গরু কেনাবেচা: আদালতে যাচ্ছে ভারতের মাংস ব্যবসায়ীরা
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: ভারতে নরেন্দ্র মোদির সরকার গরু-মহিষ কেনাবেচা বন্ধ করে দিয়েছে। অবশ্য বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ রাজ্য সরকারগুলোর এখতিয়ারে বলে এই নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগ নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে এমন রুলসে না খেয়ে কাটাচ্ছে মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। খবর রয়টার্সের।
বিভিন্ন দেশে গরু-মোষের মাংস রপ্তানি করে বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা আয় করে ভারত। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন ধর্মের কোটি কোটি মানুষ গো-মাংস খায়। কয়েক লক্ষ কর্মী মাংস প্রক্রিয়াকরণ ও চামড়া শিল্পে নিযুক্ত। এ ব্যবসা নিষিদ্ধ হলে কাজ হারাবেন তারা সবাই।
দিল্লির মহিষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকিল কোরাইশি বলেন, সরকারের এ সিদ্ধান্তে মাংসের ব্যবসা লাঠে উঠেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণে আমরা আইনি সহায়তা নেব; প্রয়োজনে রাস্তায় নামবো।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এ সংক্রান্ত গেজেট জারি করে। গেজেটে বলা হয়, কৃষিকাজের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে গরু, ষাঁড়, গাড়ি টানা বলদ, হাল টানা বলদ, মোষ, বকনা বাছুর ও উট বিক্রি করা যাবে না।
সরকারি ওই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, বাজারে গরু বা অন্য গবাদি পশু আনতে গেলে প্রয়োজনীয় আগাম অনুমতি নিতে হবে। যাতে কৃষি ও পশুপালন সংক্রান্ত উদ্দেশ্য উল্লেখ করলে তবেই ছাড় দেওয়া হবে। বিক্রেতা সঠিক পরিচয়পত্রে নিজেকে কৃষক প্রমাণ করতে পারলেই গরু বা মহিষ কিনতে পারবেন।
পাশাপাশি রাজ্যের সীমান্তের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো পশু বিক্রির বাজার থাকতে পারবে না বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা নতুন এই আইনকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন। তারা বলছেন, প্রায় ১ লাখ কোটি রুপির মাংসের ব্যবসায় ধ্বস নামবে এই নীতির ফলে।
তবে এ বিষয়ে একেবারেই অনড় হিন্দুত্ববাদী সরকার। গতকাল শনিবারও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাণি রক্ষার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। গরু মহিষ হত্যা করে ব্যবসা চালানোকে এখানে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না।
(ইউএম/ ২৮ মে ২০১৭)