প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহন ২১ মার্চ

প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা, ঢাকা: প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় অভিযুক্ত কোম্পানির চেয়ারম্যান ও র‌্যাঙ্কস গ্রুপের কর্ণধার এম এ রউফ চৌধুরী আদালতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। অপর আসামী সাইদ হোসেন চৌধুরীকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আগামী ২১ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাসুদ রানা খান এম এ রউফ চৌধুরীকে জেরা করেন। এসময় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

আজ দুপুরে শেয়ারবাজার-সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তিনি এই সাফাই সাক্ষ্য দেন।

আদালতে বিচারক আকবর আলী শেখের সামনে দাঁড়িয়ে এম এ রউফ চৌধুরী বলেন, প্রায় ২৬ হাজার কর্মকর্তা কর্মচারী তার ৫৩ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। এসবের তিনি কিছুই জানেন না। তিনি যে এই কোম্পানির চেয়ারম্যান তাও নাকি তার জানা নেই।এমন একজন ব্যস্ত ব্যবসায়ী এ ধরনের কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত হতে পারেন না। অভিযোগের সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ না থাকায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

অপর অভিযুক্ত পরিচালক ও এইচআরসি গ্রুপের কর্ণধার সায়ীদ হোসেন চৌধুরী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজে তার কোনো সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। তিনিও দেশ ও দেশের বাইরে সুপ্রতিষ্ঠিত একজন ব্যবসায়ী। তিনি ওয়ান ব্যাংক, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক, হলিডে পাবলিকেশনসহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ২৩টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী। তিনিও খুব ব্যস্ত সময় পার করেন। তিনি এই কোম্পানির পরিচালক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন না। তিনি নিজেকে প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের একজন স্লিপিং পার্টনার দাবি করেন। তিনি কোনো মুনাফাভোগীও ছিলেন না। তাই তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।

অপর আসামী সাইদ হোসেন চৌধুরীকে নির্দোষ প্রমাণের জন্য আগামী ২১ মার্চ আদালতে সাক্ষ্য দেবেন।

আদালতে অপর ২ আসামী প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান ও পরিচালক অনু জায়গীদার হাইকোর্টে মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে স্থগিতাদেশ নেওয়ায় তাদের পরীক্ষার সুযোগ নেই।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামিরা প্রিমিয়াম সিকিউরিটিজের নামে ১৯৯৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন করেছেন। আলোচ্য সময়ে তারা মিতা টেক্সটাইল, প্রাইম টেক্সটাইল, বাটা সুজ ও বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার লেনদেন করেছেন।

যার মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার ১৩ লাখ ২৪ হাজার৯৭৫টি, মিতা টেক্সটাইল লিমিটেডের ১ লাখ ১১ হাজার ৫৬০টি, প্রাইম টেক্সটাইল লিমিটেডের ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫০টি, বাটা সু লিমিটেডের ৫ লাখ ৫৩ হাজার ১০০টি শেয়ার ছিল।

অভিযোগ, আসামিরা ওই সব কোম্পানির শেয়ার অপারেট করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি, অপকার ও অনিষ্ঠ সাধন করেছেন।

 

(ইউএম/ ০৮ মার্চ ২০১৭)


Comment As:

Comment (0)