সঞ্চয়পত্র

সঞ্চয়পত্রে নির্ভরতা আরও কমাচ্ছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: মধ্যবিত্তের বিনিয়োগের অন্যতম নিরাপদ মাধ্যম সঞ্চয়পত্র। অতিরিক্ত সুদ পরিশোধ কমাতে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে এরই মধ্যে জুড়ে দেওয়া হয়েছে নানা শর্ত। এতে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমছে ক্রমাগত। বাজেট ঘাটতি পূরণে সঞ্চয়পত্রের ওপর নির্ভরতা এবার আরও কমিয়েছে সরকার।

আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করা আছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপিস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপনকালে সরকারের ব্যাংক ঋণের এ প্রস্তাব তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির ঋণাত্মক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা। আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে নিট বিক্রির পরিমাণ ছিল ঋণাত্মক ৩ হাজার ৫১০ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৮ হাজার কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ লক্ষ্য ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ৩২ হাজার কোটি টাকা করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরের শেষে নিট বিক্রি ঋণাত্মক দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা।

পৌনে তিন লাখ কোটি টাকার ঘাটতিসহ আগামী বাজেটের আকার হবে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ বরাদ্দ থাকবে ১ লাখ ২৮ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে দেশি ঋণের সুদ ১ লাখ ৮ হাজার কোটি এবং বিদেশি ঋণের সুদ ২০ হাজার কোটি টাকা। পাঁচ বছর আগের তুলনায় এ বরাদ্দ দ্বিগুণের কাছাকাছি। 

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)