তুলা

কোনাব;র পূর্বাভাস

চলতি মৌসুমে ব্রাজিলে তুলা উৎপাদন বাড়বে

ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাজিলে চলতি মৌসুমে তুলা উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল সাপ্লাই কোম্পানি (কোনাব)। সংস্থাটির মতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার টন তুলা উৎপাদন হতে পারে, যা ২০২২-২৩ মৌসুমের তুলনায় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। খবর: ফাইবার টু ফ্যাশন। 

চলতি বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ১ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৪ কেজি হতে পারে। তবে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন কমলেও চাষের জমি বাড়ায় সামগ্রিক উৎপাদন বাড়বে। কোনাবের  মতে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে ব্রাজিলের তুলা চাষের জমির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১৯ লাখ ৪৪ হাজার হেক্টরে, যা গত মৌসুমের তুলনায় ১৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। 

ব্রাজিলে বর্তমানে তুলা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম চলছে। ১১ আগস্ট পর্যন্ত ৫৫ দশমিক ৩ শতাংশ জমি থেকে তুলা সংগ্রহ সম্পন্ন হয়েছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৪-২৫ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৫৬ লাখ ১২ হাজার টন তুলা উৎপাদন হতে পারে, যা জুলাইয়ে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ কম। তবে ২০২৩-২৪ মৌসুমের তুলনায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। 

সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজ অন অ্যাপ্লাইড ইকোনমিকস (সিইপিইএ) বলছে, দামের ওঠানামা ও বিশ্বব্যাপী তুলার বাজারে পরিবর্তনশীলতা উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।

আগস্টের প্রথম পাক্ষিকের তুলার বাজার সম্পর্কে প্রতিবেদনে সিইপিইএ জানিয়েছে, ব্রাজিলে তুলা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণ চলছে। বর্তমানে দেশটির ব্যবসায়ীরা স্পট মার্কেটের চেয়ে ভালো দামে চুক্তি মোতাবেক তুলা সরবরাহে মনোযোগ দিয়েছেন। দেশীয় বাজারে লেনদেন অব্যাহত থাকলেও তুলার দাম ও মানের পার্থক্য লেনদেনের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।

ব্রাজিলের তুলার বাজার আদর্শ সিইপিইএ/ইএসএএলকিউ সূচক গত ৩১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে। শেষ দিন অর্থাৎ ১৫ আগস্ট প্রতি পাউন্ড তুলার মূল্য দাঁড়ায় ৪ দশমিক শূন্য ১ ব্রাজিলীয় রিয়ালে। এর বাজারে ক্রয়ের অষ্টম দিনে দাম পরিশোধের শর্তে লেনদেন সংঘটিত হয়। 

সিইপিইএর হিসাব অনুযায়ী, ৫-১২ আগস্টের মধ্যে তুলার রফতানি সমতা মূল্য (এক্সপোর্ট প্যারিটি প্রাইসেস) ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। ১২ আগস্ট সান্তোস বন্দরে প্রতি পাউন্ড তুলা ৩ দশমিক ৭৬ ব্রাজিলীয় রিয়াল এবং পারানাগুয়া বন্দরে ৩ দশমিক ৭৭ ব্রাজিলীয় রিয়ালে পৌঁছেছে। 

কটলুক এ ইনডেক্স অনুসারে, একই সময়ে দূরপ্রাচ্যে পরিবহন খরচ দশমিক ৮২ শতাংশ কমে পাউন্ডপ্রতি ৭৮ দশমিক ৭০ সেন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিনিয়োগবার্তা/এসএএম//


Comment As:

Comment (0)