প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে পরিবর্তন
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু নীতিগত পরিবর্তন এনেছে। এতে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদানের বিধান শিথিল, স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে মাশুল মওকুফ ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসকে (এমএফএস) যুক্ত করা হচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার বৃদ্ধি ও চীনের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি—এই তিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমাদের অর্থনীতি বেশ স্থিতিশীল। আগামী দু-এক মাসের মধ্যে ঋণপত্রের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। রমজানের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে এলসি মার্জিন ন্যূনতম করাসহ বেশ কিছু নীতিগত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ চলছে।
ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর ও সহসভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের অন্যান্য সদস্য।
ডিসিসিআই সভাপতি মো. সামীর সাত্তার বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো প্রয়োজন। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সুশাসন নিশ্চিত এবং অভ্যাসগত খেলাপিদের কাছ থেকে দ্রুত ঋণ পুনরুদ্ধারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন ডিসিসিআই সভাপতি। সে জন্য ব্যাংকিং আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনারও পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে সময়োপযোগী মুদ্রানীতি ঘোষণা করায় বাংলাদেশ ব্যাংককে ধন্যবাদ জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মো. সামীর সাত্তার। তিনি বলেন, এবারের মুদ্রানীতিতে উল্লিখিত সহায়ক নীতি ও নির্দেশিকা দেশের বেসরকারি খাতের পাশাপাশি আর্থিক খাতকে ঘুরে দাঁড়াতে সহায়তা করবে।
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, দেশের সিএমএসএমই খাতের স্বার্থে ঋণ সহায়তাপ্রাপ্তি ও ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করা প্রয়োজন। এ ছাড়া তরুণ ও উদ্ভাবনী স্টার্টআপগুলোর ঋণ পাওয়া সহজ করতে ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//