নিউজিল্যান্ডকে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
খেলাধুলা ডেস্ক: দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল দ্রুত গুটিয়ে যাওয়ার। তবে সেটা হতে দেননি মুশফিক-মিরাজরা। এই দুই ব্যাটারই ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে তিনশ পেরিয়ে থেমেছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৩৩২ রান।
২০৫ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত হতাশ করেন চতুর্থ দিনে। কোনো রান যোগ না করেই ফেরেন সাজঘরে। এরপর অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। তবে দ্রুতগতিতে রান তুলতে গিয়ে ইশ সোধির ঘূর্ণিতে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন দিপু। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দিপু ১৮ রানে বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপর উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেখান থেকে মিরাজকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যান মুশফিক। সেই সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মুশি। কিন্তু দলীয় ২৭৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৭ রানে মুশফিক বিদায় নিলে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন সোহানও।
সতীর্থদের বিদায়ের দিনে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান মিরাজ। বিরতি থেকে ফিরেই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ৪ রান করে নাইম হাসান ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৭৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ।
শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল আউট হলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম টেস্ট জিততে কিউইদের সামনে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩১০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত-মুমিনুল হক ৩৭ রান করে, নুরুল হাসান ২৯, অভিষেক হওয়া শাহাদাত হোসেন ২৪ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ২০ রান করেন। সফরকারীদের হয়ে পার্ট-টাইমার গ্লেন ফিলিপস সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। কাইল জেমিসন-এজাজ প্যাটেল দুটি করে এবং ইশ সোধি ও সাউদি একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তুলেছে সফরকারীরা। দ্বিতীয় দিনেই ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত লিড পায় ৭ রানের। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে বাকি ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার বিপরীতে একপ্রান্ত আগলে রেখে অনবদ্য সেঞ্চুরি তুলে নেন সাবেক কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরার আগে করেন ২০৫ বলে ১০৪ রান। চল্লিশোর্ধ্ব রানের ইনিংস রয়েছে গ্লেন ফিলিপস ও ড্যারিল মিচেলের। শেষ দিকে টিম সাউদির ৬২ বলে ৩৫ ও কাইল জেমিসনের ৭০ বলে ২৩ রানের সুবাদে লিড পায় কিউইরা।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তাইজুল। এ ছাড়া পার্ট টাইমার মুমিনুলের দখলে গেছে তিনটি উইকেট। একটি করে উইকেট দখলে নিয়েছেন বাকি তিন বোলার শরিফুল, মিরাজ, নাইম।
বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//