EDU Crowdfunding Conference

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সির ক্রাউডফান্ডিং সম্মেলনে প্রফেসর ড. রোথাম স্নেয়র

অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে ক্রাউডফান্ডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্রাউডফান্ডিং (গণঅর্থায়ন) বিশ্বের অনেক দেশে এখন জনপ্রিয় ধারণা। দেশগুলোর অর্থনীতিতেও পড়ছে এর প্রভাব। উন্নত বিশ্বে গণঅর্থায়নের জন্য সংস্থা গড়ে উঠছে, যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো এর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে গণঅর্থায়ন।

চট্টগ্রামের ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে (ইডিইউ) ‘ফার্স্ট ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ক্রাউডফান্ডিং ফর ক্রিয়েটিভ ইন্ডাস্ট্রিজ’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইউনিভার্সিটি অব আগদার নরওয়ে-এর প্রফেসর ড. রোথাম স্নেয়র।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) থেকে শুরু হয় দুদিনব্যাপী এ আয়োজনের। দেশি-বিদেশি ১০জন গবেষক নিজেদের মৌলিক প্রবন্ধ নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন এ সম্মেলনে। 

প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি ও রিসার্চ কাউন্সিল অব নরওয়ের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

‘অল্টানেটিভ ফাইন্যান্স ট্রেন্ডস ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে রোথাম স্নেয়র আরো বলেন, এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এমনকি নেপালের মতো দেশ গণঅর্থায়নের ধারণায় অনেক দূর এগিয়ে গেছে। 

বাংলাদেশেরও দুটো প্রতিষ্ঠান প্রায় ৩৬ হাজার ইউএস ডলার উত্তোলন করে বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও, আরো কয়েকটি গণঅর্থায়ন প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

গবেষণায় দেখা গেছে, গণঅর্থায়নে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে সফলতার হার প্রায় ৯২ শতাংশ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বড় বড় দাতা সংস্থা, বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে গণঅর্থায়ন প্রকল্পের সাথে যুক্ত হচ্ছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে থাকায় এসব ক্ষেত্রে মানুষের আস্থাও বাড়ছে। ফলে, ভবিষ্যতে বিনিয়োগের একটা বড় খাত হয়ে উঠতে যাচ্ছে গণঅর্থায়ন।

ইডিইউর উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দার খান এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ক্রাউডফান্ডিং কেবল অর্থ সংগ্রহ নয়, একইসাথে ব্যবসা বা প্রকল্পকে সহযোগিতা করার জন্য সামাজিক বলয়ও তৈরি করে। এভাবে সম্ভাব্য গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীরা পরস্পর একীভূত হয়ে যে সম্পৃক্ততার সৃষ্টি হয়, তা সেই ব্যবসা বা প্রকল্পটির স্থায়িত্বকে বাড়িয়ে তোলে। 

একইসাথে উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকেও উৎসাহিত করে এই ক্রাউডফান্ডিংয়ের ধারণা। নতুন অনেকেই নিজেদের উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস পায়।

সম্মেলনের প্রথম দিনে ‘ক্রাউডফান্ডিং ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ইস্টার্ন নরওয়ে-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জিয়াউল হক মুনিম ও ইডিইউর অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর মুহাম্মদ হাসান শাকিল; ‘ক্রাউডফান্ডিং কালচারাল ইন্ডাস্ট্রিজ-দ্য ক্রাউডকাল প্রজেক্ট’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়েস্টার্ন নরওয়ে ইউনিভার্সিটি অব এপ্লায়েড সায়েন্স-এর প্রফেসর ড. নাটালিয়া ম্যালে; ‘ক্যাম্পেইন ফিচারস এন্ড ক্রাউডফান্ডিং সাক্সেস: এভিডেন্স ফ্রম অটোমেটেড মেশিন লার্নিং’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব দ্য ক্রিয়েটিভ আর্টস-এর প্রফেসর ড. এলিজাবেথা লাজারো, ইউনিভার্সিটি অব আগদার নরওয়ে-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. দানিয়েল নর্ডগার্ড ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর জিয়াউল হক মুনিম; ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রাউড ফান্ডিং: দ্য কেইস অব মিউজিয়াম’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব বার্সেলোনা-এর প্রফেসর ড. লুইস বনেট।

বিনিয়োগবার্তা/এমআর//


Comment As:

Comment (0)