fish

চীনকে টপকে দ্বিতীয় বাংলাদেশ

মিঠাপানির মাছ উৎপাদন বেড়ে ১.৩২ মিলিয়ন টন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিগত দুই বছরে বাংলাদেশে মিঠাপানির মাছ উৎপাদন বেড়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। ফলে মিঠাপানির মাছ আহরণে চীনকে টপকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তিনি এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এফএও'র প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠাপানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। বদ্ধ জলাশয়ে চাষ করা মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, ক্রাস্টাশিয়ান্স (খোলসযুক্ত মৎস্য জাতীয় প্রাণী যেমন: চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি) উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীনের মিঠাপানির মাছ উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছ উৎপাদন ১ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত দুই বছরে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (পাঙাশ, বোয়াল, আইড় ও অন্যান্য ছোট মাছ) এবং কার্পজাতীয় মাছ। এর মধ্যে সর্বাধিক অবদান রয়েছে ইলিশ মাছের। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক জাটকা সংরক্ষণ, ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ লাখ মেট্রিক টন।

তিনি জানান, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় মাছ আহরণকারীদের বিগত ১৪ বছরে মোট পাঁচ লাখ আট হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন খাদ্যসহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন বিগত ৮ বছরে মোট আট হাজার ৩৩৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

বিনিয়োগবার্তা/ডিএফই//


Comment As:

Comment (0)