পোশাক শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক: তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং শিল্পকে গৌরবের একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন শ্রমিক সংগঠন নেতৃবৃন্দ এবং বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ। তারা তৈরি পোশাক শিল্পের বৃহত্তর স্বার্থে শান্তিপূর্ন শিল্প সম্পর্ক বজায় রাখতে সহযোগিতার মনোভাব নিয়েও কাজ করবেন।
সোমবার (১৭ জানুয়ারি, ২০২২) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ফারুক হাসান বলেন, তৈরি পোশাক শিল্প শুধুমাত্র যে পোশাক শিল্পের ৪০ লক্ষ শ্রমিকের জীবন-জীবিকার উৎস তা নয়, বরং শিল্পটি বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফ-লাইনও বটে।
“শিল্পটি বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রেখে আসছে, আর এভাবে একটি জাতীয় সম্পদে পরিনত হচ্ছে। তাই, পোশাক শিল্পের স্বার্থ রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।”
তিনি আরও বলেন, “মেইড ইন বাংলাদেশ” আন্তর্জাতিক বিশ্বে বাংলাদেশকে গৌরবময় পরিচিতি এনে দিয়েছে - বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাপূর্ন ব্র্যান্ড হিসেবে বিশ্ববাজারে প্রতিষ্ঠিত করেছে। “এই অর্জন শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের বহু বছরের শ্রম, নিষ্ঠা ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ফলাফল।”
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রমিক ও উদ্যোক্তারা অংশীজনদের সহায়তা নিয়ে একসাথে কাজ করে নিরাপদ কর্মপরিবেশ ও শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যান প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে পারেন, বাংলাদেশ তার একটি জলন্ত উদাহরণ।
তিনি বলেন যে, শিল্পের এই অর্জন ধরে রাখতে শ্রমিক ও উদ্যোক্তা - উভয়কেই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “যদিও আমরা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছি, আমাদের সামনে অনেক সুযোগও রয়েছে। উদ্যোক্তাদের এখন ব্যবসার কাঠামো পুনর্গঠন, উদ্ভাবন ও পণ্য বৈচিত্র্যকরণ এর মাধ্যমে মূল্য সংযোজনের বিষয়ে আরও মনোযোগী হতে হবে। প্রযুক্তির আপগ্রেডেশন করে শিল্পকে টেকসই ও ব্যয় সাশ্রয়ী (cost competitive) করতে হবে।”
ফারুক হাসান বলেন, “পাশাপাশি, বৈশ্বিক পোশাক শিল্পে বিশেষ করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারনে শিল্পে যে পরিবর্তনের ধারা সূচনা হয়েছে, তার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শ্রমিক ও কর্মচারীদের দক্ষতা অর্জন ও দক্ষতা উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতে হবে, তাদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে।”
সভায় বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, পরিচালক মোঃ খসরু চৌধুরী, পরিচালক হারুন অর রশিদ, পরিচালক রাজীব চৌধুরী, পরিচালক মোঃ ইমরানুর রহমান, পরিচালক মিজানুর রহমান এবং সাবেক পরিচালক এএনএম সাইফুদ্দীন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিরাজুল ইসলাম রনি, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ; বজলুর রহমান বাবলু সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; এম. দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন; আবুল হোসাইন, সভাপতি, টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; রাণী খান, সাধারণ সম্পাদক, মুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; মোঃ সেলিম রেজা, সভাপতি, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক লীগ; আরাফাত জাকারিয়া (সঞ্চয়), সাধারণ সম্পাদক, গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন; এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, সভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; স্মৃতি আক্তার (সাহিদা), গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি ফেডারেশন; আব্বাস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক, গণতান্ত্রিক গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন; মোঃ কফিল উদ্দিন সভাপতি, একতা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; রফিকুল ইসলাম সুজন, সভাপতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন; এইচ এম বেল্লাল, কেন্দ্রীয় কমিটি, সভাপতি বাংলাদেশ ট্রাষ্ট গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন; আকাশ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন; সুলতানা বেগম, সভাপতি, গ্রীণবাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী; লিমা ফেরদৌস, সভাপতি গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী লীগ; মোঃ বাহারানে সুলতান বাহার, সভাপতি, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন; শামীম খান সভাপতি বাংলাদেশ তৃণমুল গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেঃ; সালেহা ইসলাম শ্বান্তনা, সভাপতি, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন; লাভলী ইয়াসমিন, সভাপতি, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন; মন্টু ঘোষ, সভাপতি গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র; মরিয়ম আক্তার, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশন; মোঃ রফিক, সভাপতি জাতীয় গার্মেন্টস দর্জি সোয়েটার শ্রমিক ফেডারেশন।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই/এসএএম//