নির্যাতনের দায়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কূটনীতিক গ্রেফতার
বিনিয়োগবার্তা ডেস্ক: নিউইয়র্কে বাংলাদেশি এক কূটনীতিককে গ্রেফতার করেছে সেদেশের পুলিশ।গেলো ১২ জুন সকালে তাকে আটক করা হয়।
ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, নিউইয়র্কে তার বাসায় বাংলাদেশি নাগরিক মোহাম্মদ আমিনকে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সহিংস নির্যাতন ও হুমকি দিয়ে বিনাবেতনে কাজ করতে বাধ্য করেছেন। কুইন্স কাউন্টির অ্যাটর্নির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে।
সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম শাহেদুল ইসলাম এবং বয়স ৪৫বছর উল্লেখ করা হয়েছে। পদবী উল্লেখ করা হয়েছে ডেপুটি কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ। তিনি কুইনসের পাশেই জ্যামাইকা স্টেটে বসবাস করছেন।
ওই শ্রমিক যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর পরই অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন এবং তাকে দিয়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করান বলে অভিযোগ এসেছে।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম ৫০ হাজার ডলার বন্ডে জামিন পেয়েছেন, তবে এখনো মুক্ত হননি।
নিউইয়র্কের কুইন্সবারের অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন এমন অভিযোগকে খুবই উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন।
আগামী ২৮ জুন তাকে আবারো আদালতে হাজির হতে হবে।
২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সালের মে মাস পর্যন্ত কোনো অর্থ ছাড়াই ওই ব্যক্তিকে তার বাড়িতে কাজ করতে বাধ্য করেন বাংলাদেশি এ দূতাবাস কর্মকর্তা।
এরপর গত বছর মে মাসে পালিয়ে যায় এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায় মোহাম্মদ আমিন।
ডিসট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড এ ব্রাউন বিবৃতিতে বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন কনস্যুলার তার বাড়িতে আরেকজনকে কাজে বাধ্য করতে শারীরিক জোর খাটিয়েছেন ও হুমকি দিয়েছেন। সেইসঙ্গে প্রথমদিন থেকেই ওই কর্মীকে কাজে আটকে রাখার জন্য তার পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছেন। তাকে বেতন দিতে অস্বীকার করেছেন এবং অন্য দেশে থাকা তার পরিবারকে বিপদে ফেলার ভয়ভীতি দেখান। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে নিশ্চিতভাবেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে তার জন্য শাস্তি পেতে হবে।’
তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে ১৫ বছরের জেল খাটতে হতে পারে।
কনস্যুলেট কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সবোর্চ্চ চেষ্টায় আছেন আইনি পদক্ষেপ মোকাবেলার জন্য।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামিম আহসান বলেন, অভিযোগকারী ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের আশায় এ ধরনের অভিযোগ করেছেন, যা সত্য নয়। বিবিসি বাংলা।
(এমআইআর/ ১৩ জুন ২০১৭)