বিগত বছরে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারের পণ্য রফতানি
নিজস্ব প্রতিবেদক: নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব কাটিয়ে গত বছর রফতানি খাত তুলনামূলক চাঙ্গা অবস্থায় ফেরে। রফতানি আয়ে বড় উল্লম্ফন দেখা গিয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে, সদ্যসমাপ্ত বছরে বাংলাদেশ রফতানি আয় আগের বছরের চেয়ে বেড়ে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ মোট ৩ হাজার ৯৩৩ কোটি ৭৩ লাখ বা ৩৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করে। এর পরের বছর অতিমারীর অভিঘাতে ১৫ শতাংশ কমে পণ্য রফতানি হয় ৩ হাজার ৩১৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলারের। তবে ২০২১ সালে রফতানি বেড়ে ৪ হাজার ৪৬৬ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
পুরো বছরই প্রবৃদ্ধির হারে বেশ ওঠানামার চিত্র দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি শুরুই হয় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দিয়ে, যা ২০২০ সালের একই সময়ের চেয়ে ৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতেও রফতানিতে ছিল ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি। তবে মার্চে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি হয় পণ্য রফতানিতে। যার হার ছিল ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বছরের প্রথম প্রান্তিকের পর দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ববাজারের আমদানি চাহিদায় বড় উল্লম্ফন দেখা যায়। ২০২০-এর এপ্রিলের তুলনায় ২০২১ সালের এপ্রিলে রফতানি প্রবৃদ্ধি হয় ৫০২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মে মাসেও ছিল বড় উল্লম্ফন। রফতানি প্রবৃদ্ধি মে মাসে ছিল ১১২ দশমিক ১১ শতাংশ। জুনে রফতানি প্রবৃদ্ধি হলেও তা নেমে আসে ৩১ দশমিক ৭৭ শতাংশে।
২০২১ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে আবারো নেতিবাচক রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়। জুলাইয়ে আগের বছরের তুলনায় রফতানি কম হয় ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ। আগস্টে স্বাভাবিক রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়, যার হার ছিল ১৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে আবারো বেড়ে প্রবৃদ্ধি হয় ৩৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
শেষ হওয়া চতুর্থ প্রান্তিকের প্রথম মাস অক্টোবরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৬০ দশমিক ৩৭ শতাংশ। নভেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয় ৩১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয় ৪৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। বছরের শেষ মাসে রফতানি হয়েছে ৪৯০ কোটি ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য। যেখানে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে রফতানি হয়েছিল ৩৩০ কোটি ৯৮ লাখ ডলারের পণ্য।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//