NorthSouth University

নর্থ সাউথের ট্রাস্ট পুনর্গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বড় পরিবর্তন আনা হলো বহুল আলোচিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টে। পুনর্গঠিত বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন পাঁচ প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা। এছাড়া একজন প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তার মৃত্যুর পর তার উত্তরাধিকারী হিসেবে যুক্ত হওয়া একজন ট্রাস্টিকেও বাদ দেয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্ষদ থেকে বাদ পড়া পাঁচজন প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা হলেন আজিম উদ্দিন আহমেদ, রেহানা রহমান, এমএ কাশেম, মোহাম্মদ শাজাহান ও বেনজীর আহমেদ। প্রতিষ্ঠাকালীন আরেক উদ্যোক্তা এমএ হাসেমের ছেলে আজিজ আল কায়সারও পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন। এছাড়া পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় নতুন চারজন ট্রাস্টিকে বোর্ডে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন একজন সাধারণ সদস্য মৃত্যুজনিত কারণে বোর্ড থেকে বাদ পড়েছেন।

গতকাল পুনর্গঠিত নতুন এ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তথ্য প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ-সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) কিছু সদস্য ও অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় জড়িত বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) তদন্তে প্রমাণিত, যা আইনের ধারা ৬(১০) এবং দেশের প্রচলিত ফৌজদারি আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি ক্রয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিওটির চারজন সদস্য জমি ক্রয়ে আর্থিক দুর্নীতি করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় উচ্চ আদালতের নির্দেশে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাছাড়া ট্রেজারার নিয়োগসংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি নথিতে জালিয়াতির ঘটনায় একজন ট্রাস্টির বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বোর্ড অব ট্রাস্টিজে অন্তর্ভুক্ত থাকা সমীচীন নয়।

এতে আরো বলা হয়, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পূর্ণাঙ্গভাবে পরিচালনা করতে না পারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা ও পরিচালনা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ধারা ৩৫(৭) অনুযায়ী কোনো কারণে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা দেখা দিলে কিংবা তার স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত ও শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে চ্যান্সেলর কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুপারিশক্রমে প্রয়োজনীয় আদেশ ও নির্দেশ দিতে পারবেন। এ বিষয়ে চ্যান্সেলরের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে, এমন বিধান রয়েছে।

উল্লেখিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন এবং সরকারের আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সম্মিলিত সভার সুপারিশ বিবেচনায় আচার্যের দেয়া নির্দেশনা/অনুমোদনের পরিপ্র্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত উদ্যোক্তা ট্রাস্টি ও উদ্যোক্তা ট্রাস্টির উত্তরাধিকারীদের সমন্বয়ে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ পুনর্গঠন করা হলো।

পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বিওটিতে যুক্ত হওয়া চারজন হলেন অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, জাভেদ মুনির আহমেদ, ফাইজা জামিল ও শীমা আহমেদ। এর মধ্যে ড. আতিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব পালন করছেন। তাকে শিক্ষাবিদ হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনজনকে বিভিন্ন উদ্যোক্তা ট্রাস্টির উত্তরাধিকারী হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)