সেনাপ্রধানের সাথে বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে মেগা প্রকল্পসমূহ’
নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকর্ষনে মেগা প্রকল্পসমূহ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিজিএমইএ।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি ২০২২) বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনটির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় সেনাসদর দপ্তরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন এবং পরিচালক আব্দুল্লাহহিল রাকিব।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষকরে রপ্তানি আয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে পোশাকশিল্প কিভাবে অপরিসীম অবদান রেখে চলছে, তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। একইসঙ্গে পোশাক শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি এবং কোভিড-১৯ এর কারনে অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সৃষ্ট নজিরবিহীন বিঘ্ন মোকাবেলা করে শিল্প কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, সে বিষয়েও সেনাবাহিনী প্রধানকে অবহিত করেন তিনি।
বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষকরে কোভিড মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবময় ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষকরে দেশের অবকাঠামো গত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
তারা আরও বলেন, মেগা প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হওয়ার পর সেগুলো দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং বিনিয়োগ আকর্ষনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।
সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশের উন্নয়নে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদানের প্রশংসা করেন। পোশাকশিল্প যেভাবে কোভিড-১৯ মোকাবেলা করেছে এবং ঘুরে দাঁড়িয়েছে, বিশেষকরে মহামারি সৃষ্ট নজিরবিহীন পরিস্থিতির মধ্যে থেকেও শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোক্তা ও শ্রমিক উভয়ে যেভাবে অদম্য মনোবল ধরে রেখেছেন, তিনি তারও প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক লভ্যাংশ (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কিভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তরুন ও প্রানবন্ত মানুষদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদানে সহায়তা করতে পারে, এমন সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় ও মন জয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ গত ৫০ বছরে বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ন অবস্থান নিশ্চিত করেছে। তাই, এখন সময় এসেছে আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এবং বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে একসঙ্গে কাজ করার।
বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//