪% - এ নেমে এসেছে। কভিড-১৯ - এর কারণে প্রথম তিন মাসে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কমপক্ষে ১০% অতিরিক্ত লোক দারিদ্র্য সীমার নিচে নেমে যাবে। তবে রেকর্ড বলছে, কভিড-১৯ - এর মন্দা প্রভাব থেকে অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ খুব দ্রুত ঘুরে  দাঁড়াতে চেষ্টা অব্যাহত  রেখেছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক তাদের সাময়িকীতে মতামত প্রকাশ করেছে যে,  বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং একাধিকবার বন্যার পরেও ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৫%। আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি ৪% বৃদ্ধি পেয়ে ১,৮৮৮ মার্কিন ডলার হবে,  যা প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় বেশি যদিও বর্তমানে (২০২২) তা ২ হাজার ৮শত ৪৪ মার্কিন ডলারে উপণীত হয়েছে সরকারী তথ্যানুযায়ী।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের অর্থনৈতিক অবস্থার আলোকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে ৫.২%, যেখানে সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে প্রবৃদ্ধি (-) ৬.৮% এবং সর্বনিম্ন মালদ্বীপে (-) ২০। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আগের মতো ফিরে গেছে; আগস্ট ২০১৯ - এ রেমিট্যান্স ছিল ১৪৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছর ৩৬% বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৬৩.৯৪ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে,  ২০১৯ বছরের জুলাই মাসের তুলনায় গত জুলাই মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ৬২%  বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও ২০২০ সালের জুনে তৈরি পোশাকখাতে আমাদের প্রবৃদ্ধি (-) ৮.৬৫% ছিল, তবে আগস্টে এটি বৃদ্ধি পায় (+) ৪৪.৩৩%। আগস্ট ২০১৯ মাসে তৈরি পোশাক খাতে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ২.২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,  যা গত বছরের আগস্টে দাঁড়িয়েছে ৩.২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মোট রপ্তানি আয় ৩.৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের আগস্টে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৮.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার,  যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮.৫%  বেশি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে আমদানী ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ও রপ্তানী তথা রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ায় এই সংখ্যাটি বর্তমানে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমে এসেছে যা দিয়ে পাচ মাসের আমদানী ব্যয় মেটানো সম্ভব হবে। এরি মধ্যে সরকার ডলারের ব্যয়ের উপর সাবধানতার এবং সরকারী খরচে বিদেশ ভ্রমন স্থগিত করেছে যা একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলে বিবেচিত। 

বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সফলতার মধ্যে রয়েছে- দারিদ্র্য হ্রাস, ক্ষুধা হ্রাস, ৫ বছরের কম বয়সী মৃত্যু হার,  নবজাতক মৃত্যু হার, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় শিক্ষা স্তরে সফলতা এবং লিঙ্গ সমতা, বিদ্যুতের ব্যবহার এখন প্রায় ৯৯%- এর ঘরে,  কর্মরত ব্যক্তির প্রকৃত জিডিপির বার্ষিক বৃদ্ধির হার বেড়েছে এবং জিডিপির অনুপাত হিসাবে উৎপাদন মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি পেয়েছে,  বাজেট বরাদ্দ এবং অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষাও বৃদ্ধি পেয়েছে এক্ষেত্রে প্রথম চালিকাশক্তি হলো সরকারের দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয় যার ফলে ইতিবাচক সফলতাগুলো হচ্ছে- অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দরিদ্র বান্ধব ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থাপনা, টেকসই জিডিপি বৃদ্ধি, আয় নির্ভরতা অনুপাত হ্রাস, মৃত্যু হার হ্রাস, উন্নত যোগাযোগ অবকাঠামো,  জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, নারী শ্রমশক্তির বর্ধন, রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থ প্রেরণ এবং আইসিটির বহুমাত্রিক ব্যবহার ইত্যাদি।

এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যেমন এসব হচ্ছে-  নারীর ক্ষমতায়ন, আশ্রয়ণ (গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসন) প্রকল্প, শিক্ষা সহায়তা, আমার বাড়ি আমার খামার, ডিজিটাল বাংলাদেশ,  কমিউনিটি ক্লিনিক, বিনিয়োগ উন্নয়ন, পরিবেশ সুরক্ষা,  সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি এবং সকলের জন্য বিদ্যুৎ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। আমরা আশা করি,  ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে প্রায় ৬০০০ ডলার এবং ২০৪১ সালে হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। 'ভিশন ২০৪১'  অনুসারে ২০৩১ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯% এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৯.৯০% অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে। ধারনা করা হচেছে, ২০৩১ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের হার হবে ২.৫৫%  ও ২০৪১ সালের মধ্যে হবে ১%-এরও কম এবং ২০৩১ সালের মধ্যে মাঝারি দারিদ্র্যের হার ৭% ও ২০৪১ সালের মধ্যে ২.৫৯%  হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ,  দোহাজারী-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেল লাইন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতার বাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র,  ভোলা গ্যাস পাইপ লাইন, এলএনজি টার্মিনাল, মাতার বাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর এবং কয়লা টার্মিনাল,  উপকূলীয় অঞ্চলে পেট্রো-রাসায়নিক শিল্প এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের মতো অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। 

কিন্তু সরকারের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেমন সম্পদ আহরণ, দক্ষতা উন্নয়ন, মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা, উচ্চ অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা জোরদার করা,  বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কার্যকর অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা, বিনিয়োগ বাড়ানো ইত্যাদি। ২০২৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার কথা রয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় শামিল হবে বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করবে।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)