মিহির

মতামত/বিশ্লেষণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ও চ্যান্সেলরের ভাষণ

ড: মিহির কুমার রায়: গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার একশত বর্ষপূর্তী অনুষ্ঠান  হয়ে গেল এবং এই পূর্তীকে কেন্দ্র করে আমরা ঢাবি ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা শুনেছি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অভিবক্ত বাংলার দ্বিতীয় ও এই উপমহাদেশের এগারতম বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বর্তমানে ১৩টি অনুষদ,  ৮৪টি বিভাগ, ১৩টি ইনষ্টিটিউট, ৬১টি গবেষনা কেন্দ্র,  ২০০৮ জন শিক্ষক ও ৪৬ হাজারের অধিক শীক্ষার্থী রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য হিসাবে অধিষ্ঠিত থাকেন পদাধিকার বলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং বর্তমানে দেশের ১৭তম রাষ্ট্রপতি হিসাবে অধিষ্ঠিত আছেন এ্যাডভোকেট মো. আবদুল হামিদ যিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য্য।

শনিবার ১৯ই নভেম্বর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে এবং রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক পরিষদের সদস্য এবং গ্র্যাজুয়েটরা  সমাবর্তনে অংশ নেন। এর আগে বেলা ১১টায় সিনেট,  সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য,  বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষক এবং অধিভুক্ত  কলেজের অধ্যক্ষ/ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা কার্জন হলে উপস্থিত হয়ে সেখান থেকে শোভাযাত্রা সহকারে সবাই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেন। সমাবর্তনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পাসে বিরাজ করছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। নোবেল বিজয়ী  ফরাসী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক জ্যঁ তিরোল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং সমাবর্তনে তাকে সম্মানসূচক  ‘ডক্টর অফ লজ ডিগ্রি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী,  এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩৪৮ জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশ নিয়েছেন। সমাবর্তনে ১৩১ জন কৃতী শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীকে ১৫৩টি স্বর্ণ পদক, ৯৭ জনকে পিএইচডি,  ২ জনকে  ডিবিএ এবং ৩৫ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেয়া হয়েছে। অধিভুক্ত সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটরাও ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা কলেজ ও ইডেন মহিলা কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশ নিয়েছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এক শিক্ষার্থীকে সেরা মেধাবীর পদক পরিয়ে দিয়েছিলেন মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ।

মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি তার উদ্বোধ্যমূলক ভাষনে বলেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে নাম জড়িয়ে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের  (ঢাবি) এবং ১৯২১ সালে মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিশ্রুতি নিয়ে  এই বিদ্যাপীঠের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছিল,  নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজও সেই মূল ধারা বিকাশমান রয়েছে। সমাবর্তন উপলক্ষে নবীন গ্র্যাজুয়েট, অভিভাবক,  শিক্ষকমন্ডলীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন,  প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেই দেশের সাধারণ মানুষের মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন,  মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র-শিক্ষক নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি সেসব বীর শহিদদের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তিনি প্রত্যাশা করেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ, বিজ্ঞানমনস্ক ও মানবিক বোধসম্পন্ন জাতি গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা আরো কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং তারা দেশ প্রেম, মানবিক মূল্যবোধ ও সৃজনশীলতা দিয়ে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে দেশের কল্যাণে কাজ করে যাবে।  এই মহামারি ও যুদ্ধ জর্জরিত পৃথিবীতে মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন তরুণ প্রজন্মের একান্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি বলেন,  সম্প্রীতি, পরমতসহিষ্ণুতা,  সর্ব প্রকার সংকীর্ণতা মুক্ত উদার জীবন চেতনা এবং সাংস্কৃতিক, ঐক্যসন্ধানী মানুষের সংখ্যা যত বৃদ্ধি পাবে, ততই বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বে প্রশান্তিময় পরিস্থিতি বিরাজ করবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষকরা সমৃদ্ধ দেশ ও পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ অবদান রাখতে সক্ষম হবে এবং একই সঙ্গে সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও তার একাডেমিক উৎকর্ষ সাধনে ধারাবাহিক সাফল্য বজায় রাখবে।

মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা চাই উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হোক অর্থাৎ সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠুক,  শিক্ষকরা হয়ে উঠুন সমাজে মর্যাদা ও সম্মানের প্রতীক,  তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষকসহ  যে কোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। গবেষণায় বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এক সময় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ মর্যাদার চোখে দেখা হতো যা সময়ের বিবর্তনে ক্রমেই যেন সেই ঐতিহ্য সংকুচিত হয়ে আসছে অথচ ছাত্র শিক্ষক, ভৌত অবকাঠামো ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত না হলেও কয়েকগুণ বেড়েছে,  কিন্তু সেই তুলনায় শিক্ষার গুণগত মান এবং গবেষণার ক্ষেত্র,  পরিমাণ ও মান কতটুকু বেড়েছে বা কমেছে সেটিও মূল্যায়ন করতে হবে। শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,  ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলুন যাতে তাদের এ জন্য বিদেশে পাড়ি দিতে না হয়। আপনারা তরুণ গবেষকদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসুন। আমি শিক্ষার্থীদের কাঙ্খিত সেবা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার,  কাউন্সিলিং অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার, ক্যরিয়ার প্ল্যানিং ইউনিট,  ইত্যাদি চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, ‘এই ডিজিটাল যুগেও প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায় যে,  ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট উত্তোলন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে ছাত্র-ছাত্রীরা অবহেলা আর হয়রানির মুখোমুখি হন। আমি শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, কাউন্সিলিং অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার,  ক্যরিয়ার প্ল্যানিং ইউনিট,  ইত্যাদি চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। তিনি বলেন,  ‘পাশাপাশি আমি সেশন জট কমানোর উদ্যোগ হিসেবে লস রিকভারি প্ল্যান,  গবেষণা-প্রকাশনা মেলা আয়োজন এবং স্টুডেন্ট প্রমোশন অ্যান্ড সাপোর্ট ইউনিট চালু করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

গ্রাজুয়েটদের  উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের শিক্ষার্জন যেন সমাবর্তন আর সার্টিফিকেটেই সীমাবদ্ধ না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, তোমাদের আজকের এই অর্জনের পিছনে বাবা-মা, শিক্ষকমন্ডলী এবং রাষ্ট্রের যে অবদান ও ত্যাগ রয়েছে, তা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে,  দেশ ও জনগণের কল্যাণে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে হবে। শিক্ষকদের সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয়, অনুসরণীয় হয়ে ওঠার আহ্বান জানান। শিক্ষকদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন,  ‘আপনারা সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে নেতৃস্থানীয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। আমরা যখন ছাত্র ছিলাম এবং এর অনেক পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ও শিক্ষকদের দেখলে বা তাদের কথা শুনলেই শ্রদ্ধায় মাথানত হয়ে আসত। কিন্তু ইদানিং কিছু কিছু উপাচার্য ও শিক্ষকদের কর্মকান্ডে সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গাটা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। একজন উপাচার্যের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান, পরিচালন, মূল্যায়ন ও উন্নয়নকে ঘিরে।

মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি বলেন অসুস্থতা সত্ত্বেও মনের জোরে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়েছি যা হবে আচার্য হিসাবে আমার শেষ অংশগ্রহন এবং দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য হিসাবে সমাবর্তনে তার লিখিত বক্তব্যের বাইরে তিনি অনেক কথা বলেন যা শিক্ষার্থীসহ সব মহলে প্রশংসিত যেমন তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার যোগ্যতা আমার ছিল না, কিন্তু সেখানে আমি চ্যান্সেলর। ‘আমার যে বংশধারা, সেখানে ৭০-৮০ বছরের বেশি জীবিত থাকে নাই, আগামী ডিসেম্বরে আমার বয়স ৭৯ বছর হবে। আল্লাহ জানে কী হবে। ২০১৮ সালের ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতির শপথ নেন মো: আবদুল হামিদ এবং বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতির পদে থাকা যায় না। সমাবর্তনে মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমার রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ আগামী বছরের এপ্রিলে শেষ হবে যা হয়তো এটাই আমার শেষ সমাবর্তন। তাই ভেবেছিলাম, দম থাকা পর্যন্ত এখানে উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করব। শরীর সায় না দিলেও মনের জোরে এসেছি। সর্বশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনের সফলতাও কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

এই ভাষন বিশ্লেষনে দেখা যায় মহামাণ্য রাষ্ট্রপতি দেশপ্রেম  দিয়েই দেশটাকে ভালবাসেন যার প্রমান তার সদালাপি ভাষন এবং ১৯৭০ সালে জাতীয় নির্বাচনে তদানীন্তন কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন-ইতনা-অষ্ঠগ্রাম নির্বাচনী এলাকা থেকে পাকিস্থান জাতীয় পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হন এবং তিনি ছিলেন তখনকার সময়ের সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য। এরপর থেকে সব কটি নির্বাচনেই সফলতার ফল পেয়েছেন যা সংসদীয় গনতন্ত্রের ইতিহাসের বিরল ঘটনা। রাষ্ট্রপতি হওয়ার আগে তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার ছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধা। আচার্য্য হিসাবেও তিনি সফলতা দেখিয়েছেন বিগত আট বছরের কর্মকালে যা বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য বড় আশীর্বাদ হয়ে রইল।

লেখক: গবেষক, ডিন ও অধ্যাপক, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)