ব্রিটনির প্রথম আইপ্যাড
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক, ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের গড়পড়তা নাগরিকদের জন্য একটা আইপ্যাড বিরাট কোনো কিছু নয়। সত্যি বলতে কি, অনেকের কাছেই এটা ডালভাত। কিন্তু ব্রিটনি স্পিয়ার্সের কাছে এটাই চাঁদ হাতে পাওয়ার শামিল। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও ৩৯ বছরের জীবনে এই প্রথম একটা আইপ্যাডের মালিক হলেন এই মার্কিন গায়িকা। অথচ তাঁর ব্যক্তিগত সম্পত্তিই আছে ৬ কোটি ডলার বা ৪৮০ কোটি টাকার মতো। এরপরও তিন–চার শ ডলার দামের একটা আইপ্যাড কেনার স্বাধীনতা তাঁর নেই।
২০০৮ সালে ব্যক্তিগত কিছু সংকটের কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও ব্রিটনির সবকিছুর ক্ষমতা তাঁর বাবার হাতে তুলে দেন আদালত। এমনকি কতটুকু ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন, কোন কোন সাইটে যেতে পারবেন কিংবা কার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন—সবই ঠিক করে দেন তাঁর বাবা।
কোটি ডলারের মালিক হওয়ার পরও সপ্তাহে তাঁকে দেওয়া হয় মাত্র দুই হাজার ডলার, অর্থাৎ মাসে আট হাজার ডলার। জীবনের প্রথম আইপ্যাডটি পেয়ে স্বভাবতই তাই বাচ্চাদের মতো উচ্ছ্বসিত ব্রিটনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবরটা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘ওকে বন্ধুরা, দারুণ খবর…আজ আমার প্রথম আইপ্যাড পেলাম…কিচেনে এসে দেখি, আমার অর্ডার করা একটা জিনিস, নতুন একটা আইপ্যাড! কী ভালো যে লাগছে! আমার বাচ্চাদের আছে, আমার কখনো ছিল না।’
তারপর যোগ করলেন, ‘ছোট্ট একটা ফোন অবশ্য আছে—সেই ফোনে ইন্টারনেট আছে কি না, সেটা অবশ্য জানা গেল না—‘আর এখন আমার হাতে এই আইপ্যাড। মনে হচ্ছে, অবশেষে জীবনটা পাল্টাতে শুরু করেছে।’
শেষ কথাটায় মনে হচ্ছে ব্রিটনির ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা শুরু করেছেন তাঁর বাবা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মেয়েকে মাসে ৮ হাজার ডলার দিলেও নিজে কিন্তু মেয়েরই আয় থেকে মাসে নিচ্ছেন ১৬ হাজার ডলার। আর দু–এক বছর নয়, এক যুগ ধরে এই টাকা নিচ্ছেন তিনি। অফিসের ভাড়া হিসেবে পাচ্ছেন আরও দুই হাজার করে। মেয়ের সম্পত্তির লভ্যাংশের কথা না হয় বাদই রইল। বাবার এই জাল থেকে বেরোনোর আইনি লড়াই এখনো করছেন ব্রিটনি। সূত্র: ইয়াহু।
(ডিএফই/১০ আগস্ট, ২০২১)