হাইকোর্ট

১৫৮ কোটি টাকা লোপাট, ইউএফএস'র এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চান হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত চার মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা নিয়ে ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনের (ইউএফএস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীর দুবাই পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে এ ঘটনায় কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ৩০ দিনের মধ্যে সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান ও আইসিবিকে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

গত ১৩ অক্টোবর দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন সৈয়দ হামজা আলমগীর। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। ২০১৮ সাল থেকে তহবিল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে চক্রটি। এক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রতিবেদন জালিয়াতি এবং ভুয়া এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) দেখিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) অন্ধকারে রাখা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ৪ বছর নিষ্ক্রিয় ছিল ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেওয়া প্রতিষ্ঠান) আইসিবি। অডিট কোম্পানিও ভুয়া রিপোর্টকে বৈধতা দিয়েছে। বিএসইসির প্রাথমিক তদন্তে ওঠে এসেছে এই তথ্য।

অর্থনীতির অত্যন্ত টেকনিক্যাল খাত পুঁজিবাজার। না জেনে এখানে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এক্ষেত্রে একজন সাধারণ মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে চাইলে মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে বিনিয়োগ করা সুবিধাজনক। সাধারণ মানুষ এই মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার কিনবে, মিউচুয়াল ফান্ডগুলো সেই টাকা দিয়ে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার কিনে থাকে। যেহেতু মিউচুয়াল ফান্ডের রিসার্স টিম রয়েছে, তাই তারা বিনিয়োগে মুনাফা করলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেবে। বিশ্বব্যাপী এই ধারণা থেকে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্ম। কিন্তু বাংলাদেশে মিউচুয়াল ফান্ডের টাকা নিয়ে সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি পালিয়ে গেছে। এটি নজিরবিহীন ঘটনা। ইতোমধ্যে কোম্পানিটির সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন না করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

বিনিয়োগবার্তা/এমআর/এসএএম/


Comment As:

Comment (0)