মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাত

মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটন খাতে ভ্রমণার্থীর সংখ্যা বাড়ছে

ডেস্ক রিপোর্ট: কভিড-পরবর্তী পরিস্থিতি কাটিয়ে ধারাবাহিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসে অঞ্চলটিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সংখ্যা প্রাক-কভিড স্তরের ৭৭ শতাংশে পৌঁছেছে।

জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও) এর হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে চলতি বছরের শেষ নাগাদ আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে। সব মিলিয়ে বৈশ্বিক পর্যটন খাত চলতি বছর প্রাক-মহামারী স্তরের ৬৫ শতাংশে পৌঁছানোর পথে।

ইউএনডব্লিউটিও প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, এ বছরের প্রথম নয় মাসে প্রায় ৭০ কোটি যাত্রী আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। পরিসংখ্যানটি ২০১৯ সালের ৬৩ শতাংশ আন্তর্জাতিক পর্যটন বৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে, যা পর্যটন খাতের শক্তিশালী সম্প্রসারণের ইঙ্গিত দেয়। তাছাড়া চলতি বছর মহামারী সৃষ্ট ভয়-ভীতিগুলোও অনেকটা দূর হয়ে গেছে। তাই বৈশ্বিক পর্যটনের পালে সুবাতাসই বইছে ।

প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২২ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ করেছে ৪৩ কোটি যাত্রী। তবে মধ্যপ্রাচ্যে আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে বেড়েছে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে, যা ওই সময় প্রাক-মহামারী স্তরের মাত্রা ৩ শতাংশকে অতিক্রম করে।

ইউএনডব্লিউটিও প্রতিবেদন অনুসারে, প্রবল অবদমিত চাহিদা, আত্মবিশ্বাসের মাত্রা বৃদ্ধি এবং কভিডসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ফলে ভ্রমণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে।

প্রতিবেদনে যোগ করা হয়, পর্যটন রাজস্ব বাবদ মধ্যপ্রাচ্যের আয় ২০২২ সালে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে। আয়ের পরিসংখ্যানটি ২০২১ সালের অর্জিত আয়ের তুলনায় ৬০-৭০ শতাংশ বেশি। তাছাড়া ২০১৯ সালে রেকর্ড পরিমাণ আয় ১ কোটি ৮০ হাজার ডলারের ৭০-৮০ শতাংশ।

তবে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে এগিয়ে রয়েছে ইউরোপ। বিশেষ করে এ অঞ্চলের পর্যটন খাত সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় তারা দ্রুতই প্রাক-মহামারী পর্যায়ে উন্নীত হতে পারবে।

ইউরোপ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর সময়কালে ৪৭ কোটি ৭০ লাখ আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থীকে স্বাগত জানায়, যা বৈশ্বিক পরিসংখ্যানের ৬৮ শতাংশের সমান। বিশেষ করে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে আন্তর্জাতিক ভ্রমণার্থীরা ইউরোপমুখী পর্যটন ক্ষেত্রগুলোয় বেশি দর্শন করেছে। সংখ্যাটি ২০১৯ সালের প্রাক-মহামারী স্তরের প্রায় ৯০ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে আন্তর্জাতিক পর্যটন প্রাক-মহামারী স্তরকে ছাড়িয়ে যেতে সমর্থ হয়েছে, এমন গন্তব্যের মধ্যে রয়েছে আলবেনিয়া, ইথিওপিয়া, হন্ডুরাস, অ্যান্ডোরা, পুয়ের্তো রিকো, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কলম্বিয়া, এল সালভাদর ও আইসল্যান্ড। তবে যে বাজারগুলোয় বহির্গামী ব্যয় বেড়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম সৌদি আরব, কাতার, জার্মানি, বেলজিয়াম, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)