বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী যুক্তরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বিনিয়োগবার্তা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান-এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন।
বৃটেনের হাইকমিশনার মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে উপস্থিত এ সৌজন্য করেন।
এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এবং বৃটিশ দূতাবাসের বেসরকারীখাতের উন্নয়ন বিষয়ক কর্মকর্তা মহেশ মিশ্ররা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হলো যুক্তরাজ্য, যেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ৩.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার বিপরীতে ৪১১.০৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্থানীয়ভাবে তৈরি সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্য হলো যুক্তরাজ্য এবং গত অর্থবছরের রপ্তানিকৃত মোট সফটওয়্যারের প্রায় ১৩ ভাগই যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি করা হয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বাংলাদেশ থেকে আরো বেশি হারে সফটওয়্যার ও তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সেবা আমদানির পাশাপাশি এখাতে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার জন্য যুক্তরাজ্যের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের তৈরি পোষাক খাতের পণ্য ছাড়াও শাক-সবজি, ফলমূল, বাইসাইকেল, ব্যাটারী, পাটজাত পণ্য এবং পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি পণ্য আমদানির প্রস্তাব করেন। ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বৃটেনের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বৃটিশ সরকার কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সাক্ষাৎকালে বৃটেনের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, উচ্চ শিক্ষা, আর্থিক খাত এবং আর্থিক প্রযুক্তি (ফিনটেক) প্রভৃতি খাতসমূহ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে বৈশি^ক প্রতিযোগিতার বাজারে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিতকরণের কোন বিকল্প নেই এবং এদেশে আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম চালুকরণে বৃটেনের বিশ^বিদ্যালয়সমূহ অত্যন্ত আগ্রহী, তবে তা নিশ্চিতকরণে তিনি বিদ্যমান নীতিমালা সমূহের কার্যকর ব্যবহারের আহ্বান জানান।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যার ফলে বৃটিশ কোম্পানীসমূহ বাংলাদেশে আরো অধিক হারে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষনে তিনি বাংলাদেশের ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ আরো উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে আগামী সপ্তাহ হতে ‘বৃটিশ-বাংলাদেশ বাণিজ্য সংলাপ’ আয়োজনের সম্ভাবনা রয়েছে, যেখানে দুদেশের সরকার ও বেসরকারীখাতের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
(এসএইচআর/এসএএম/৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ইং)