বড় লোকসানে ব্রিটিশ পেট্রোলিয়াম

বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত বছর ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের (বিপি) নিট লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৩ কোটি ডলার বা ১ হাজার ৬৮০ কোটি ইউরো। মহামারীর কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি চাহিদায় পতনে বড় অংকের লোকসান গুনল যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি জায়ান্টটি। খবর এএফপি।
বিপি জানায়, ২০১৯ সালে যেখানে ৪০০ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছিল সেখানে গত বছর বড় অংকের লোকসানে পড়তে হয়েছে। মহামারীর আগেই তেল ও গ্যাসের দামে পতন এবং মহামারীতে চাহিদা কমায় লোকসান গুনেছে বিপিসহ শীর্ষ তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো।
গত বছর কোম্পানিটি জানায়, ২০২১ সাল নাগাদ ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে বিপি, যা তাদের বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ১৫ শতাংশ।
এক বিবৃতিতে বিপির সিইও বার্নার্ড লুনি জানান, ২০২০ সালে কভিড-১৯ মহামারী যে কষ্ট ও বেদনা নিয়ে এসেছে তা আজীবন মনে থাকবে। অসংখ্য জীবন হারিয়েছে এবং লাখো কর্মসংস্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক ও আকাশ ভ্রমণ সংকুচিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলের চাহিদা, দাম ও আয় কমেছে।
লুনি আরো জানান, জিরো কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে একটি সমন্বিত জ্বালানি কোম্পানি হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিপি। যুক্তরাষ্ট্রে একটি অফশোর বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
এক বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করা লুনির নেতৃত্বে ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার মূলধন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছে বিপি।
করোনা লকডাউন ও সীমান্ত বন্ধের ফলে গত বছর যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়েছে এবং উড়োজাহাজ সংস্থাগুলো তাদের অধিকাংশ উড়োজাহাজ গ্রাউন্ডেড করে রেখেছে। তারপর ধীরে ধীরে তেলের দাম বেড়েছে এবং ব্যারেলপ্রতি ৫০ ডলার ছাড়িয়েছে।
চলতি বছরে তেলের চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন সরবরাহ এবং বিশ্বব্যাপী সরকারগুলোর পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিপি। তবে এখনো বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ এবং চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধের কারণে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে শ্লথগতির আশঙ্কা করছে ব্রিটিশ জ্বালানি জায়ান্টটি।
(এসএএম/০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১)