দারিদ্র্য দূরীকরণে নোবেলজয়ী ত্রয়ী অর্থনীতবিদই এখন বিতর্কিত

রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি উন্নয়নে কতিপয় সুপারিশ

ড: মিহির কুমার রায়ঃ সরকার ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রতি বছরের ন্যায় বর্তমান বছরেও রাজস্ব আদায়ের জন্য একটি টার্গেট দিয়ে থাকে যা বাজেট কাঠামোরই একটি অংশ বলে বিবেচিত হয়। আমরা যদি চলতি বছরের বাজেট বিশ্লেষন করি তাহলে দেখা যাবে বাজেটের আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ১৫.৩ শতাংশ, যা ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকা বেশি। সে অর্থে বাজেটের আকার বাড়ছে বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ১২.৫ শতাংশ অর্থ্যাৎ গত ২০২১-২২ অর্থবছর বাজেটের আকার নির্ধারিত হয়েছিল ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা যা জিডিপির ১৭.৫ শতাংশ অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে জিডিপির অংশ হিসেবে বাজেটের আকার ২ শতাংশেরও বেশি কমিয়ে আনছে সরকার। সম্ভাব্য বর্তমান বছরের বাজেটে আয়ের  লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা যা জিডিপির ৯.৮ শতাংশ। অপরদিকে গত অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ১১.৩ শতাংশ এবং সেদিক থেকে বাজেটে ঘাটতি দাড়াচ্ছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা যা জিডিপির ৫.৫ শতাংশ যা মোট বাজেটের প্রায় ৩৬ শতাংশের মতো এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির তুলনায় সামান্য কিছু বেশি। বর্তমান বছরের বাজেটে মোট জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭.৫ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৫.৬ শতাংশ। নতুন বাজেটে এনবিআরের ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যা জিডিপির ৮.৪ শতাংশ যা গত অর্থবছরের মূল বাজেটে এনবিআরের আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা (জিডিপির ৯.৫ শতাংশ)। সে হিসাবে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে ৪০ হাজার কোটি টাকা যা শতকরা হিসাবে ১২ শতাংশ। বর্তমান বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা, কর-বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার কোটি টাকা যা গত অর্থবছরের মূল বাজেটে এ দুই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে বর্তমান বছরের বাজেটে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে যথাক্রমে ১৩ ও ৫ শতাংশ।

বাজেট পর্যালোচনায় রাজস্ব আদায়ে দেখা যায় যে চলতি অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ১৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এখানে উল্লেখ্য যে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬ কোটি টাকা, এ সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা এবং এতে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১১২ কোটি টাকা। এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, রাজস্ব আদায়ের প্রধান খাত আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট এবং আয়কর ও ভ্রমণ খাত থেকে পুরো অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রধান এই তিন খাতে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি থেকে যায়। এখন আসা যাক আমদানি ও রপ্তানি খাত যেখানে দেখা যায় যে, রাজস্ব আহরণের প্রধান তিন খাতের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি খাত থেকে পুরো অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা, ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা যা শতকরা হার ৮২ শতাংশ। এ খাতটি থেকে ছয় মাস শেষে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ৯ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা।
  
এখন আসা যাক স্থানীয় পর্যায়ে মূসক খাত যেখানে রাজস্ব আদায়ের এ খাতটি থেকেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আহরণ হয়নি, যেমন পুরো অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, এর মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত খাতটি  থেকে রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৬ হাজার ১২৯ দশমিক ১ কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৫৩ হাজার ৬৩ কোটি টাকা যা শতকরা হার ৯৫ শতাংশ এবং এই খাতটি থেকে ছয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। এখন আসা যাক আয়কর ও ভ্রমণ  কর খাতে যেখানে দেখা যায় রাজস্ব আদায়ে এ খাতটিও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে, সারা অর্থবছরে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায়ের  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৭ হাজার ৪১২  কোটি টাকা, আদায় হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা যা শতকরা হার ৯৪ শতাংশ। এতে ছয় মাসে খাতটি থেকে রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে ছয় মাস শেষে অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৬৩  শতাংশ যা গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৪১ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা যা তখনকার লক্ষ্যমাত্রার ৭.২৯  শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। অর্থনীতিবিদগন বলছে বিদেশি ঋণের চাপ কমাতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। তবে কর আহরণ  বাড়াতে যে ধরনের সংস্কার দরকার তা এখনও করা হয়নি। রাজস্ব খাতে কার্যকর সংস্কার ছাড়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না। 

করোনা মহামারির প্রভাব থেকে দেশের অর্থনীতি এখনো পুরোপুরি মুক্ত হতে পারেনি। তবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সব সময় চ্যালেঞ্জিং যা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া জরুরী। চলমান বছরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মতো অর্থনৈতিক অবস্থা যেমন আমদানি ও রফতানি,  ভোগ্য দ্রব্যের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও সরবরাহ, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি প্রভৃতি ফিরে আসবে কিনা তা নির্ভর করছে বৈশ্বিক পরিস্থিতির গতি প্রকৃতির উপর। অন্যদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাঙ্ক্ষিত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং নীতি বাস্তবায়নের সামর্থ্য  সময়ের স্বল্প পরিসরে অর্জন করা সম্ভব হবে কিনা, সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। এবার বাজেটের শুল্ক কর-সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্যের ঊর্ধ্ব বা নিম্নমুখী প্রবণতা, দ্রব্য মূল্য প্রভৃতি অনেকটা নির্ভর করে বাজেটে শুল্ক কর নির্ধারণের দক্ষতার উপর। সর্বোপরি রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও এ শুল্ক কর নির্ধারণের প্রভাব অনস্বীকার্য।

চলতি বাজেটের রাজস্ব নীতি পুরোটাই ব্যবসা বান্ধব হয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। বাজেট প্রস্তুতির প্রাক্কালে দেশের কর ব্যবস্থা নিয়ে শীর্ষ ব্যবসায়ী এবং ব্যবসায়ী নেতাদের ক্ষোভের অন্ত ছিল না। দেশে অগ্রিম কর দেয়ার বিধান চালুর পর কর আহরণে যেমন বৈপ্লবিক ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছিল, তেমনি কর ফাঁকি বহুলাংশে রোধ করা সম্ভব হয়েছে। এ যাবৎ দেশে যে কর কাঠামো বিরাজমান ছিল তার মধ্য থেকেই দেশে বহু ছোট-বড় উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে, বিনিয়োগ বেড়েছে, রফতানি বেড়েছে। বলতে গেলে অনেক কোটিপতিও জন্মেছে। এর কারণ অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ও রফতানিতে প্রচুর শুল্ক করে ছাড় ও নীতিসহায়তা। উৎপাদিত দ্রব্যের মূল্য নির্ধারণে কোনো সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই, বরং অনেক ক্ষেত্রে আমদানি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের মুনাফা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর উপর কারো কারো কর ফাঁকির প্রবণতাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। তবে আশা করা হয়েছে, এর ফলে দেশে বিনিয়োগসহ কর্মসংস্থান বাড়বে এবং রাজস্বও বাড়বে। এ ব্যাপারে কতিপয় সুপারিশ হলো: ক. রাজস্ব প্রশাসনের জনবল বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে যাতে রাজস্ব সংগ্রহে গতি সঞ্চার করা যায়; খ. কর ফাঁকি রোধে এনবিআরের কর্মকর্তাদের কৌশলী হতে হবে বিশেষ করে কর আহরণ ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশন ও মেশিনের ব্যবহার করতে হবে; গ. দেশে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির অনুষঙ্গ হিসেবে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে অবশ্যই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে কর-জিডিপি অনুপাত বৃদ্ধির সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে; ঘ. কাস্টম আইন কয়েক বছর ধরে সংসদে পাশের অপেক্ষায় আছে যা অবশ্যই তড়িৎ পাশের ব্যবস্থা করতে হবে; ঙ: রাজস্ব আয়ের আহরণের একটি বড় প্রতিষ্ঠান হলো এন,বি,আর যার সাথে সরকারের স্থায়ীত্বশিলতার প্রশ্নটি জড়িত। সেক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নৈতিক ভিত্তি তথা প্রশাসনিক কাঠামো আরো জোরদার করতে হবে, নতুন নতুন করদাতা সংগ্রহ উপজেলায় আরও অফিস  স্থানান্তর করতে হবে এবং বেশী বেশী কর মেলার আয়োজন নতুন অঞ্চলগুলোতে করতে হবে। আবার উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন দক্ষতা বৃদ্ধি, ব্যয়ের মান উন্নয়ন ও অব্যাহত দুর্নীতি প্রতিরোধে উদ্যেগী মন্ত্রনালয়, বাস্তবায়নকারী সংস্থা, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ অনুবিভাগকে উন্নয়নের সহযাত্রী হিসাবে কাজ করতে হবে; চ. প্রসংগটি হলো বৈশ্বিক অবস্থার উন্নতি না হলে দেশের আমদানী-রফতানীতে পুর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে সময় লাগবে তার সাথে যুক্ত হতে পারে বৈদেশিক ও আভ্যন্তরীন বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মহীনতা, ভোগ চাহিদা ও সরবরাহ চেইনে বাধাগ্রস্থতা, রাজস্ব আদায়ে স্থবিরতা ইত্যাদি। বর্তমান সরকার যে গতিতে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করছে তা আন্তর্জ্যাতিকভাবে প্রশংশীত হয়েছে এবং অর্থনীতি আবার ঘুরে দাড়াতে পাড়বে কারন প্রবৃদ্ধির চেয়ে এখন টিকে থাকাটাই বিবেচ্য বিষয়; ছ. আয়কর আইনের পরিবর্তনের ফলে প্রত্যক্ষ কর কমে যেতে পারে এবং কাল টাকার সাদা করার/পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা বিষয়টি উন্মোক্ত করায় এই সুযোগটিও সদ্ব্যবহার করা উচিত। রফতানি শুল্ক হারে যে সকল পরিবর্তন এসেছে তা বিনিয়োগ তথা ব্যবসাবান্ধব বিশেষত: করোনার সৃষ্ট অর্থনৈতিক অবস্থা ও ব্যবসায়ীদের চাহিদার বিবেচনায়। কিন্তু ইন্টারনেট ও সিম ব্যবহারে যে মুসক বৃদ্ধি করা হয়েছে তাতে হয়ত রাজস্ব বাড়বে কিন্তু সমালেচনা বাড়বে অনেক বেশী। আমানতকারীদের ব্যাংক হিসাব থেকে এস্কাইজ কর কেটে নেয়া অজনপ্রিয় আর একটি পদক্ষেপ যা আমানতের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।  বড় বাজেট কোন সমস্যা নয়, বাস্তবায়নের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, অপচয় কমাতে হবে, সরকার ষোষিত যে প্রনোদনা ঘোষনা দেওয়া হয়েছে তা সঠিক সময়ে যোগ্য লোকদের হাতে যাতে যায় এদিকে নজর দিতে হবে; জ: সর্বশেষ: বাংলাদেশ বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে যাচ্ছে, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগে বড় উলম্ফন হতে যাচ্ছে- এ ধরনের অনুমান আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ভুল বার্তা দিতে পারে যা কোভিড মোকাবিলায় তহবিল পাওয়ার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এখন প্রবৃদ্ধির চেয়ে মানুষের জীবনযাত্রা ও কর্মসংস্থান কতটা টেকসই হবে, সেদিকে নজর রাখতেই হবে। বাজেট বছরে করোনা, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতীয় পুঁজি সংবর্ধন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারলে আশাতিত প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়তো সহজ হবে।

লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), ডীন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।


Comment As:

Comment (0)