142b8

ঈদে বরিশালের পশু দিয়েই মিটবে জেলার চাহিদা

বরিশাল প্রতিনিধি: ঈদুল আজহা সামনে রেখে বরিশালের খামারিরা গবাদিপশু বাজারজাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কয়েক হাজার খামারি চলতি বছরের জন্য এক লাখের বেশি গবাদিপশু লালন পালন করছেন। তাই নিজস্ব উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে মনে করছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

বছরজুড়েই বরিশালের খামারগুলোয় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন করা হলেও কোরবানির ঈদে বেশি দামে বিক্রির টার্গেট করা হয়। তাই আগেভাগেই রাতদিন বিক্রয়যোগ্য পশুগুলোর বাড়তি যত্ন নেয়া হচ্ছে। প্রতিদিন বাড়তি নিরাপদ ও সুষম খাদ্য খাওয়ানো হচ্ছে ৷ গরুর পাশাপাশি দেশি ও ইন্ডিয়ান জাতের মহিষ কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন অনেক খামারি।

এবিষয়ে একজন খামারি বলেন, কোরবানিকে সামনে রেখে ভালো দাম পাওয়ার আশায় আমরা আমাদের গরুগুলোকে যত্ন নেয়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছি।

এসব খামারে দেশিয়াল, শাহিয়াল, পাকিস্তানি শাহিয়াল, অস্ট্রেলিয়ান, নেপাল, ভুটান, ভুট্টি, হাসা, পাকড়াসহ বিভিন্ন জাতের গরু লালন পালন করে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

অনেক খামারে গরু বিক্রির আগাম বুকিং কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। এমইপি গ্রুপের পরিচালক শোকিল আলম চাকলাদার বলেন, আমাদের অর্ধেকের বেশি গরু বুকিং হয়ে গেছে। এটি আমাদের জন্য একটি সাফল্য। এটি আগে কখনও বরিশালে হতো না।  

কেমিস্ট অ্যাগ্রোবায়োটেকের সমন্বয়কারী পারভেজ আলম বলেন, আমরা প্রাকৃতিকভাবে গরু পালনের চেষ্টা করছি।

স্থানীয় খামারগুলোর গবাদিপশু দিয়েই জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা ডা মো. নূরুল আলম।

তিনি বলেন, আমরা স্টয়রেড ও রাসায়নিক মুক্ত গরু হৃষ্টপুষ্টকরণে জোর দিচ্ছি। সেই সঙ্গে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছি। খামারিদের মধ্যে প্রশিক্ষিত কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আশা করি, আমাদের এখানে গবাদি পশুর যে মজুত রয়েছে তা দিয়ে এ অঞ্চলের কোরবানির চাহিদা পূরণ হবে। 

উল্লেখ্য, বরিশাল জেলায় কোরবানির চাহিদা অনুযায়ী এক লাখ ৭ হাজারের বেশি গবাদিপশু বাজারজাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রায় ৮ হাজার খামারি। 

বিনিয়োগবার্তা/এসএল//


Comment As:

Comment (0)