বোরো ধানে ফলন বিপর্যয়

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার

ড: মিহির কুমার রায়ঃ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্যভুক্ত একটি দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়ন চিত্র নিজ চোখে দেখতে বিশ্ব আর্থিক খাতের মোড়ল সংস্থা বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন- যা বাংলাদেশে এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক তিন দিনের সফর। গত ২০শে জানুয়ারি শুক্রবার বিশ্ব ব্যাংক ঢাকা অফিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভ্যান ট্রটসেনবার্গ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়া তিনি বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করবেন। তার সঙ্গে থাকবেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার। তাছাড়াও বাংলাদেশ ও বিশ্ব ব্যাংকের মধ্যে সুন্দর সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করতেই মূলত তিনি ঢাকায় এসেছেন। এরই মধ্যে তার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে এবং ঢাকা সফর উপলক্ষে এক বিবৃতিতে অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, ‘মানব উন্নযন, নারীর ক্ষমতাযন এবং জলবায়ু অভিযোজনে সফল  উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র্য কমাতে কী করা যেতে পারে তা বাংলাদেশ বিশ্বকে দেখিয়েছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে তার  ৫০ বছরের অংশীদারত্ব এবং দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন যাত্রার অংশ হিসেবে গর্বিত। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে সহায়তাকারী প্রথম উন্নযন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। তারপর থেকে এই দাতা সংস্থাটি প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ঋণ সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যার বেশিরভাগই অনুদান বা রেয়াতি ঋণের (কম সুদে)। বাংলাদেশে বর্তমানে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) বৃহত্তম চলমান কর্মসূচি রযেছে।

ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভান ট্রটসেনবার্গ ২২শে জানুয়ারি রবিবার এক সৌজন্য সাক্ষাত করতে অর্থমন্ত্রীর দফতরে আসেন। সে সময় অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে অভিহিত করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, দুর্যোগ মোকাবেলা খাতসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। বিশেষতঃ করোনাকালীন সময়ে বাজেট সহায়তা, কোভিড মোকাবেলা এবং কোভিড ভ্যাকসিন ক্রয়ে অর্থায়নের জন্য ধন্যবাদ জানান। অর্থমন্ত্রী দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের আরও জোরদার ও ফলপ্রসূ অংশীদারত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ঢাকাকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক এবং ৫০ বছরের অংশীদারিত্বকে মনে রাখতে মেগা প্রকল্পে অর্থায়নে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান। এছাড়াও, এলডিসি উত্তরণে বিশ্বব্যাংক বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। 

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সভায় বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের তিনি বিশেষত: দারিদ্র দূরীকরণে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন সময়োচিত পদক্ষেপও অন্যের জন্য শিক্ষণীয়। বাংলাদেশের উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের অভিষ্ঠে পৌছাতে বিশ্বব্যাংকের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তিনি বিশ্ব ব্যাংকের খসড়া ‘কান্ট্রি পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) নিয়েও আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সিপিএফে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি, রোববার বেলা ৩টায় বিশ্ব ব্যাংক এমডি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারত্ব সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তার সঙ্গে ছিলেন সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার এবং অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংক যৌথভাবে এই উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, বিশ্ব ব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক আহমদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির, গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) আহসান এইচ মনসুর এবং বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান মাল্টি লেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সির (মিগা) ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমদ বক্তব্য রাখেন। উদযাপন অনুষ্ঠানের ফাঁকে সম্মেলন কেন্দ্রটির কার্নিভাল হলে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এবং বিশ্ব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যৌথভাবে একটি মাল্টিমিডিয়া ফটো প্রদর্শনী ‘এ জার্নি টুগেদার’ উদ্বোধন করেন।
 
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার বক্তব্যে ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব উদযাপনকালে বেশ কিছু খাতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে আগামীতে বাংলাদেশের উন্নয়নে দৃঢ় সহায়তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম হিসেবে এই যাত্রায় অংশীদার হতে পেরে গর্বিত বিশ্বব্যাংক। আগামীতে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক এখন নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য নিয়ে মূল্যায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের সাফল্য এবার বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছে সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি তিনটি সেশনে ভাগ করা হয় যেমন ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের অংশীদারিত্ব অনুষ্ঠানটি উদযাপন, সফররত বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক-(এমডি, অপারেশন) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুল্লাহে সেক এর বক্তব্য এবং শেষ পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ইআরডি সচিব যিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।

বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণ বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিরতা রয়েছে। এ সংকট উত্তরণে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে যেমন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রপ্তানি, আর্থিক খাত, ম্যাক্রো ইকোনোমি, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন হবে বিশেষত তথ্য প্রযুক্তি ও ভোকেশনাল ট্রেনিংমুখী শিক্ষায়, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে, রপ্তানিুমখী শিল্পের বিকাশ, রোহিঙ্গা বিষয়ে ইত্যাদি। 

সর্বশেষে বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশটি এখন নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে যার অংশীদার হতে পেরে বিশ্বব্যাংক গর্বিত। এই আলোচনার পরের সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগেই ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব ব্যাংকের সদস্যপদ অর্জন করে। এরপর থেকে এ দেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে, পাচ দশকে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক এখন নতুন মাইলফলকে পৌঁছে গেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশ বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে, কোভিড-১৯, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জের সময়ে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশকে উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রমে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) আওতায় অনুদান, সুদবিহীন ঋণ এবং নমনীয় ঋণ হিসেবে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্র্রুতি দিয়েছে, বর্তমান ৫৩টি চলমান প্রকল্পে প্রায় ১৫.৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সর্ববৃহৎ আইডিএ কর্মসূচির বাস্তবায়ন চলছে এবং বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অংশীদার।

মাননীয় অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, পরবর্তী টার্গেট ২০৩১ সালে বাংলাদেশ উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হবে এবং ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ শুরু করা হয়েছে যার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু হয়েছে, ১৯৭২ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ৬.৩ বিলিয়ন, বর্তমানে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, বাংলাদেশ বর্তমানে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ, দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ, মাথাপিছু আয় বর্তমানে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে, গড় আয়ু বেড়ে দাড়িয়েছে ৭২ বছরে, ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭৪ গুণ বেড়েছে, আগামীর উন্নয়নেও বিশ্বব্যাংককে পাশে চায় বাংলাদেশ উল্লেখ করে চলতি অর্থবছরে ৫০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা দিবে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বিদ্যুৎ-জ্বালানি, শিক্ষা, চিকিৎসা, মন্দা মোকাবেলা, ঢাকা সবুজায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় নতুন করে ঋণ সহায়তা দেবে সংস্থাটি। এ অবস্থায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি কমাতে ৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ছয়টি ঋণ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বিশ্বব্যাংক। গত ২০শে জানুয়ারী রাতে সংস্থাটির ওয়াশিংটন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় যাতে বলা হয়, ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর নিম্ন আয়ের এবং মধ্যম আয়ের দেশে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের দেশে ৯৪.১, মধ্যম আয়ের দেশে ৯২.৯ এবং উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে ৮৯ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে। উচ্চ খাদ্যমূল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি হয়েছে। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টার প্লান’ প্রণয়ন করেছে। এ মাস্টারপ্লান অনুসারে এর  চারটি স্তম্ভ- স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটি এর আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

সর্বশেষে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে ট্রটসেনবার্গ বলেন, অতীতের মতোই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ২৪শে জানুয়ারি অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সফর সমাপ্ত করে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। 

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও ডিন, সিটি ইউনির্ভাসিটি, ঢাকা ও সাবেক জৈষ্ঠ্য সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবীদ সমিতি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)