ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার অনুরোধ বিজিএমইএ’র
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে যানযট নিরসনের জন্য বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের বাস্তবায়নে গতি আনয়ণ এবং সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি যানযট নিরসনের জন্য ঢাকা-গাজীপুর সড়কটিকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, অবৈধ দোকানপাট ও বাজার থেকে মুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্যও সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে অবৈধ দখল দারিত্বের কারনে বিদ্যমান সড়ক সংকীর্ণতা ও যানজট নিরসনে তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতাও চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি ২০২২) সচিবালয়ে বিজিএমইএ’র একটি প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানানো হয়।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম ও সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও শাশা ডেনিমস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস মাহমুদ।
বৈঠককালে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ বলেন, ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়কে বিভিন্ন প্রকল্পের অধীনে চলমান নির্মান কাজগুলোর কারনে সৃষ্ট তীব্র যানযটের ফলে সাধারন নাগরিকদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এবং এ এলাকায় অবস্থিত পোশাক কারখানা ও অন্যান্য খাতের কারখানাগুলোর কাচাঁমাল আনা-নেয়া ও কারখানা থেকে ফিনিশড পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাজীপুর একটি বৃহৎ শিল্প অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে বিপুল সংখ্যক রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা ও অন্যান্য শিল্পখাতের কারখানা গড়ে উঠেছে।
বিজিএমইএ নেতারা বলেন, প্রতিদিনই তীব্র যানযটের কারনে শ্রমিক, উদ্যোক্তা, ক্রেতা ও তাদের প্রতিনিধি, পোশাক কারখানায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিপুল সংখ্যক যাত্রীকে সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে করে প্রচুর কর্মঘন্টা নষ্ট হয় এবং অতিরিক্ত জ্বালানী ব্যয় হিসেবে বিপুল অর্থ অপচয় হয়।
পাশাপাশি, যানযট পোশাক কারখানার কাঁচামাল ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে ব্যয় ও সময় দুটোই বাড়াচ্ছে।
তাই ঢাকা বিমানবন্দর-গাজীপুর সড়ক নির্মান প্রকল্প দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে যানযট নিরসন এবং এটি সম্পূর্নরূপে যাত্রীদের ব্যবহারপোযোগী করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ।
বিনিয়োগবার্তা/শামীম//
